প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দুবসতিতে অগ্নিসংযোগ
গত সোমবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভায় একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আরও চারটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করার জন্য দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ছিটায়। মন্দিরে রেখে যাওয়া চারটি চিঠিতে দুর্বৃত্তরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়িতে বা প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কখনো সবার অগোচরে রাতের আঁধারে আবার কখনো দিনেদুপুরে জনসম্মখেই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায় ব্যপক হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নানানভাবে নানান মাত্রায় সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে রাষ্ট্র কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কেন নিতে পারছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখনই কোন সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। বাস্তবে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শরীয়তপুরে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে সেটা খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মদত দেয়া বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া বন্ধ করা জরুরি। কেবল যে ধর্মীয় গোষ্ঠী বা সংগঠনের লোকরাই সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় তা নয়। অতীতে অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললে চলবে না, নিজ দলেও এর চর্চা করতে হবে।
প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দুবসতিতে অগ্নিসংযোগ
বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
গত সোমবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভায় একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আরও চারটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করার জন্য দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ছিটায়। মন্দিরে রেখে যাওয়া চারটি চিঠিতে দুর্বৃত্তরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়িতে বা প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কখনো সবার অগোচরে রাতের আঁধারে আবার কখনো দিনেদুপুরে জনসম্মখেই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায় ব্যপক হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নানানভাবে নানান মাত্রায় সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে রাষ্ট্র কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কেন নিতে পারছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখনই কোন সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। বাস্তবে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শরীয়তপুরে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে সেটা খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মদত দেয়া বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া বন্ধ করা জরুরি। কেবল যে ধর্মীয় গোষ্ঠী বা সংগঠনের লোকরাই সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় তা নয়। অতীতে অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললে চলবে না, নিজ দলেও এর চর্চা করতে হবে।