নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপরও অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছেন। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। করোনা নিয়ন্ত্রণে কথিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেয়া হলেও তা মানতে দেখা যায়নি।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি উদ্বেগজনক। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এগুলো স্বাস্থ্যবিধির প্রধান শর্ত। মাস্ক ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ হিসেবে বিবেচিত। জনসমাগম এড়িয়ে চলাও অন্যতম শর্ত। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই এক ধরনের উপেক্ষা-অবজ্ঞা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাস্তবতা হলো, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে অনেক মানুষই আর ঘরে থাকতে পারছেন না। অনেক জায়গায় বোধগম্য কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতেই হবে এবং এর একমাত্র পথ স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ অনুসরণ। বিশেষ করে মাস্ক পরার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুরক্ষা বাড়বে যদি স্বাস্থ্যবিধির নিয়মগুলোকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ করে তোলা যায়। বিশেষত, শতভাগ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের ওপর সর্বাত্মক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাফল্যের একটা বড় কারণ মাস্কের ব্যাপক ব্যবহার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন রকম শৈথিল্য চলবে না। জনগণ কথা শুনছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, এটা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের উচিত যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা।
দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনির্দিষ্টকাল কঠোর বিধিনিষেধ চালানো সম্ভব নয়। এতে সিংহভাগ মানুষের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই বাস্তবতায় লকডাউনের বিকল্প খুঁজতে হবে। অনেক দেশই কঠোর বিধিনিষেধের পরিবর্তে স্মার্ট লকডাউনের দিকে ঝুঁকছে। এর মাধ্যমে পুরো লকডাউন না করে যে স্থানটি করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে সেই স্থানেই লকডাউন করা হচ্ছে। বাংলাদেশও সেই পথটি বেছে নিতে পারে।
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপরও অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছেন। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। করোনা নিয়ন্ত্রণে কথিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেয়া হলেও তা মানতে দেখা যায়নি।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি উদ্বেগজনক। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এগুলো স্বাস্থ্যবিধির প্রধান শর্ত। মাস্ক ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ হিসেবে বিবেচিত। জনসমাগম এড়িয়ে চলাও অন্যতম শর্ত। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই এক ধরনের উপেক্ষা-অবজ্ঞা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাস্তবতা হলো, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে অনেক মানুষই আর ঘরে থাকতে পারছেন না। অনেক জায়গায় বোধগম্য কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতেই হবে এবং এর একমাত্র পথ স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ অনুসরণ। বিশেষ করে মাস্ক পরার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুরক্ষা বাড়বে যদি স্বাস্থ্যবিধির নিয়মগুলোকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ করে তোলা যায়। বিশেষত, শতভাগ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের ওপর সর্বাত্মক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাফল্যের একটা বড় কারণ মাস্কের ব্যাপক ব্যবহার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন রকম শৈথিল্য চলবে না। জনগণ কথা শুনছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, এটা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের উচিত যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা।
দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনির্দিষ্টকাল কঠোর বিধিনিষেধ চালানো সম্ভব নয়। এতে সিংহভাগ মানুষের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই বাস্তবতায় লকডাউনের বিকল্প খুঁজতে হবে। অনেক দেশই কঠোর বিধিনিষেধের পরিবর্তে স্মার্ট লকডাউনের দিকে ঝুঁকছে। এর মাধ্যমে পুরো লকডাউন না করে যে স্থানটি করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে সেই স্থানেই লকডাউন করা হচ্ছে। বাংলাদেশও সেই পথটি বেছে নিতে পারে।