alt

সম্পাদকীয়

ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে

: মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

মাদারীপুরে প্রতি বছর কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ইটভাটা। ভাটার আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে ত্রিফসলি জমি। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলছেন, সেখানে অতি উর্বর জমির পরিমাণ ১২ হাজার ৫৭০ হেক্টর। গত এক দশকে সে জমির একটি বড় অংশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। ফলে দিন দিন উৎপাদন কমছে খাদ্য উদ্বৃত্ত এই জেলায়।

মাদারীপুরে কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের খবরটি উদ্বেগজনক। তবে বিষয়টি যে শুধু মাদারীপুরেই হচ্ছে তা নয়, গোটা দেশেই কৃষি জমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-তে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ইটভাটায় ফসলি জমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি ২ বছর কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অথচ এসব আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা করছে না কেউ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরাই অনাচার করছে। রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

ফসলি জমিতে ইটভাটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো বন্ধ করা দরকার। অন্যথায় ভূমিক্ষয় বাড়বে, পাশাপাশি আবাদি জমি সংকট দেখা দেবে। আইন লঙ্ঘন করার দুঃসাহস দেখিয়ে অতি উর্বর জমিতে কিভাবে এত ইটভাটা গড়ে উঠল সেটা জানা দরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও তদন্তের দাবি রাখে।

কৃষি জমি থেকে ইটভাটাগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তোলার জন্য এর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

মাদারীপুরে প্রতি বছর কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ইটভাটা। ভাটার আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে ত্রিফসলি জমি। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলছেন, সেখানে অতি উর্বর জমির পরিমাণ ১২ হাজার ৫৭০ হেক্টর। গত এক দশকে সে জমির একটি বড় অংশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। ফলে দিন দিন উৎপাদন কমছে খাদ্য উদ্বৃত্ত এই জেলায়।

মাদারীপুরে কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের খবরটি উদ্বেগজনক। তবে বিষয়টি যে শুধু মাদারীপুরেই হচ্ছে তা নয়, গোটা দেশেই কৃষি জমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-তে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ইটভাটায় ফসলি জমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি ২ বছর কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অথচ এসব আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা করছে না কেউ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরাই অনাচার করছে। রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

ফসলি জমিতে ইটভাটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো বন্ধ করা দরকার। অন্যথায় ভূমিক্ষয় বাড়বে, পাশাপাশি আবাদি জমি সংকট দেখা দেবে। আইন লঙ্ঘন করার দুঃসাহস দেখিয়ে অতি উর্বর জমিতে কিভাবে এত ইটভাটা গড়ে উঠল সেটা জানা দরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও তদন্তের দাবি রাখে।

কৃষি জমি থেকে ইটভাটাগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তোলার জন্য এর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

back to top