বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেনে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলের রানের চাকা সচল করে লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। মূলত তাদের ব্যাটিং নৈপূন্যেই বাংলাদেশ প্রথম দিন আর কোন উইকেট হারায়নি। ফলে ভালো অবস্থানে থেকে প্রথম দিন শেষ করে টিম বাংলাদেশ। এদিকে দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেই যেন ছন্ন ছাড়া বাংলাদেশ। শুরুতেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করা লিটন। পরে আউট হয় ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর নার্ভাস নাইন্টিনে গিয়ে আউট হয় মুশফিক। মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয় মুশি। ফলে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে ৩৩০ রান যোগ করতে পারে সব উইকেটের বিনিময়ে। এরপর ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনটা আরো ভালো করে পাকিস্তান। এখন দ্বিতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে পাকিস্তান। নির্বিষ বোলিংয়ের দিনে বাংলাদেশ একমাত্র সুযোগটি তৈরি করেছিল ১২.৫ ওভারে। হাতের মুঠোয় আসা সুযোগটিও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফেরাতে পারতেন পাকিস্তানের অভিষিক্ত ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে।
তার স্ট্যাম্পের উপরের শর্ট বল কাট করতে গিয়েছিলেন শফিক। বল তার প্যাড ও ব্যাটে প্রায় একসঙ্গে আঘাত করে। বাংলাদেশের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। লিটন ও তাইজুল রিভিউয়ের জন্য আলোচনা করলেও পরে নেননি। অধিনায়ক মোমিনুল হকও দুই সতীর্থের ওপর ভরসা রাখেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল শফিকের ব্যাটের আগে প্যাডে আঘাত করে। বলের ইমপ্যাক্টও ঠিক ছিল এবং উইকেটে হিট করতো। ৫৭ ওভারের বোলিংয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশকে ওই একটি সুযোগই দিয়েছিল। রিভিউ নিলে নিশ্চিত বাংলাদেশ সাফল্য পেত। দিনশেষে একটি রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপে পুড়ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সফরকারীদের শিবিরে স্বস্তির পরশ। প্রথমবার বড় মঞ্চে খেলতে নেমে ৫২ রানে অপরাজিত ডানহাতি ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক।
দ্বিতীয় দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন লিটন। রিভিউ না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন বলেছেন, ‘দেখুন রিভিউ জিনিসটা পুরোপুরি তাৎক্ষণিক। তাৎক্ষণিক মনে হয়েছে বলটা আগে ব্যাটে লেগেছে। যে কারণে আমরা রিভিউ নিইনি। যদি মনে হতো যে প্যাডে আগে লেগেছে তাহলে সন্দেহ নেই যে আমরা রিভিউ নিয়ে নিতাম। পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে। কারণ, কোনো উইকেট হারায়নি। যদি ২/৩ উইকেট থাকতো, এই রানে বা এর থেকে বেশি…১৬০ রানে ৩ উইকেট থাকতো তাহলে স্কোর দেখতেও ভালো লাগত। তাহলে দুই দিকেই খেলা আছে। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল (রোববার) আর্লি মর্নিং ২-৩ উইকেট নিতে পারি তাহলে সমান অবস্থায় চলে আসবো। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।’
প্রতি ইনিংসে ২টি করে ব্যাটিং ও বোলিং রিভিউ পায় দলগুলো। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ১৫ সেকেন্ড সময় পায়। নিজেদের সিদ্ধান্তহীনতায় বাংলাদেশ রিভিউ নিয়ে অনেকবারই ভুগেছে। যেমন, চট্টগ্রামে শেষ টেস্ট ম্যাচে কাইল মায়ার্সের একটি রিভিউ নিয়ে নিলে ম্যাচটা হারতে হতো না বাংলাদেশকে। আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে মিরাজ অযথা রিভিউ নিয়ে নষ্ট করায় সৌম্য ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েও রিভিউ নেওয়ার সুযোগ পাননি। মুশফিক গতকাল সকালে আউট হয়েও অযথা রিভিউ নিয়েছেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত অনেক সময় পক্ষে আসে অনেক সময় বিপক্ষে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভিউডের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সময় সাহস দেখাতে হয়। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।
লিটন দাস আরও বলেন, ‘এটা কঠিন প্রশ্ন যে ধারাবাহিকতা। সবাই চেষ্টা করেছে ধারাবাহিক হওয়ার জন্য। আমি কতটুকু দিতে পারব, রেজাল্ট কতটুকু হবে জানি না। কিন্তু আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। গত ছয়-সাত টেস্ট ধরে করে আসছি। একশো করেছি দেখে পরের দিন নামলে যে আবার একশো হবে তেমনটা না। টেস্ট ক্রিকেট অনেক টাফ ক্রিকেট। শূন্য থেকে শুরু করতে হয়, সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। তো কঠিন এটা। আমি চেষ্টা করব যেভাবে গত ছয়-সাত টেস্টে খেলেছি সেভাবে খেলার জন্য। মানসিকভাবে বলতে গেলে। বিশ্বকাপের পর আমি জাতীয় লিগে আমি একটা ম্যাচ খেলেছি। প্রস্তুতি নিয়েছি যে সামনে টেস্ট ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য যেটুক প্রস্তুতি দরকার সেটুকু প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এর থেকে বাইরে কোন কিছু চিন্তাও করিনি, অতিরিক্ত কোন কিছু চাইও নাই নিজের কাছে।’
বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেনে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলের রানের চাকা সচল করে লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। মূলত তাদের ব্যাটিং নৈপূন্যেই বাংলাদেশ প্রথম দিন আর কোন উইকেট হারায়নি। ফলে ভালো অবস্থানে থেকে প্রথম দিন শেষ করে টিম বাংলাদেশ। এদিকে দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেই যেন ছন্ন ছাড়া বাংলাদেশ। শুরুতেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করা লিটন। পরে আউট হয় ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর নার্ভাস নাইন্টিনে গিয়ে আউট হয় মুশফিক। মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয় মুশি। ফলে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে ৩৩০ রান যোগ করতে পারে সব উইকেটের বিনিময়ে। এরপর ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনটা আরো ভালো করে পাকিস্তান। এখন দ্বিতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে পাকিস্তান। নির্বিষ বোলিংয়ের দিনে বাংলাদেশ একমাত্র সুযোগটি তৈরি করেছিল ১২.৫ ওভারে। হাতের মুঠোয় আসা সুযোগটিও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফেরাতে পারতেন পাকিস্তানের অভিষিক্ত ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে।
তার স্ট্যাম্পের উপরের শর্ট বল কাট করতে গিয়েছিলেন শফিক। বল তার প্যাড ও ব্যাটে প্রায় একসঙ্গে আঘাত করে। বাংলাদেশের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। লিটন ও তাইজুল রিভিউয়ের জন্য আলোচনা করলেও পরে নেননি। অধিনায়ক মোমিনুল হকও দুই সতীর্থের ওপর ভরসা রাখেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল শফিকের ব্যাটের আগে প্যাডে আঘাত করে। বলের ইমপ্যাক্টও ঠিক ছিল এবং উইকেটে হিট করতো। ৫৭ ওভারের বোলিংয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশকে ওই একটি সুযোগই দিয়েছিল। রিভিউ নিলে নিশ্চিত বাংলাদেশ সাফল্য পেত। দিনশেষে একটি রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপে পুড়ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সফরকারীদের শিবিরে স্বস্তির পরশ। প্রথমবার বড় মঞ্চে খেলতে নেমে ৫২ রানে অপরাজিত ডানহাতি ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক।
দ্বিতীয় দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন লিটন। রিভিউ না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন বলেছেন, ‘দেখুন রিভিউ জিনিসটা পুরোপুরি তাৎক্ষণিক। তাৎক্ষণিক মনে হয়েছে বলটা আগে ব্যাটে লেগেছে। যে কারণে আমরা রিভিউ নিইনি। যদি মনে হতো যে প্যাডে আগে লেগেছে তাহলে সন্দেহ নেই যে আমরা রিভিউ নিয়ে নিতাম। পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে। কারণ, কোনো উইকেট হারায়নি। যদি ২/৩ উইকেট থাকতো, এই রানে বা এর থেকে বেশি…১৬০ রানে ৩ উইকেট থাকতো তাহলে স্কোর দেখতেও ভালো লাগত। তাহলে দুই দিকেই খেলা আছে। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল (রোববার) আর্লি মর্নিং ২-৩ উইকেট নিতে পারি তাহলে সমান অবস্থায় চলে আসবো। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।’
প্রতি ইনিংসে ২টি করে ব্যাটিং ও বোলিং রিভিউ পায় দলগুলো। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ১৫ সেকেন্ড সময় পায়। নিজেদের সিদ্ধান্তহীনতায় বাংলাদেশ রিভিউ নিয়ে অনেকবারই ভুগেছে। যেমন, চট্টগ্রামে শেষ টেস্ট ম্যাচে কাইল মায়ার্সের একটি রিভিউ নিয়ে নিলে ম্যাচটা হারতে হতো না বাংলাদেশকে। আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে মিরাজ অযথা রিভিউ নিয়ে নষ্ট করায় সৌম্য ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েও রিভিউ নেওয়ার সুযোগ পাননি। মুশফিক গতকাল সকালে আউট হয়েও অযথা রিভিউ নিয়েছেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত অনেক সময় পক্ষে আসে অনেক সময় বিপক্ষে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভিউডের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সময় সাহস দেখাতে হয়। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।
লিটন দাস আরও বলেন, ‘এটা কঠিন প্রশ্ন যে ধারাবাহিকতা। সবাই চেষ্টা করেছে ধারাবাহিক হওয়ার জন্য। আমি কতটুকু দিতে পারব, রেজাল্ট কতটুকু হবে জানি না। কিন্তু আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। গত ছয়-সাত টেস্ট ধরে করে আসছি। একশো করেছি দেখে পরের দিন নামলে যে আবার একশো হবে তেমনটা না। টেস্ট ক্রিকেট অনেক টাফ ক্রিকেট। শূন্য থেকে শুরু করতে হয়, সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। তো কঠিন এটা। আমি চেষ্টা করব যেভাবে গত ছয়-সাত টেস্টে খেলেছি সেভাবে খেলার জন্য। মানসিকভাবে বলতে গেলে। বিশ্বকাপের পর আমি জাতীয় লিগে আমি একটা ম্যাচ খেলেছি। প্রস্তুতি নিয়েছি যে সামনে টেস্ট ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য যেটুক প্রস্তুতি দরকার সেটুকু প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এর থেকে বাইরে কোন কিছু চিন্তাও করিনি, অতিরিক্ত কোন কিছু চাইও নাই নিজের কাছে।’