alt

সম্পাদকীয়

ক্যাসিনোকান্ড

মামলার তদন্ত কাজ কবে শেষ হবে

: রোববার, ০৯ মে ২০২১

ক্যাসিনোকান্ডে সম্রাট ও আরমানের মতো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধরা পড়েছিলেন ১৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা করেছিল পুলিশ, র‌্যাব ও দুদক। এর মধ্যে ৩৫টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যখন সরকার ক্যাসিনো-কান্ড তথা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে, তখন এই বার্তাই দেয়া হচ্ছিল যে অন্যায় করে এখন আর কেউ পার পাবে না। সব দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় আনা হবে। শুদ্ধি অভিযানে মানুষের মধ্যেও এ আশার সঞ্চার হয়েছিল যে বিলম্বে হলেও সরকার অনাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একটা পর্যায়ে এসে শুদ্ধি অভিযান থেমে যায়। তারপরও প্রত্যাশা ছিল যে, যাদের ধরা হয়েছে অন্তত তাদের বিচার হবে। কিন্তু মামলার তদন্তে যে ধীরগতি চলছে, তাতে এর ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।

ক্যাসিনো-কান্ডে করা মামলাগুলোর তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত। তদন্তই যদি শেষ না হয়, বিচারিক কাজ এগোবে কীভাবে? ক্যাসিনোকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি কমবেশি সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তারা যে খুবই প্রভাবশালী এতে কোন সন্দেহ নেই। ফলে আটক হওয়ার পরও যে তারা নানাভাবে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে, কোন অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রতিটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

ক্যাসিনোকান্ড

মামলার তদন্ত কাজ কবে শেষ হবে

রোববার, ০৯ মে ২০২১

ক্যাসিনোকান্ডে সম্রাট ও আরমানের মতো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধরা পড়েছিলেন ১৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা করেছিল পুলিশ, র‌্যাব ও দুদক। এর মধ্যে ৩৫টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যখন সরকার ক্যাসিনো-কান্ড তথা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে, তখন এই বার্তাই দেয়া হচ্ছিল যে অন্যায় করে এখন আর কেউ পার পাবে না। সব দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় আনা হবে। শুদ্ধি অভিযানে মানুষের মধ্যেও এ আশার সঞ্চার হয়েছিল যে বিলম্বে হলেও সরকার অনাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একটা পর্যায়ে এসে শুদ্ধি অভিযান থেমে যায়। তারপরও প্রত্যাশা ছিল যে, যাদের ধরা হয়েছে অন্তত তাদের বিচার হবে। কিন্তু মামলার তদন্তে যে ধীরগতি চলছে, তাতে এর ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।

ক্যাসিনো-কান্ডে করা মামলাগুলোর তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত। তদন্তই যদি শেষ না হয়, বিচারিক কাজ এগোবে কীভাবে? ক্যাসিনোকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি কমবেশি সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তারা যে খুবই প্রভাবশালী এতে কোন সন্দেহ নেই। ফলে আটক হওয়ার পরও যে তারা নানাভাবে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে, কোন অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রতিটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

back to top