প্রথম ইনিংসে লিডের সুখ বেশিক্ষণ থাকলো না। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে গেছে টাইগাররা।
একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অধিনায়ক মোমিনুল হক।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন ২ উইকেট আর মোমিনুলকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন হাসান আলি।
তাইজুলের স্পিন যাদুতে এগিয়ে বাংলাদেশ
এক তাইজুল ইসলামের স্পিন বিষেই কোণঠাসা পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এক কথায় বলা যায় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ক্রিকেট প্রেমীরা এক কাপ চা চুমুক দিতেই উইকেট হারাতে বসে পাকিস্তান শিবির। তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন সাত উইকেট আর পেসার ইবাদত নিয়েছেন দুই উইকেট আর মিরাজের ঝুলিতে আছে একটি উইকেট।
বাবর আজমের দল প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। বাংলাদেশ এখন ৪৪ রানে এগিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেন আবিদ আলী। এ ছাড়া ৫২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক। এই দুই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট হাসেনি।
রোববার সকালেই শুভ সূচনা এনে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। পর পর দুই উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। তাইজুলের পরেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তাইজুলের শিকার আব্দুলাহ শফিক ও আজাহার আলী। আর মেহেদির শিকার পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
এরপর আবারো পাকিস্তান শিবিরে আঘাতহানে স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এবার তার শিকার ফুয়াদ আলম। তাইজুলের বলে উইকেটের পিছিনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যায় ফুয়াদ। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যান করেন ১৫ বলে ৮ রান। ৪ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে এসে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ এলেমেলো করে দেয় বাংলাদেশ। প্রথমই আঘাত হানে ফাস্ট বোলার এবাদাত হোসেন। তার শিকার পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজিওয়ান। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন ৩৮ বলে ৫ রান।
এদিকে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ একাই টিকেয়ে রাখেন সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলী। এই ব্যাটারকে সাজঘরের পথে হাঁটান তাইজুল ইসলাম। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে যান আবিদ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮২ বলে ১৩২ রান।
এরপর হাসান আলীকেও আউট করে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন তাইজুল। হাসান আলী আউট হওয়ার আগে করেন ৮ বলে ১২ রান।
এরপর পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানে ফাস্ট বোলার এবাদত হোসেন। এবার তার শিকার সাজিদ খান। এবাদতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় সাজিদ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৫ রান। শেষদিকে তাইজুল ইসলামে স্পিন বেলকি আউট হয় নৌমান আলী ও ফাহিম আশরাফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংসে ৩৩০/১০
(লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মেহেদি ৩৮*)
দ্বিতীয় ইনিংস ১৭/৩
পাকিস্তান: প্রথম ইনিংসে ২৮৬/১০
(আবিদ আলী ১২৭, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮, শাহীন ১৩* )
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম ইনিংসে লিডের সুখ বেশিক্ষণ থাকলো না। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে গেছে টাইগাররা।
একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অধিনায়ক মোমিনুল হক।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন ২ উইকেট আর মোমিনুলকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন হাসান আলি।
তাইজুলের স্পিন যাদুতে এগিয়ে বাংলাদেশ
এক তাইজুল ইসলামের স্পিন বিষেই কোণঠাসা পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এক কথায় বলা যায় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ক্রিকেট প্রেমীরা এক কাপ চা চুমুক দিতেই উইকেট হারাতে বসে পাকিস্তান শিবির। তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন সাত উইকেট আর পেসার ইবাদত নিয়েছেন দুই উইকেট আর মিরাজের ঝুলিতে আছে একটি উইকেট।
বাবর আজমের দল প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। বাংলাদেশ এখন ৪৪ রানে এগিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেন আবিদ আলী। এ ছাড়া ৫২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক। এই দুই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট হাসেনি।
রোববার সকালেই শুভ সূচনা এনে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। পর পর দুই উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। তাইজুলের পরেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তাইজুলের শিকার আব্দুলাহ শফিক ও আজাহার আলী। আর মেহেদির শিকার পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
এরপর আবারো পাকিস্তান শিবিরে আঘাতহানে স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এবার তার শিকার ফুয়াদ আলম। তাইজুলের বলে উইকেটের পিছিনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যায় ফুয়াদ। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যান করেন ১৫ বলে ৮ রান। ৪ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে এসে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ এলেমেলো করে দেয় বাংলাদেশ। প্রথমই আঘাত হানে ফাস্ট বোলার এবাদাত হোসেন। তার শিকার পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজিওয়ান। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন ৩৮ বলে ৫ রান।
এদিকে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ একাই টিকেয়ে রাখেন সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলী। এই ব্যাটারকে সাজঘরের পথে হাঁটান তাইজুল ইসলাম। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে যান আবিদ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮২ বলে ১৩২ রান।
এরপর হাসান আলীকেও আউট করে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন তাইজুল। হাসান আলী আউট হওয়ার আগে করেন ৮ বলে ১২ রান।
এরপর পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানে ফাস্ট বোলার এবাদত হোসেন। এবার তার শিকার সাজিদ খান। এবাদতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় সাজিদ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৫ রান। শেষদিকে তাইজুল ইসলামে স্পিন বেলকি আউট হয় নৌমান আলী ও ফাহিম আশরাফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংসে ৩৩০/১০
(লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মেহেদি ৩৮*)
দ্বিতীয় ইনিংস ১৭/৩
পাকিস্তান: প্রথম ইনিংসে ২৮৬/১০
(আবিদ আলী ১২৭, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮, শাহীন ১৩* )