ভারতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই পাকিস্তানে বিদেশি দলগুলোর সফর বন্ধের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর। নিউ জিল্যান্ড দলকে যে ডিভাইস ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটি ভারতের বলে দাবি তার।
গতকাল বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে ফাওয়াদ বলেন, সবকিছুর সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ‘ভুয়া পোস্ট’ থেকে। গত মাসে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের যোদ্ধা এহসানউল্লাহ এহসানের নাম ধরে ওই পোস্টে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারকে হুমকি দেওয়া হয় যে, পাকিস্তান সফরে গেলে তাদের দলকে ‘টার্গেট করা হবে।’
ফাওয়াদ বলেন, ওই পোস্ট থেকেই পরে ‘সানডে গার্ডিয়ান’ ওয়েবসাইটে নিউ জিল্যান্ড দলকে হুমকি দেওয়া নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়। এই ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এমজে আকবর।
খবরটি প্রকাশ করেছিলেন ওয়েবসাইটের ব্যুরো প্রধান অভিনব মিশ্র, যার সঙ্গে আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলে দাবি ফাওয়াদের।
ফাওয়াদ জানান, ভুয়া ওই পোস্টের পর গত ২৪ আগস্ট ‘তেহরিক-ই-লাবাইক’ আইডি থেকে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিলকে হুমকি দিয়ে একটি ই-মেইল করা হয় তার স্ত্রীকে।
পাকিস্তানের এই মন্ত্রী জানান, ওই ই-মেইল আইডির উৎস অনুসন্ধান করছেন তারা।
“আমরা যখন আরও খোঁজ নিলাম, কিছু তথ্য জানতে পারলাম। প্রথমত, এই ই-মেইল আইডি কোনো সোশাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং ওই অ্যাকাউন্ট থেকে স্রেফ একটি ই-মেইলই করা হয়েছে।”
প্রোটনমেইল (নিরাপদ সেবা) ব্যবহার করে ওই মেইল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে ফাওয়াদ জানান, এটির উৎস অনুসন্ধানে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছেন তারা।
তবে তখনও পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ড দল এসব হুমকিকে গুরুত্ব দেয়নি এবং পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তারা সফরে যায় এবং অনুশীলনও করতে থাকে। ১৮ বছরের মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল এটি।
কিন্তু মাঠের লড়াই শুরুর দিনই ‘সুনির্দিষ্ট’ ও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হুমকির কথা বলে সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফেরার কথা জানায় নিউ জিল্যান্ড।
পাকিস্তানের বোর্ড ও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিউ জিল্যান্ড দলের কাছে অনেক অনুরোধ করা হলেও তারা হুমকির তথ্য পাকিস্তানকে দেয়নি বলে জানান ফাওয়াদ। এই মন্ত্রীর দাবি, পরে তারা জানতে পারেন, হামজা আফ্রিদি নামের আইডি থেকে নিউ জিল্যান্ড দলকে হুমকি দেওয়া হয়। এই আইডির উৎস অনুসন্ধানে গিয়েই তারা ভারতীয় সংযোগের কথা জানতে পারেন।
“একই ডিভাইস থেকে ১৩টি আইডি ব্যবহার করা হয়। অন্য সব আইডি ছিল ভারতীয় অভিনেতা ও তারকাদের নামে। কেবল একটি আইডি ছিল হামজা আফ্রিদি নামে, যেন বোঝানো যায় যে এই ই-মেইল করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে। ইচ্ছে করেই এই নাম দেখানো হয়, যাকে ফুটিয়ে তোলা যায় যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হুমকি আছে।”
“যে ডিভাইস ব্যবহার করে এই হুমকি দেওয়া হয়, তা আছে ভারতে। একটি ভূয়া আইডি ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু এটি পাঠানো হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) দিয়ে এটি পাঠানো হয়েছে, তাই এটির অবস্থান দেখিয়েছে সিঙ্গাপুর। কিন্তু পুরো হুমকির প্রাথমিক উৎস ভারত।”
আগামী ডিসেম্বরে পাকিস্তানে সফর করার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। তবে তাদেরকেও এখনই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফাওয়াদ। এখানে তিনি আইসিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
“এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র এটি। আইসিসি ও অন্যান্য সংস্থার উচিত এসব খতিয়ে দেখা।”
