চার ম্যাচ হাতে রেখে লীগ শিরোপা জেতা বসুন্ধরা কিংসের শেষটা হলো ড্র দিয়ে। সোমবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিপিএলের শেষ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে কিংস। ২৪ ম্যাচে ২১ জয়, দুই ড্র ও এক হারে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগে নিজেদের সবচেয়ে বেশি পয়েন্টের রেকর্ড ভাঙে তারা।
২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথম লীগ শিরোপা জয়ের পথে ২৪ ম্যাচে ২০ জয়, তিন ড্র ও এক হারে ৬৩ পয়েন্ট পেয়েছিল কিংস।
২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লীগে দ্বিতীয় হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় আবাহনী। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে চতুর্থ সাইফ স্পোর্টিং, পঞ্চম চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থেকে লীগ শেষ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
আজ ম্যাচের শুরুতে দুই দলই ছিল সমানে-সমান। ২৮ মিনিটে তপু বর্মনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ডান দিক থেকে রাফায়েল সিলভার ক্রস পাসের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন তপু।
আগের ভুলের ক্ষতে তপু প্রলেপ দেন ৩৭ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে রবিনিয়োর ফ্রি-কিকের বল হেডে সোহেলকে পরাস্ত করেন এই তপু। সমতার স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে দারুণ সেভে আবাহনীর ত্রাতা সোহেল। জোনাথন ফের্নান্দেসের ক্রসে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। এরপর রবসনের কর্নার থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে ফের্নান্দেসের আচমকা শটও আটকান সোহেল।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের পাস ধরে চিজোবার জোরালো কোনাকুনি শট যায় পোস্টের বাইরে। এরপর থেকে দুই দলের আক্রমণের ধার কমতে থাকে।
৮৫ মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইনে চিজোবার হেড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কোনমতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান জিকো। বাকিটা সময়ে কেউ পাইনি জয়সূচক গোলের দেখা।
২১ গোল নিয়ে কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনিয়ো সর্বোচ্চ গোলদাতা। তালিকায় সেরা দশে নেই বাংলাদেশের কেউ। ১৯ গোল নিয়ে শেখ জামালের ওমর জোবে দ্বিতীয়, সাইফ স্পোর্টিংয়ের জন ওকোলি ১৮ গোল নিয়ে তালিকায় তৃতীয়।
দেশিদের মধ্যে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আবাহনীর জুয়েল রানা, ১০টি। এরপর চট্টগ্রাম আবাহনীর রাকিব হোসেন, ৮টি।
খলনায়ক থেকে নায়কে পরিণত তপু!
বসুন্ধরা কিংস ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করে ট্রফি নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উৎসব করেছে। সেই ফাঁকে দলটির অধিনায়ক তপু বর্মণ বলেন, ‘টেনশন ছিলাম আত্মঘাতী গোল করে। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব থাকে। সুযোগ খুঁজছিলাম। অবশেষে আমার গোলে সমতা ফিরেছে। লক্ষ্য ছিল হারবো না, তাই হয়েছে।’
একই ম্যাচে আত্মঘাতী গোল, আবার দলের হয়ে গোল করার ঘটনা বিরলই। ওভারল্যাপ করে তপুর গোল দেয়া নতুন কিছু নয়। জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ফুটবলে এই ডিফেন্ডারের এমন গোল আছে। তবে তপু আজকের দিনটি মনে রাখতে চাইছেন, ‘লীগের ট্রফির কথা মনে থাকবে। আর গোল করেছি। দলকে (গোল) খাইয়েছি। এই ম্যাচটির কথা মনে থাকবে অনেকদিন। ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশায় আছি। এ ছাড়া মৌসুমটা অনেক ভালো গেছে।’
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
চার ম্যাচ হাতে রেখে লীগ শিরোপা জেতা বসুন্ধরা কিংসের শেষটা হলো ড্র দিয়ে। সোমবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিপিএলের শেষ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে কিংস। ২৪ ম্যাচে ২১ জয়, দুই ড্র ও এক হারে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগে নিজেদের সবচেয়ে বেশি পয়েন্টের রেকর্ড ভাঙে তারা।
২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথম লীগ শিরোপা জয়ের পথে ২৪ ম্যাচে ২০ জয়, তিন ড্র ও এক হারে ৬৩ পয়েন্ট পেয়েছিল কিংস।
২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লীগে দ্বিতীয় হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় আবাহনী। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে চতুর্থ সাইফ স্পোর্টিং, পঞ্চম চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থেকে লীগ শেষ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
আজ ম্যাচের শুরুতে দুই দলই ছিল সমানে-সমান। ২৮ মিনিটে তপু বর্মনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ডান দিক থেকে রাফায়েল সিলভার ক্রস পাসের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন তপু।
আগের ভুলের ক্ষতে তপু প্রলেপ দেন ৩৭ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে রবিনিয়োর ফ্রি-কিকের বল হেডে সোহেলকে পরাস্ত করেন এই তপু। সমতার স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে দারুণ সেভে আবাহনীর ত্রাতা সোহেল। জোনাথন ফের্নান্দেসের ক্রসে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। এরপর রবসনের কর্নার থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে ফের্নান্দেসের আচমকা শটও আটকান সোহেল।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের পাস ধরে চিজোবার জোরালো কোনাকুনি শট যায় পোস্টের বাইরে। এরপর থেকে দুই দলের আক্রমণের ধার কমতে থাকে।
৮৫ মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইনে চিজোবার হেড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কোনমতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান জিকো। বাকিটা সময়ে কেউ পাইনি জয়সূচক গোলের দেখা।
২১ গোল নিয়ে কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনিয়ো সর্বোচ্চ গোলদাতা। তালিকায় সেরা দশে নেই বাংলাদেশের কেউ। ১৯ গোল নিয়ে শেখ জামালের ওমর জোবে দ্বিতীয়, সাইফ স্পোর্টিংয়ের জন ওকোলি ১৮ গোল নিয়ে তালিকায় তৃতীয়।
দেশিদের মধ্যে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আবাহনীর জুয়েল রানা, ১০টি। এরপর চট্টগ্রাম আবাহনীর রাকিব হোসেন, ৮টি।
খলনায়ক থেকে নায়কে পরিণত তপু!
বসুন্ধরা কিংস ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করে ট্রফি নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উৎসব করেছে। সেই ফাঁকে দলটির অধিনায়ক তপু বর্মণ বলেন, ‘টেনশন ছিলাম আত্মঘাতী গোল করে। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব থাকে। সুযোগ খুঁজছিলাম। অবশেষে আমার গোলে সমতা ফিরেছে। লক্ষ্য ছিল হারবো না, তাই হয়েছে।’
একই ম্যাচে আত্মঘাতী গোল, আবার দলের হয়ে গোল করার ঘটনা বিরলই। ওভারল্যাপ করে তপুর গোল দেয়া নতুন কিছু নয়। জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ফুটবলে এই ডিফেন্ডারের এমন গোল আছে। তবে তপু আজকের দিনটি মনে রাখতে চাইছেন, ‘লীগের ট্রফির কথা মনে থাকবে। আর গোল করেছি। দলকে (গোল) খাইয়েছি। এই ম্যাচটির কথা মনে থাকবে অনেকদিন। ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশায় আছি। এ ছাড়া মৌসুমটা অনেক ভালো গেছে।’