গাজায় কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ শিশুসহ ১৪৯ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার। পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে গাজায় এ হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুলনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। বিশ্বের যে কোনো স্থানে এ ধরনের জঘন্যতম হামলা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসরায়েল ১৯৪৮ সাল থেকেই প্যালেস্টাইনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। দেশটি তার টিকে থাকার অধিকারের কথা বলছে। প্যালেস্টাইনিরাও তা মেনে নিয়েছে। তাদের দাবি, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর দখল করা পূর্ব জেরুজালেমসহ আরব ভূমি ফেরত দেয়া হোক। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের অংশ হিসেবে তারা জেরুজালেমকে উভয় দেশের রাজধানী করাতেও রাজি। কিন্তু ইসরায়েল তুলছে মিথের দাবি। প্রাচীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের কথা বলে তারা সবকিছু জায়েজ করতে চায়। অথচ ইতিহাসে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না।
প্রতিদিনই কোন না কোন প্যালেস্টাইনিকে ঘর থেকে বের করে তার ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কারও ভিটে মাটি কারও বা ফসলের জমি কেড়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। আর যে ক’জনও নিজেদের ভিটে-মাটিতে বাস করছেন তাদের বসতবাড়ির চারিদিকে বিশাল উঁচু দেয়াল তৈরি করে সেগুলোকে এক রকম বন্দীশালায় পরিণত করে রেখেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যেভাবে দখলদার ইসরায়েলের পক্ষাবলম্বন করছে সেটা হতাশাজনক। তাদের এই অবস্থানের কারণে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটছে না বলে অনেকে মনে করেন। পেছন থেকে ইন্ধন না পেলে ইসরায়েলের একার পক্ষে প্যালেস্টাইনিসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে জোর-জবরদস্তি চালানো সম্ভব হতো না।
শক্তিধর দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রায়ই নাক গলাতে দেখা যায়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা তাদের মুখে জোরেশোরেই উচ্চারিত হয়। আমরা আশা করব, প্যালেস্টাইনে চলতে থাকা নির্মমতার বিরুদ্ধেও তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ হবে না। এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, সম্প্রদায় কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষে নয় বরং সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মানবতা ও ন্যায্যতার পক্ষেই সবাইকে এক হতে হবে। তবেই পাশবিকতার অবসান ঘটবে।
সোমবার, ১৭ মে ২০২১
গাজায় কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ শিশুসহ ১৪৯ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার। পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে গাজায় এ হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুলনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। বিশ্বের যে কোনো স্থানে এ ধরনের জঘন্যতম হামলা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসরায়েল ১৯৪৮ সাল থেকেই প্যালেস্টাইনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। দেশটি তার টিকে থাকার অধিকারের কথা বলছে। প্যালেস্টাইনিরাও তা মেনে নিয়েছে। তাদের দাবি, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর দখল করা পূর্ব জেরুজালেমসহ আরব ভূমি ফেরত দেয়া হোক। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের অংশ হিসেবে তারা জেরুজালেমকে উভয় দেশের রাজধানী করাতেও রাজি। কিন্তু ইসরায়েল তুলছে মিথের দাবি। প্রাচীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের কথা বলে তারা সবকিছু জায়েজ করতে চায়। অথচ ইতিহাসে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না।
প্রতিদিনই কোন না কোন প্যালেস্টাইনিকে ঘর থেকে বের করে তার ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কারও ভিটে মাটি কারও বা ফসলের জমি কেড়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। আর যে ক’জনও নিজেদের ভিটে-মাটিতে বাস করছেন তাদের বসতবাড়ির চারিদিকে বিশাল উঁচু দেয়াল তৈরি করে সেগুলোকে এক রকম বন্দীশালায় পরিণত করে রেখেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যেভাবে দখলদার ইসরায়েলের পক্ষাবলম্বন করছে সেটা হতাশাজনক। তাদের এই অবস্থানের কারণে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটছে না বলে অনেকে মনে করেন। পেছন থেকে ইন্ধন না পেলে ইসরায়েলের একার পক্ষে প্যালেস্টাইনিসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে জোর-জবরদস্তি চালানো সম্ভব হতো না।
শক্তিধর দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রায়ই নাক গলাতে দেখা যায়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা তাদের মুখে জোরেশোরেই উচ্চারিত হয়। আমরা আশা করব, প্যালেস্টাইনে চলতে থাকা নির্মমতার বিরুদ্ধেও তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ হবে না। এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, সম্প্রদায় কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষে নয় বরং সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মানবতা ও ন্যায্যতার পক্ষেই সবাইকে এক হতে হবে। তবেই পাশবিকতার অবসান ঘটবে।