বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্ব
ব্রাজিল দুরন্ত ফুটবল খেলে উরুগুয়েকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে কাতার বিশ্বকাপে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপটের সাথে খেলে উরুগেুয়েকে হারিয়ে দেয় ব্রাজিল। আগের ম্যাচে কলম্বিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করায় সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল খেলোয়াড়দের। কিন্তু এই ম্যাচে দারুণ আকর্ষণীয় ফুটবল খেলেছে ব্রাজিলীয়রা।
ব্রাজিল এ নিয়ে ১১ টি ম্যাচ খেলে দশটিতেই জয়ী হলো। তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট ৩১। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে তারা নয় পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছে। ব্রাজিলের খেলা বাকি আছে আরও সাতটি। কাগজে-কলমের হিসাবে বাকি ম্যাচগুলো ব্রাজিল হেরে গেলে হয়তো তারা বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়তে পারে। কিন্তু যে দলটি ১১টি ম্যাচের মধ্যে দশটি হয় সেই দল টানা সাতটি ম্যাচ হেরে যাবে তা কল্পনাও করা যায় না। রাফিনহা করেন জোড়া গোল। এ ছাড়া ব্রাজিলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন নেইমার এবং গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। বারবোসার করা শেষ গোলটি রেফারি ভিএআর দেখে নিশ্চিত করেন। যদিও প্রথমে অফসাইড এর বাঁশি বাজিয়ে তিনি গোলটি বাতিল করে দিয়েছিলেন।
নেইমার ১০ মিনিটের মাথায় করেন প্রথম গোল। রাফিনহা ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৫৮ মিনিটে তিনি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ব্যবধান করেন ৩-০। সুয়ারেজ ৭৭ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৩-১ এ কমান। কিন্তু খেলার সাত মিনিট বাকি থাকতে বারবোসা গোল করলে ব্রাজিলের বড় জয় নিশ্চিত হয়।
ব্রাজিলের খেলায় যেমন গতি ছিল তেমন ছিল ছন্দ। তারা অলআউট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা প্রয়োজনে রক্ষণ কাজে সহায়তা করেছেন। সব মিলিয়ে ব্রাজিলিয়ান কোচ টিটের জন্য একটি স্বস্তির ম্যাচ। একই সাথে নেইমারের জন্য ম্যাচটি ছিল আনন্দের। কারণ তিনি এ ম্যাচে একটি গোল করেছেন। এছাড়া অন্যদের গোলে সহায়তা দিয়েছেন।
ব্রাজিলের মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের সাথে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সমন্বয় ছিল চমৎকার। যে কারণে তারা আক্রমণে গেলেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। ব্রাজিল উভয়ার্ধে দুটি করে গোল করে। এছাড়া উরুগুয়ের গোলরক্ষক মুসলেরা দুরন্ত ভাবে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন। তা না হলে আরো বড় ব্যবধানে জিততে পারতো স্বাগতিক ব্রাজিল। উরুগুয়ের একমাত্র গোলটি পরিশোধ করেন লুইস সুয়ারেজ। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিকে তিনি পরাস্ত করেন গোলরক্ষক এডারসনকে।
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্ব
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
ব্রাজিল দুরন্ত ফুটবল খেলে উরুগুয়েকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে কাতার বিশ্বকাপে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপটের সাথে খেলে উরুগেুয়েকে হারিয়ে দেয় ব্রাজিল। আগের ম্যাচে কলম্বিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করায় সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল খেলোয়াড়দের। কিন্তু এই ম্যাচে দারুণ আকর্ষণীয় ফুটবল খেলেছে ব্রাজিলীয়রা।
ব্রাজিল এ নিয়ে ১১ টি ম্যাচ খেলে দশটিতেই জয়ী হলো। তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট ৩১। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে তারা নয় পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছে। ব্রাজিলের খেলা বাকি আছে আরও সাতটি। কাগজে-কলমের হিসাবে বাকি ম্যাচগুলো ব্রাজিল হেরে গেলে হয়তো তারা বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়তে পারে। কিন্তু যে দলটি ১১টি ম্যাচের মধ্যে দশটি হয় সেই দল টানা সাতটি ম্যাচ হেরে যাবে তা কল্পনাও করা যায় না। রাফিনহা করেন জোড়া গোল। এ ছাড়া ব্রাজিলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন নেইমার এবং গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। বারবোসার করা শেষ গোলটি রেফারি ভিএআর দেখে নিশ্চিত করেন। যদিও প্রথমে অফসাইড এর বাঁশি বাজিয়ে তিনি গোলটি বাতিল করে দিয়েছিলেন।
নেইমার ১০ মিনিটের মাথায় করেন প্রথম গোল। রাফিনহা ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৫৮ মিনিটে তিনি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ব্যবধান করেন ৩-০। সুয়ারেজ ৭৭ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৩-১ এ কমান। কিন্তু খেলার সাত মিনিট বাকি থাকতে বারবোসা গোল করলে ব্রাজিলের বড় জয় নিশ্চিত হয়।
ব্রাজিলের খেলায় যেমন গতি ছিল তেমন ছিল ছন্দ। তারা অলআউট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা প্রয়োজনে রক্ষণ কাজে সহায়তা করেছেন। সব মিলিয়ে ব্রাজিলিয়ান কোচ টিটের জন্য একটি স্বস্তির ম্যাচ। একই সাথে নেইমারের জন্য ম্যাচটি ছিল আনন্দের। কারণ তিনি এ ম্যাচে একটি গোল করেছেন। এছাড়া অন্যদের গোলে সহায়তা দিয়েছেন।
ব্রাজিলের মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের সাথে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সমন্বয় ছিল চমৎকার। যে কারণে তারা আক্রমণে গেলেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। ব্রাজিল উভয়ার্ধে দুটি করে গোল করে। এছাড়া উরুগুয়ের গোলরক্ষক মুসলেরা দুরন্ত ভাবে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন। তা না হলে আরো বড় ব্যবধানে জিততে পারতো স্বাগতিক ব্রাজিল। উরুগুয়ের একমাত্র গোলটি পরিশোধ করেন লুইস সুয়ারেজ। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিকে তিনি পরাস্ত করেন গোলরক্ষক এডারসনকে।