বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩০ রানের প্রথম ইনিংসে ভালোই জবাব দিল পাকিস্তান ওপেনার দুই ওপেনার। ইনিংসের শুরুতে পাকিস্তান ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের রান তখন ৯। তাইজুল ইসলামের বল লাগে শফিকের প্যাডে। ব্যাট দ্রুত নামালেও বোঝা যাচ্ছিল না বল ঠিক কোথায় লেগেছিল। তবে ঝুঁকি নিয়ে রিভিউ নেননি টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।
পরে রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে লেগে তবেই ব্যাটে যায়। রিভিউ নিলে ৯ রানেই ফিরে যেতেন শফিক। রিভিউ না নেওয়ার মাশুল দিচ্ছেন বোলাররা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাটে শুরুটা হয়েছে সাবধানী।
আবিদ আলী ১৮০ বলে ৯৩ রান। এর আগে অর্ধশতক তুলে ছুটছেন শতকের পথে। অপর প্রান্তে শফিক রান তুলছেন ধীর গতিতে। অভিষেকে তুলে নিয়েছে অর্ধশতক। অপরাজিত আছেন ১৬২ বলে ৫২ রানে। কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৭ ওভারে ১৪৫ রান তুলে দিন শেষ করে পাকিস্তান। বাংলাদেশ কোন উইকেট নিতে পারলনা। শুধু চেয়ে দেখলো পাক-দুই ওপেনারের ব্যাটিং।
তৃতীয় দিনের শুরুতে তাইজুলের জোড়া আঘাত। তৃতীয় দিনের শেষ দুই ওভারে এলবির ফাঁদে পড়েন আবদুল্লাহ শফিক ও আজাহার আলী। এদিন মাত্র ১ রান যোগ করে তারা। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু সেই চাপ সামলে নিজের আরও একটি কাঙ্খিত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আবিদ আলী। ২০৯ রানে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
আজহার আলীর পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। ধীর গতিতে এগুচ্ছিলেন তিনি। তবে ৪৬ বলে ১০ রান করতেই মিরাজের বলে বোল্ট হলে ফিরে যান। এরপর আবারও তাইজুলের আঘাত। ফিরিয়ে দলে ফাওয়াদ আলমকে। ৮ রান করেন ফাওয়াদ। যদিও ভয়টা ছিল ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে। শেষ কয়েকটি ইনিংসে প্রতিপক্ষকে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ফাওয়াদ।
তবে তাকেও ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন তাইজুল। ১৮২ রানের মাথায় তাইজুলের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের আলতো ছোঁয়া লেগে বল যায় লিটন দাসের গ্লভসে। আউটের আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতেই মিলে সফলতা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বলা যায় বিপাকেই পড়েছে পাকিস্তান।
এরপর লাঞ্চ বিরতীতে যায় বাংলাদেশ। বিরতীর পর পরেই রেজওয়ানকে ফিরিয়ে দেন ইবাদত হোসেন। ৩৮ বল খেলে ৫ রান করেন টি-টোয়েন্টিতে উড়ন্ত পারফর্মার রেজওয়ান। দল যখন বিপর্যয়ে তখনও এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন ওপেনার আবিদ আলী।
কিন্তু তাইজুলের ঘূণিতে পরাস্তা হন। যদিও তিনি রিভিউ নিয়েছিলেন তবে আম্পায়ার আউট কল করায় ফিরতে হল তাকে। না হলে বেঁচে যেতেন। এর আগের বলে অবশ্য ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলীর হাতে। কিন্তু ক্যাচ মিস করেন ইয়াসির। পরেও ওভার হাসান আলীকে তাইজুল। ৭ বলে ১২ রান হাসান আলী। হাসান আলী আউট করে ৫ উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৩ রান। ক্রিজে আছেন ফাহিম আশরাফ।
এর আগে দিনের শুরুতে হাসান আলীর বোলিং তোপে এক সেশনেই ৬ উইকেট হারিয়ে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এছাড়া ৯১ রান করেন মুশফিকুর রহিম। হাসান আলী নেন ৫টি উইকেট।
