ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে মানুষের ভিড় সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ উঠছে। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। ফেরি পার হয়ে ঢাকায় ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়ছে অনেকেই। বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
ঈদের ফিরতি যাত্রা নিরাপদ না করলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে না বলে সতর্ক করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের সে সতর্কবার্তা গুরুত্ব পেল না কারও কাছেই। ঈদকে সামনে রেখে গাদাগাদি করে বাড়িতে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এবার একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শহরে ফিরছে। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর অতি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
বস্তুত ঈদযাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ছিল না বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হলেও যাত্রীদের প্রচ- ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা লক্ষ্য করেছি-‘ঘরে’ ফেরার পথে ফেরিতে প্রচ- ভিড় ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই পাঁচজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণেই ফেরির ওপর এতটা চাপ পড়েছিল। পণ্যবাহী ট্রাকের ত্রিপলের নিচে গাদাগাদি করে লুকিয়ে ও কাভার্ডভ্যানে চড়ে বাড়ি যাওয়ার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
এ অবস্থায় মানুষ যাতে স্বস্তিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে ফিরতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে হলেও দূরপাল্লার যানবাহন চালু করা যায় কিনা-সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। করোনার ভারতীয় যে ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশে তা শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেশে ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া কত কঠিন হবে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। এ সংক্রান্ত যথাযথ পরিকল্পনা না নিলে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা না গেলে করোনা সংক্রমণের বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশ।
সোমবার, ১৭ মে ২০২১
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে মানুষের ভিড় সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ উঠছে। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। ফেরি পার হয়ে ঢাকায় ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়ছে অনেকেই। বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
ঈদের ফিরতি যাত্রা নিরাপদ না করলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে না বলে সতর্ক করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের সে সতর্কবার্তা গুরুত্ব পেল না কারও কাছেই। ঈদকে সামনে রেখে গাদাগাদি করে বাড়িতে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এবার একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শহরে ফিরছে। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর অতি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
বস্তুত ঈদযাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ছিল না বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হলেও যাত্রীদের প্রচ- ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা লক্ষ্য করেছি-‘ঘরে’ ফেরার পথে ফেরিতে প্রচ- ভিড় ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই পাঁচজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণেই ফেরির ওপর এতটা চাপ পড়েছিল। পণ্যবাহী ট্রাকের ত্রিপলের নিচে গাদাগাদি করে লুকিয়ে ও কাভার্ডভ্যানে চড়ে বাড়ি যাওয়ার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
এ অবস্থায় মানুষ যাতে স্বস্তিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে ফিরতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে হলেও দূরপাল্লার যানবাহন চালু করা যায় কিনা-সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। করোনার ভারতীয় যে ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশে তা শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেশে ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া কত কঠিন হবে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। এ সংক্রান্ত যথাযথ পরিকল্পনা না নিলে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা না গেলে করোনা সংক্রমণের বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশ।