ডিএনসিসির করোনা হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার বিশেষ হাসপাতাল। অথচ এখানেই করোনা পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। ওষুধপত্রেও ঘাটতি রয়েছে। এমনকি ইসিজি, সিটি স্ক্যান, ব্লাড টেস্টের জন্যও রোগী নিয়ে ছুটতে হয় অন্য হাসপাতালে। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য অন্য হাসপাতালে যেতে হয়। করোনা রোগীদের এভাবে টানাহেঁচড়া করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে।
শুধু করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড-১৯ হাসপাতালটি চালু হয় গত ১৮ এপ্রিল। বলা হয়েছিল, এক হাজারের বেশি শয্যার এই হাসপাতালটিতে কভিড আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টো চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করছে। প্রশ্ন হলো, যে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষারই কোন ব্যবস্থা নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, ওষুধপত্র নেই, সেই হাসপাতাল কীভাবে করোনা চিকিৎসার বিশেষায়িত হাসপাতাল হয়?
দেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠার পর সারাদেশে হাসপাতালগুলো মনিটরিং জোরদার করার কথা বলা হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি মনিটরিং কমিটিও গঠিত হয়েছিল সে সময়। আমরা জানতে চাই, সে মনিটরিং ব্যবস্থা কি এখনও সচল আছে? যদি সেটা সচল থাকে তবে তাদের কাজটা কি? করোনার জন্য স্থাপিত দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত হাসপাতালেই যদি অব্যবস্থাপনা চলে তবে দেশের অন্যান্য হাসপাতালে কি ধরনের চিকিৎসা হচ্ছে সেটা ভাবতেও ভয় হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ যে বাড়বে সেটা বলাবাহুল্য।
চিকিৎসা না পাওয়া এবং ভোগান্তির কারণে মানুষ হাসপাতাল বিমুখ হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য অনতিবিলম্বে মনিটরিংয়ের দিকে নজর দেয়া দরকার। বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালে কেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না সেটা জানা দরকার। এ ব্যাপারে কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাস্তবতা সামনে রেখে চিকিৎসাসেবায় বিরাজমান বিশৃঙ্খলা দূর করার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে, এটাই প্রত্যাশা।
বুধবার, ০৫ মে ২০২১
ডিএনসিসির করোনা হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার বিশেষ হাসপাতাল। অথচ এখানেই করোনা পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। ওষুধপত্রেও ঘাটতি রয়েছে। এমনকি ইসিজি, সিটি স্ক্যান, ব্লাড টেস্টের জন্যও রোগী নিয়ে ছুটতে হয় অন্য হাসপাতালে। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য অন্য হাসপাতালে যেতে হয়। করোনা রোগীদের এভাবে টানাহেঁচড়া করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে।
শুধু করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড-১৯ হাসপাতালটি চালু হয় গত ১৮ এপ্রিল। বলা হয়েছিল, এক হাজারের বেশি শয্যার এই হাসপাতালটিতে কভিড আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টো চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করছে। প্রশ্ন হলো, যে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষারই কোন ব্যবস্থা নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, ওষুধপত্র নেই, সেই হাসপাতাল কীভাবে করোনা চিকিৎসার বিশেষায়িত হাসপাতাল হয়?
দেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠার পর সারাদেশে হাসপাতালগুলো মনিটরিং জোরদার করার কথা বলা হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি মনিটরিং কমিটিও গঠিত হয়েছিল সে সময়। আমরা জানতে চাই, সে মনিটরিং ব্যবস্থা কি এখনও সচল আছে? যদি সেটা সচল থাকে তবে তাদের কাজটা কি? করোনার জন্য স্থাপিত দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত হাসপাতালেই যদি অব্যবস্থাপনা চলে তবে দেশের অন্যান্য হাসপাতালে কি ধরনের চিকিৎসা হচ্ছে সেটা ভাবতেও ভয় হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ যে বাড়বে সেটা বলাবাহুল্য।
চিকিৎসা না পাওয়া এবং ভোগান্তির কারণে মানুষ হাসপাতাল বিমুখ হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য অনতিবিলম্বে মনিটরিংয়ের দিকে নজর দেয়া দরকার। বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালে কেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না সেটা জানা দরকার। এ ব্যাপারে কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাস্তবতা সামনে রেখে চিকিৎসাসেবায় বিরাজমান বিশৃঙ্খলা দূর করার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে, এটাই প্রত্যাশা।