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩০ রানের প্রথম ইনিংসে ভালোই জবাব দিল পাকিস্তান ওপেনার দুই ওপেনার। ইনিংসের শুরুতে পাকিস্তান ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের রান তখন ৯। তাইজুল ইসলামের বল লাগে শফিকের প্যাডে। ব্যাট দ্রুত নামালেও বোঝা যাচ্ছিল না বল ঠিক কোথায় লেগেছিল। তবে ঝুঁকি নিয়ে রিভিউ নেননি টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।
পরে রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে লেগে তবেই ব্যাটে যায়। রিভিউ নিলে ৯ রানেই ফিরে যেতেন শফিক। রিভিউ না নেওয়ার মাশুল দিচ্ছেন বোলাররা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাটে শুরুটা হয়েছে সাবধানী।
আবিদ আলী ১৮০ বলে ৯৩ রান। এর আগে অর্ধশতক তুলে ছুটছেন শতকের পথে। অপর প্রান্তে শফিক রান তুলছেন ধীর গতিতে। অভিষেকে তুলে নিয়েছে অর্ধশতক। অপরাজিত আছেন ১৬২ বলে ৫২ রানে। কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৭ ওভারে ১৪৫ রান তুলে দিন শেষ করে পাকিস্তান। বাংলাদেশ কোন উইকেট নিতে পারলনা। শুধু চেয়ে দেখলো পাক-দুই ওপেনারের ব্যাটিং।
তৃতীয় দিনের শুরুতে তাইজুলের জোড়া আঘাত। তৃতীয় দিনের শেষ দুই ওভারে এলবির ফাঁদে পড়েন আবদুল্লাহ শফিক ও আজাহার আলী। এদিন মাত্র ১ রান যোগ করে তারা। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু সেই চাপ সামলে নিজের আরও একটি কাঙ্খিত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আবিদ আলী। ২০৯ রানে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
আজহার আলীর পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। ধীর গতিতে এগুচ্ছিলেন তিনি। তবে ৪৬ বলে ১০ রান করতেই মিরাজের বলে বোল্ট হলে ফিরে যান। এরপর আবারও তাইজুলের আঘাত। ফিরিয়ে দলে ফাওয়াদ আলমকে। ৮ রান করেন ফাওয়াদ। যদিও ভয়টা ছিল ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে। শেষ কয়েকটি ইনিংসে প্রতিপক্ষকে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ফাওয়াদ।
তবে তাকেও ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন তাইজুল। ১৮২ রানের মাথায় তাইজুলের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের আলতো ছোঁয়া লেগে বল যায় লিটন দাসের গ্লভসে। আউটের আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতেই মিলে সফলতা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বলা যায় বিপাকেই পড়েছে পাকিস্তান।
এরপর লাঞ্চ বিরতীতে যায় বাংলাদেশ। বিরতীর পর পরেই রেজওয়ানকে ফিরিয়ে দেন ইবাদত হোসেন। ৩৮ বল খেলে ৫ রান করেন টি-টোয়েন্টিতে উড়ন্ত পারফর্মার রেজওয়ান। দল যখন বিপর্যয়ে তখনও এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন ওপেনার আবিদ আলী।
কিন্তু তাইজুলের ঘূণিতে পরাস্তা হন। যদিও তিনি রিভিউ নিয়েছিলেন তবে আম্পায়ার আউট কল করায় ফিরতে হল তাকে। না হলে বেঁচে যেতেন। এর আগের বলে অবশ্য ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলীর হাতে। কিন্তু ক্যাচ মিস করেন ইয়াসির। পরেও ওভার হাসান আলীকে তাইজুল। ৭ বলে ১২ রান হাসান আলী। হাসান আলী আউট করে ৫ উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৩ রান। ক্রিজে আছেন ফাহিম আশরাফ।
এর আগে দিনের শুরুতে হাসান আলীর বোলিং তোপে এক সেশনেই ৬ উইকেট হারিয়ে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এছাড়া ৯১ রান করেন মুশফিকুর রহিম। হাসান আলী নেন ৫টি উইকেট।