ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ওই জেলেদের পরিবারপ্রতি (দুই মাসের জন্য) ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। গত ২৯ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, একেকজন জেলেকে দুই মাসে ৮০ কেজির জায়গায় ৩৫-৩৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে।
দুই মাস ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার, বহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত নিষিদ্ধ। এতে জেলার প্রায় দুই লাখ জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। বিকল্প কোন কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোন আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি না জোটে, তাহলে তাদের কষ্ট সহজেই অনুমেয়।
দরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে বাধ্য হন। ফলে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।
উল্লিখিত ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বলছেন, বহন খরচের কারণে জেলেদের চাল কম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার চাল পরিবহন খরচ ঠিকমতো দিচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দূরত্ব কতটা যে এই পথ পাড়ি দেয়ার জন্য বরাদ্দকৃত চালের বেশিরভাগ অংশই বাদ দেয়া হবে? বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
জেলেদের জন্য সরকার যদি চাল বরাদ্দই দিতে পারে তবে তা সঠিকভাবে বিতরণের জন্য উপজেলা থেকে ইউনিয়নে পৌঁছে দেয়ার কাজটিও অসম্ভব কিছু নয়। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ওই জেলেদের পরিবারপ্রতি (দুই মাসের জন্য) ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। গত ২৯ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, একেকজন জেলেকে দুই মাসে ৮০ কেজির জায়গায় ৩৫-৩৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে।
দুই মাস ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার, বহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত নিষিদ্ধ। এতে জেলার প্রায় দুই লাখ জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। বিকল্প কোন কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোন আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি না জোটে, তাহলে তাদের কষ্ট সহজেই অনুমেয়।
দরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে বাধ্য হন। ফলে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।
উল্লিখিত ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বলছেন, বহন খরচের কারণে জেলেদের চাল কম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার চাল পরিবহন খরচ ঠিকমতো দিচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দূরত্ব কতটা যে এই পথ পাড়ি দেয়ার জন্য বরাদ্দকৃত চালের বেশিরভাগ অংশই বাদ দেয়া হবে? বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
জেলেদের জন্য সরকার যদি চাল বরাদ্দই দিতে পারে তবে তা সঠিকভাবে বিতরণের জন্য উপজেলা থেকে ইউনিয়নে পৌঁছে দেয়ার কাজটিও অসম্ভব কিছু নয়। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।