alt

সম্পাদকীয়

উৎসবে উধাও স্বাস্থ্যবিধি

: সোমবার, ১৭ মে ২০২১

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে মানুষের ভিড় সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ উঠছে। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। ফেরি পার হয়ে ঢাকায় ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়ছে অনেকেই। বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

ঈদের ফিরতি যাত্রা নিরাপদ না করলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে না বলে সতর্ক করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের সে সতর্কবার্তা গুরুত্ব পেল না কারও কাছেই। ঈদকে সামনে রেখে গাদাগাদি করে বাড়িতে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এবার একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শহরে ফিরছে। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর অতি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

বস্তুত ঈদযাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ছিল না বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হলেও যাত্রীদের প্রচ- ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা লক্ষ্য করেছি-‘ঘরে’ ফেরার পথে ফেরিতে প্রচ- ভিড় ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই পাঁচজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণেই ফেরির ওপর এতটা চাপ পড়েছিল। পণ্যবাহী ট্রাকের ত্রিপলের নিচে গাদাগাদি করে লুকিয়ে ও কাভার্ডভ্যানে চড়ে বাড়ি যাওয়ার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

এ অবস্থায় মানুষ যাতে স্বস্তিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে ফিরতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে হলেও দূরপাল্লার যানবাহন চালু করা যায় কিনা-সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। করোনার ভারতীয় যে ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশে তা শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেশে ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া কত কঠিন হবে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। এ সংক্রান্ত যথাযথ পরিকল্পনা না নিলে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা না গেলে করোনা সংক্রমণের বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশ।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

উৎসবে উধাও স্বাস্থ্যবিধি

সোমবার, ১৭ মে ২০২১

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে মানুষের ভিড় সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ উঠছে। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। ফেরি পার হয়ে ঢাকায় ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়ছে অনেকেই। বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

ঈদের ফিরতি যাত্রা নিরাপদ না করলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে না বলে সতর্ক করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের সে সতর্কবার্তা গুরুত্ব পেল না কারও কাছেই। ঈদকে সামনে রেখে গাদাগাদি করে বাড়িতে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এবার একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শহরে ফিরছে। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর অতি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

বস্তুত ঈদযাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ছিল না বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হলেও যাত্রীদের প্রচ- ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা লক্ষ্য করেছি-‘ঘরে’ ফেরার পথে ফেরিতে প্রচ- ভিড় ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই পাঁচজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণেই ফেরির ওপর এতটা চাপ পড়েছিল। পণ্যবাহী ট্রাকের ত্রিপলের নিচে গাদাগাদি করে লুকিয়ে ও কাভার্ডভ্যানে চড়ে বাড়ি যাওয়ার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

এ অবস্থায় মানুষ যাতে স্বস্তিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে ফিরতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে হলেও দূরপাল্লার যানবাহন চালু করা যায় কিনা-সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। করোনার ভারতীয় যে ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশে তা শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেশে ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া কত কঠিন হবে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। এ সংক্রান্ত যথাযথ পরিকল্পনা না নিলে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা না গেলে করোনা সংক্রমণের বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশ।

back to top