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভারতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই পাকিস্তানে বিদেশি দলগুলোর সফর বন্ধের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর। নিউ জিল্যান্ড দলকে যে ডিভাইস ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটি ভারতের বলে দাবি তার।
গতকাল বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে ফাওয়াদ বলেন, সবকিছুর সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ‘ভুয়া পোস্ট’ থেকে। গত মাসে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের যোদ্ধা এহসানউল্লাহ এহসানের নাম ধরে ওই পোস্টে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারকে হুমকি দেওয়া হয় যে, পাকিস্তান সফরে গেলে তাদের দলকে ‘টার্গেট করা হবে।’
ফাওয়াদ বলেন, ওই পোস্ট থেকেই পরে ‘সানডে গার্ডিয়ান’ ওয়েবসাইটে নিউ জিল্যান্ড দলকে হুমকি দেওয়া নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়। এই ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এমজে আকবর।
খবরটি প্রকাশ করেছিলেন ওয়েবসাইটের ব্যুরো প্রধান অভিনব মিশ্র, যার সঙ্গে আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলে দাবি ফাওয়াদের।
ফাওয়াদ জানান, ভুয়া ওই পোস্টের পর গত ২৪ আগস্ট ‘তেহরিক-ই-লাবাইক’ আইডি থেকে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিলকে হুমকি দিয়ে একটি ই-মেইল করা হয় তার স্ত্রীকে।
পাকিস্তানের এই মন্ত্রী জানান, ওই ই-মেইল আইডির উৎস অনুসন্ধান করছেন তারা।
“আমরা যখন আরও খোঁজ নিলাম, কিছু তথ্য জানতে পারলাম। প্রথমত, এই ই-মেইল আইডি কোনো সোশাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং ওই অ্যাকাউন্ট থেকে স্রেফ একটি ই-মেইলই করা হয়েছে।”
প্রোটনমেইল (নিরাপদ সেবা) ব্যবহার করে ওই মেইল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে ফাওয়াদ জানান, এটির উৎস অনুসন্ধানে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছেন তারা।
তবে তখনও পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ড দল এসব হুমকিকে গুরুত্ব দেয়নি এবং পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তারা সফরে যায় এবং অনুশীলনও করতে থাকে। ১৮ বছরের মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল এটি।
কিন্তু মাঠের লড়াই শুরুর দিনই ‘সুনির্দিষ্ট’ ও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হুমকির কথা বলে সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফেরার কথা জানায় নিউ জিল্যান্ড।
পাকিস্তানের বোর্ড ও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিউ জিল্যান্ড দলের কাছে অনেক অনুরোধ করা হলেও তারা হুমকির তথ্য পাকিস্তানকে দেয়নি বলে জানান ফাওয়াদ। এই মন্ত্রীর দাবি, পরে তারা জানতে পারেন, হামজা আফ্রিদি নামের আইডি থেকে নিউ জিল্যান্ড দলকে হুমকি দেওয়া হয়। এই আইডির উৎস অনুসন্ধানে গিয়েই তারা ভারতীয় সংযোগের কথা জানতে পারেন।
“একই ডিভাইস থেকে ১৩টি আইডি ব্যবহার করা হয়। অন্য সব আইডি ছিল ভারতীয় অভিনেতা ও তারকাদের নামে। কেবল একটি আইডি ছিল হামজা আফ্রিদি নামে, যেন বোঝানো যায় যে এই ই-মেইল করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে। ইচ্ছে করেই এই নাম দেখানো হয়, যাকে ফুটিয়ে তোলা যায় যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হুমকি আছে।”
“যে ডিভাইস ব্যবহার করে এই হুমকি দেওয়া হয়, তা আছে ভারতে। একটি ভূয়া আইডি ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু এটি পাঠানো হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) দিয়ে এটি পাঠানো হয়েছে, তাই এটির অবস্থান দেখিয়েছে সিঙ্গাপুর। কিন্তু পুরো হুমকির প্রাথমিক উৎস ভারত।”
আগামী ডিসেম্বরে পাকিস্তানে সফর করার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। তবে তাদেরকেও এখনই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফাওয়াদ। এখানে তিনি আইসিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
“এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র এটি। আইসিসি ও অন্যান্য সংস্থার উচিত এসব খতিয়ে দেখা।”