alt

সম্পাদকীয়

রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চার্জশিট দিয়েছে। সেখানে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিকটিমের মা সালমা বেগম বলেছেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার মতো চার্জশিট দেয়া হলে তারা দীর্ঘ অপেক্ষা সার্থক হবে। তবে চার্জশিটে পুলিশ সদস্যদের রক্ষার জন্য তার ছেলের বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান গণমাধ্যমকে বলছেন, তদন্তে যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য পাঁচজন। পরে বিষয়গুলো আদালতে নিষ্পত্তি হবে।

রায়হান আহমদকে গত বছর ১১ অক্টোবরে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট উত্তাল হয়ে উঠেছিল, দেশজুড়ে সমালোচনা হয়েছিল। নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দেশের অনেক স্থানে তখন বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে রাখা হয়। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর চার্জশিট দেয়া হলো। তদন্তে বেশি সময় লাগার কারণে সমালোচনা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্ত করতে গিয়ে সময় বেশি লেগেছে। ভিকটিমের স্বজনরা চার্জশিট নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ায় এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন যে, মামলার আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য অভিযোগপত্র তৈরি করার কাজে তারা বেশি যতœবান ছিলেন। তারা মনে করছেন, আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

পুলিশ হেফাজতে কারও এমন মৃত্যু কাম্য নয়। রায়হানকে যারা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে, তার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। অভিযুক্তরা কোন বাহিনীর সদস্য বলে যেন পার পেয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচার হলেই শুধু সব বিতর্কের অবসান হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চার্জশিট দিয়েছে। সেখানে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিকটিমের মা সালমা বেগম বলেছেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার মতো চার্জশিট দেয়া হলে তারা দীর্ঘ অপেক্ষা সার্থক হবে। তবে চার্জশিটে পুলিশ সদস্যদের রক্ষার জন্য তার ছেলের বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান গণমাধ্যমকে বলছেন, তদন্তে যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য পাঁচজন। পরে বিষয়গুলো আদালতে নিষ্পত্তি হবে।

রায়হান আহমদকে গত বছর ১১ অক্টোবরে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট উত্তাল হয়ে উঠেছিল, দেশজুড়ে সমালোচনা হয়েছিল। নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দেশের অনেক স্থানে তখন বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে রাখা হয়। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর চার্জশিট দেয়া হলো। তদন্তে বেশি সময় লাগার কারণে সমালোচনা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্ত করতে গিয়ে সময় বেশি লেগেছে। ভিকটিমের স্বজনরা চার্জশিট নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ায় এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন যে, মামলার আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য অভিযোগপত্র তৈরি করার কাজে তারা বেশি যতœবান ছিলেন। তারা মনে করছেন, আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

পুলিশ হেফাজতে কারও এমন মৃত্যু কাম্য নয়। রায়হানকে যারা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে, তার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। অভিযুক্তরা কোন বাহিনীর সদস্য বলে যেন পার পেয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচার হলেই শুধু সব বিতর্কের অবসান হবে।

back to top