কাঁচা রাস্তায় গ্রামের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছে। পাকা সড়ক হচ্ছে খবরে আনন্দ বইছিল গ্রামে। প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণকাজ পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটির নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। কিন্তু রাস্তা নির্মাণে বালুর পরিবর্তে ফেলা হচ্ছে পুকুর থেকে তোলা কাদামাটি। এমন ঘটনা ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঘটেছে। গত সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষকে সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্ভাগ্যজনক হলো, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কোটি টাকা ব্যয়ে যে সড়ক তৈরি হচ্ছে সেখানেই চলছে অনিয়ম। এ অভিযোগ শুধু গৌরীপুরে নয়, দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই আসছে। যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার না করে অপরিকল্পিতভাবে নিম্নমানের খোয়া ও অপর্যাপ্ত বালি দিয়ে এবং খোয়া না দিয়ে কাদার ওপর বিটুমিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে কমছে সড়কের স্থায়িত্ব। টেকসইভাবে এগুলো মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় তাতে শুধু অর্থের অপচয় হচ্ছে।
গত বছর গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, এলজিইডির ৫৩ শতাংশ সড়কই খারাপ, ব্যবহারের অনুপযুক্ত। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মূলত অনিয়ম-দুর্নীতি, অদক্ষ ঠিকাদার, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নকশার ত্রুটি সড়ক নেটওয়ার্ককে ভঙ্গুর দশায় নিয়ে গেছে। সমস্যাগুলো জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করা দরকার। গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম স্তম্ভ এসব সড়ক বেহাল হলে তা জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উন্নয়নের সুফল থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগণ বঞ্চিত হয়।
সড়ক নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হলে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। সংস্কার ও মেরামতের কাজে যারা গাফিলতি করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি সনাতন ধারার পরিবর্তে কীভাবে সড়কের টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায়, সে ব্যাপারে গবেষণা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
কাঁচা রাস্তায় গ্রামের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছে। পাকা সড়ক হচ্ছে খবরে আনন্দ বইছিল গ্রামে। প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণকাজ পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটির নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। কিন্তু রাস্তা নির্মাণে বালুর পরিবর্তে ফেলা হচ্ছে পুকুর থেকে তোলা কাদামাটি। এমন ঘটনা ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঘটেছে। গত সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষকে সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্ভাগ্যজনক হলো, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কোটি টাকা ব্যয়ে যে সড়ক তৈরি হচ্ছে সেখানেই চলছে অনিয়ম। এ অভিযোগ শুধু গৌরীপুরে নয়, দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই আসছে। যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার না করে অপরিকল্পিতভাবে নিম্নমানের খোয়া ও অপর্যাপ্ত বালি দিয়ে এবং খোয়া না দিয়ে কাদার ওপর বিটুমিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে কমছে সড়কের স্থায়িত্ব। টেকসইভাবে এগুলো মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় তাতে শুধু অর্থের অপচয় হচ্ছে।
গত বছর গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, এলজিইডির ৫৩ শতাংশ সড়কই খারাপ, ব্যবহারের অনুপযুক্ত। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মূলত অনিয়ম-দুর্নীতি, অদক্ষ ঠিকাদার, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নকশার ত্রুটি সড়ক নেটওয়ার্ককে ভঙ্গুর দশায় নিয়ে গেছে। সমস্যাগুলো জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করা দরকার। গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম স্তম্ভ এসব সড়ক বেহাল হলে তা জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উন্নয়নের সুফল থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগণ বঞ্চিত হয়।
সড়ক নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হলে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। সংস্কার ও মেরামতের কাজে যারা গাফিলতি করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি সনাতন ধারার পরিবর্তে কীভাবে সড়কের টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায়, সে ব্যাপারে গবেষণা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।