alt

সম্পাদকীয়

প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দুবসতিতে অগ্নিসংযোগ

জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিন

: বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

গত সোমবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভায় একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আরও চারটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করার জন্য দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ছিটায়। মন্দিরে রেখে যাওয়া চারটি চিঠিতে দুর্বৃত্তরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়িতে বা প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কখনো সবার অগোচরে রাতের আঁধারে আবার কখনো দিনেদুপুরে জনসম্মখেই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায় ব্যপক হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নানানভাবে নানান মাত্রায় সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে রাষ্ট্র কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কেন নিতে পারছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখনই কোন সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। বাস্তবে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শরীয়তপুরে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে সেটা খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মদত দেয়া বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া বন্ধ করা জরুরি। কেবল যে ধর্মীয় গোষ্ঠী বা সংগঠনের লোকরাই সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় তা নয়। অতীতে অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললে চলবে না, নিজ দলেও এর চর্চা করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দুবসতিতে অগ্নিসংযোগ

জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিন

বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

গত সোমবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভায় একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আরও চারটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করার জন্য দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ছিটায়। মন্দিরে রেখে যাওয়া চারটি চিঠিতে দুর্বৃত্তরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়িতে বা প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কখনো সবার অগোচরে রাতের আঁধারে আবার কখনো দিনেদুপুরে জনসম্মখেই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায় ব্যপক হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নানানভাবে নানান মাত্রায় সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে রাষ্ট্র কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কেন নিতে পারছে না সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে যখনই কোন সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। বাস্তবে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শরীয়তপুরে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে সেটা খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মদত দেয়া বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া বন্ধ করা জরুরি। কেবল যে ধর্মীয় গোষ্ঠী বা সংগঠনের লোকরাই সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় তা নয়। অতীতে অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে শুধু মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললে চলবে না, নিজ দলেও এর চর্চা করতে হবে।

back to top