ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
লিভারপুল শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ৩-০ গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে পরাজিত করে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে। দিনের অপর এক ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি গোলশূন্য ড্র করেছে সাউদাম্পটনের সাথে। আর্সেনাল ১-০ গোলে বার্নলেকে পরাজিত করে লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে। এছাড়া এভারটন ৩-০ গোলে হেরে গেছে অ্যাস্টন ভিলার কাছে। চলতি লিগে এটাই ছিল তাদের প্রথম পরাজয়।
নিজেদের মাঠে বেশ দাপটের সাথে খেলেই জয়ী হয়েছে ইয়োর্গেন ক্লপের দল। তারা ৫ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করেছে ১৩ পয়েন্ট। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন সাডিও মানে, মোহামেদ সালাহ এবং নেবি কিটা। লিভারপুল শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরলেও গোল করতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয় প্রথমার্ধের একেবারে শেষ পর্যন্ত। মানে করেন গোলটি, এটা ছিল প্রিমিয়ার লিগে তার শততম গোল। তার আগে অবশ্য দিয়েগো জোটা গোলের দুই গজ সামনে থেকেও বল বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। ভার্জিল ফন ডিক ৭৮ মিনিটে করেন দ্বিতীয় গোল। কর্নার কিক থেকে ফন ডিকের ফ্লিকে প্লেসিং শট মেরে গোলটি করেন সালাহ। নেবি কিটা করেন দলের তৃতীয় গোল। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে দারুন এক ভলিতে তৃতীয় গোলটি করেন কিটা।
ম্যাচ শেষে লিভারপুলের কোচ ক্লপ বলেন, ‘দল যখন জয়ী হয় তখন সবাই দারুন খেলে। তবে আজ আমরা জয়ী হলেও দারুন খেলতে পারিনি, তবে ভাল খেলেছি। ক্রিস্টাল প্যালেসকে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছি। তবে সব মিলিয়ে দলের পারফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ট।’
ম্যানসিটির জন্য সাউদাম্পনের সাথে ম্যাচটি ছিল খুবই হতাশার। প্রথমার্ধে ম্যানসিটি মোটেও ভাল খেলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রেফারি সাউদাম্পটনের পক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দেন, একই সাথে লাল কার্ড দেখান কাইল ওয়াকারকে। তবে ভিএআর দেখে রেফারি উভয় সিদ্ধান্তই পরিবর্তন করেন। অ্যাডাম আর্মস্ট্রংকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন বলে রেফারি মনে করেছিলেন।
জেতার জন্য মরিয়া হয়ে কোচ মাঠে নামান কেভিন ডি ব্রুইন এবং ফিল ফোডেনকে মাঠে নামান কোচ গার্দিওয়ালা। তারা মনে করেছিল রাহিম স্টার্লিং জয়সূচক গোল করেছেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছিল টটেনহ্যামের কাছে। এ ম্যাচ ড্র করায় লিভাপুলের চেয়ে ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে লিভারপুলের চেয়ে।
এভারটনও এদিন হারিয়েছে পূর্ণ পয়েন্ট। তারা অ্যাস্টন ভিলার সাথে দ্বিতীয়ার্ধে দশ মিনিটের মধ্যে তিন গোল খায়। ম্যাটি ক্যাশ ৬৬ মিনিটে করেন প্রথম গোল। লুকাস ডিঙ্গের আত্মঘাতি গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। এর পর বদলি খেলোয়াড় লিওন বেইলি কর্নার কিক থেকে তৃতীয় গোল করে দলকে সহজ জয় এনে দেন।
মার্টিন ওডেগার্ড ৩০ মিনিটে ফ্রি কিক গোল করে আর্সেনালকে এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় জয়। তার বাকানো শট গোলরক্ষক নিক পোপের আওতা এড়িয়ে পোস্টের একেবারে কর্নার দিয়ে জালে যায়। এটা ছিল আর্সেনালের দ্বিতীয় জয়। প্রথম তিন ম্যাচে পরাজিত হওয়া আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ছয়। বার্নলে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। রেফারি তাদের পক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্ত ভিএআর দেখে সেটি পরিবর্তন করেন। রেফারি মনে করেছিলেন আর্সেনালের গোলরক্ষক আরন রামসডেলে ম্যাটিজ ভিড্রাকে ফাউল করেছেন। কিন্তু ভিএআর দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে গোলরক্ষক বলেই পা লাগিয়েছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
