এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন শক্ত অবস্থান থেকেই শুরু করবে বাংলাদেশ। চলতি বছরে বাংলাদেশের (৯টি) চেয়ে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকাই (১২টি) বেশি জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে সর্বশেষ তিনটি সিরিজে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা। এমন ফর্মে নিশ্চিতভাবেই ‘বি’ গ্রুপের ফেবারিট বাংলাদেশ। তবে জয়ের দারুণ রেকর্ড নিয়ে ওমানে পাড়ি দিলেও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ফর্ম ও বড় রান করার সক্ষমতা নিয়ে।
অতীতের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্য তেমন একটা সুখকর নয় বাংলাদেশের জন্য। ২০০৭ সালের উদ্বোধনী আসরে সুপার এইটে পাড়ি দিলেও ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১২ এর আসরগুলোতে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি লাল সবুজের দল।
দুর্বিষহ উইকেট বানিয়ে কিউই ও অজিদের বধ করলেও এতে আত্মবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে ব্যাটারদের। এর প্রমাণ মিলেছে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেই। অপেক্ষাকৃত দূর্বল বোলিং আক্রমণের এই দুই দলের বিপক্ষে বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস, নাঈম শেখরা। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে বড় রান করাটা যে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে তাদের জন্য তা বলাই যায়।
দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ পেয়েও এখনও নিজেদের প্রতিভার সর্বোচ্চটা দিতে পারেননি লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা। শট নির্বাচনের ক্ষেত্রে লিটনের দূর্বলতা চোখে পড়েছে অনেকেরই। এদিকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাজে ফুটওয়ার্কের কারণে অনেকবারই নিজের উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন সৌম্য। অফ স্টাম্প লাইন ও এর বাইরের বলগুলোতে বেশ নড়বড়ে তিনি। তবে দারুণ বল হিটিং সক্ষমতার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটে কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন এই ওপেনার।
টাইগার ব্যাটিংয়ে আরও একটি চিন্তার জায়গা ওপেনিং। ২০০৭ সালে অভিষেক হওয়া তামিম ইকবালের কোন যোগ্য সঙ্গী আজ পর্যন্ত খুঁজে বের করতে পারেননি নির্বাচকরা। এবার তামিম না থাকায় দায়িত্বটা সামলাতে হবে লিটন, নাঈম, সৌম্যদেরই। লিটন সৌম্যের যে ঝড়ো ইনিংস খেলার ক্ষমতা রয়েছে তা আগেই দেখিয়েছেন তারা। কিন্তু আরেক ওপেনার নাঈম শেখের টি-২০ স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৫.৯৪। এই ফরম্যাটে যা বড্ড বেমানান। সব মিলিয়ে আরও একটি বিশ্বকাপ মিশনের প্রাক্কালে টাইগার শিবিরে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং।
শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন শক্ত অবস্থান থেকেই শুরু করবে বাংলাদেশ। চলতি বছরে বাংলাদেশের (৯টি) চেয়ে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকাই (১২টি) বেশি জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে সর্বশেষ তিনটি সিরিজে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা। এমন ফর্মে নিশ্চিতভাবেই ‘বি’ গ্রুপের ফেবারিট বাংলাদেশ। তবে জয়ের দারুণ রেকর্ড নিয়ে ওমানে পাড়ি দিলেও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ফর্ম ও বড় রান করার সক্ষমতা নিয়ে।
অতীতের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্য তেমন একটা সুখকর নয় বাংলাদেশের জন্য। ২০০৭ সালের উদ্বোধনী আসরে সুপার এইটে পাড়ি দিলেও ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১২ এর আসরগুলোতে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি লাল সবুজের দল।
দুর্বিষহ উইকেট বানিয়ে কিউই ও অজিদের বধ করলেও এতে আত্মবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে ব্যাটারদের। এর প্রমাণ মিলেছে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেই। অপেক্ষাকৃত দূর্বল বোলিং আক্রমণের এই দুই দলের বিপক্ষে বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস, নাঈম শেখরা। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে বড় রান করাটা যে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে তাদের জন্য তা বলাই যায়।
দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ পেয়েও এখনও নিজেদের প্রতিভার সর্বোচ্চটা দিতে পারেননি লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা। শট নির্বাচনের ক্ষেত্রে লিটনের দূর্বলতা চোখে পড়েছে অনেকেরই। এদিকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাজে ফুটওয়ার্কের কারণে অনেকবারই নিজের উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন সৌম্য। অফ স্টাম্প লাইন ও এর বাইরের বলগুলোতে বেশ নড়বড়ে তিনি। তবে দারুণ বল হিটিং সক্ষমতার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটে কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন এই ওপেনার।
টাইগার ব্যাটিংয়ে আরও একটি চিন্তার জায়গা ওপেনিং। ২০০৭ সালে অভিষেক হওয়া তামিম ইকবালের কোন যোগ্য সঙ্গী আজ পর্যন্ত খুঁজে বের করতে পারেননি নির্বাচকরা। এবার তামিম না থাকায় দায়িত্বটা সামলাতে হবে লিটন, নাঈম, সৌম্যদেরই। লিটন সৌম্যের যে ঝড়ো ইনিংস খেলার ক্ষমতা রয়েছে তা আগেই দেখিয়েছেন তারা। কিন্তু আরেক ওপেনার নাঈম শেখের টি-২০ স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৫.৯৪। এই ফরম্যাটে যা বড্ড বেমানান। সব মিলিয়ে আরও একটি বিশ্বকাপ মিশনের প্রাক্কালে টাইগার শিবিরে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং।