বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের মূল ভাগাড় বর্জ্যে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গর্ত খুঁড়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টন বর্জ্য জমা হচ্ছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে হাসপাতালের রোগীদের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ চিকিৎসা কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের এক তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এপ্রিলে সারাদেশে ১৪,৫০০ টন চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে দেশে মেডিকেল বর্জ্যরে পরিমাণ আরও বেড়েছে। মেডিকেল বর্জ্য এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। করোনার রোগীর বর্জ্য এ ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দেশের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্মত আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। মেডিকেল বর্জ্যরে নিরাপদ নিষ্কাশন নিয়ে ২০০৮ সালে আইন হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি খুবই দুর্বল। তারা মনে করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে সব চিকিৎসা কেন্দ্রে মেডিকেল ইনসিনেরেটর এবং অটোক্লেভসহ আধুনিক ব্যবস্থাথাকতে হবে। তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সক্ষমতা নিশ্চিত করাও জরুরি। সব হাসপাতালে মেডিকেল বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
রোববার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের মূল ভাগাড় বর্জ্যে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গর্ত খুঁড়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টন বর্জ্য জমা হচ্ছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে হাসপাতালের রোগীদের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ চিকিৎসা কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের এক তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এপ্রিলে সারাদেশে ১৪,৫০০ টন চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে দেশে মেডিকেল বর্জ্যরে পরিমাণ আরও বেড়েছে। মেডিকেল বর্জ্য এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। করোনার রোগীর বর্জ্য এ ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দেশের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্মত আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। মেডিকেল বর্জ্যরে নিরাপদ নিষ্কাশন নিয়ে ২০০৮ সালে আইন হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি খুবই দুর্বল। তারা মনে করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে সব চিকিৎসা কেন্দ্রে মেডিকেল ইনসিনেরেটর এবং অটোক্লেভসহ আধুনিক ব্যবস্থাথাকতে হবে। তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সক্ষমতা নিশ্চিত করাও জরুরি। সব হাসপাতালে মেডিকেল বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।