লিভারপুল শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ৩-০ গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে পরাজিত করে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে। দিনের অপর এক ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি গোলশূন্য ড্র করেছে সাউদাম্পটনের সাথে। আর্সেনাল ১-০ গোলে বার্নলেকে পরাজিত করে লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে। এছাড়া এভারটন ৩-০ গোলে হেরে গেছে অ্যাস্টন ভিলার কাছে। চলতি লিগে এটাই ছিল তাদের প্রথম পরাজয়।
নিজেদের মাঠে বেশ দাপটের সাথে খেলেই জয়ী হয়েছে ইয়োর্গেন ক্লপের দল। তারা ৫ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করেছে ১৩ পয়েন্ট। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন সাডিও মানে, মোহামেদ সালাহ এবং নেবি কিটা। লিভারপুল শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরলেও গোল করতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয় প্রথমার্ধের একেবারে শেষ পর্যন্ত। মানে করেন গোলটি, এটা ছিল প্রিমিয়ার লিগে তার শততম গোল। তার আগে অবশ্য দিয়েগো জোটা গোলের দুই গজ সামনে থেকেও বল বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। ভার্জিল ফন ডিক ৭৮ মিনিটে করেন দ্বিতীয় গোল। কর্নার কিক থেকে ফন ডিকের ফ্লিকে প্লেসিং শট মেরে গোলটি করেন সালাহ। নেবি কিটা করেন দলের তৃতীয় গোল। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে দারুন এক ভলিতে তৃতীয় গোলটি করেন কিটা।
ম্যাচ শেষে লিভারপুলের কোচ ক্লপ বলেন, ‘দল যখন জয়ী হয় তখন সবাই দারুন খেলে। তবে আজ আমরা জয়ী হলেও দারুন খেলতে পারিনি, তবে ভাল খেলেছি। ক্রিস্টাল প্যালেসকে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছি। তবে সব মিলিয়ে দলের পারফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ট।’
ম্যানসিটির জন্য সাউদাম্পনের সাথে ম্যাচটি ছিল খুবই হতাশার। প্রথমার্ধে ম্যানসিটি মোটেও ভাল খেলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রেফারি সাউদাম্পটনের পক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দেন, একই সাথে লাল কার্ড দেখান কাইল ওয়াকারকে। তবে ভিএআর দেখে রেফারি উভয় সিদ্ধান্তই পরিবর্তন করেন। অ্যাডাম আর্মস্ট্রংকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন বলে রেফারি মনে করেছিলেন।
জেতার জন্য মরিয়া হয়ে কোচ মাঠে নামান কেভিন ডি ব্রুইন এবং ফিল ফোডেনকে মাঠে নামান কোচ গার্দিওয়ালা। তারা মনে করেছিল রাহিম স্টার্লিং জয়সূচক গোল করেছেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছিল টটেনহ্যামের কাছে। এ ম্যাচ ড্র করায় লিভাপুলের চেয়ে ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে লিভারপুলের চেয়ে।
এভারটনও এদিন হারিয়েছে পূর্ণ পয়েন্ট। তারা অ্যাস্টন ভিলার সাথে দ্বিতীয়ার্ধে দশ মিনিটের মধ্যে তিন গোল খায়। ম্যাটি ক্যাশ ৬৬ মিনিটে করেন প্রথম গোল। লুকাস ডিঙ্গের আত্মঘাতি গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। এর পর বদলি খেলোয়াড় লিওন বেইলি কর্নার কিক থেকে তৃতীয় গোল করে দলকে সহজ জয় এনে দেন।
মার্টিন ওডেগার্ড ৩০ মিনিটে ফ্রি কিক গোল করে আর্সেনালকে এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় জয়। তার বাকানো শট গোলরক্ষক নিক পোপের আওতা এড়িয়ে পোস্টের একেবারে কর্নার দিয়ে জালে যায়। এটা ছিল আর্সেনালের দ্বিতীয় জয়। প্রথম তিন ম্যাচে পরাজিত হওয়া আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ছয়। বার্নলে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। রেফারি তাদের পক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্ত ভিএআর দেখে সেটি পরিবর্তন করেন। রেফারি মনে করেছিলেন আর্সেনালের গোলরক্ষক আরন রামসডেলে ম্যাটিজ ভিড্রাকে ফাউল করেছেন। কিন্তু ভিএআর দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে গোলরক্ষক বলেই পা লাগিয়েছেন।