alt

সম্পাদকীয়

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুর্দশা দূর করুন

: রোববার, ২০ জুন ২০২১

বিআরটি’র ঢিমেতেতালে চলতে থাকা প্রকল্পের কাজের জন্য গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিত্যদিনই যানজট লেগে আছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির পানি। বর্ষায় মহাসড়কের খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে। এতে যান চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কখনও কোন আনফিট গাড়ি যদি মহাসড়কে বিকল হয়ে পড়ে তাহলে দুর্ভোগের আর অন্ত থাকে না।

এই পথে যাতায়াতকারী গাজীপুরসহ প্রায় ৩৭ জেলার হাজারো যাত্রীদের প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে, পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। তারা যথা সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার পথে যাত্রীদেরকে কখনও কখনও ৮-৯ ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মহাসড়কটির দুরবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা মহাসড়কে যানজট এড়াতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিশেষ ট্রেন মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমাবে। তবে এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। মহাসড়কটিকে কীভাবে যান চলাচলের উপযোগী করা যায় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেছেন, বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে মহাসড়কের এই দশা হয়েছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। প্রকল্পের কাজে গতি আনতে হবে। গাজীপুর যাওয়ার সব বিকল্প রাস্তায় একসঙ্গে কাজ চলছে বলে জানা গেছে। এ কারণে যানজট এড়ানোর সব পথই বন্ধ হয়ে গেছে। সড়ক-মহাসড়কে চলমান কাজ দ্রুত শেষ করা না গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

সাময়িক সমাধান হিসেবে মহাসড়কের উপর রাখা প্রকল্পের নির্মাণ উপকরণ একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অধীনে আনতে হবে। সড়কের খানাখন্দ দ্রুত ভরাট করতে হবে। জানা গেছে, মহাসড়কের দুই পাশে গভীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলো এখনও সচল হয়নি। বৃষ্টির পানি যেন মহাসড়কে জমতে না পারে সেজন্য পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করা দরকার।

যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে সদা সজাগ থাকতে হবে। আনফিট গাড়ি যেন সড়কে চলতে না পারে সেজন্য নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুর্দশা দূর করুন

রোববার, ২০ জুন ২০২১

বিআরটি’র ঢিমেতেতালে চলতে থাকা প্রকল্পের কাজের জন্য গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিত্যদিনই যানজট লেগে আছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির পানি। বর্ষায় মহাসড়কের খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে। এতে যান চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কখনও কোন আনফিট গাড়ি যদি মহাসড়কে বিকল হয়ে পড়ে তাহলে দুর্ভোগের আর অন্ত থাকে না।

এই পথে যাতায়াতকারী গাজীপুরসহ প্রায় ৩৭ জেলার হাজারো যাত্রীদের প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে, পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। তারা যথা সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার পথে যাত্রীদেরকে কখনও কখনও ৮-৯ ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মহাসড়কটির দুরবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা মহাসড়কে যানজট এড়াতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিশেষ ট্রেন মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমাবে। তবে এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। মহাসড়কটিকে কীভাবে যান চলাচলের উপযোগী করা যায় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেছেন, বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে মহাসড়কের এই দশা হয়েছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। প্রকল্পের কাজে গতি আনতে হবে। গাজীপুর যাওয়ার সব বিকল্প রাস্তায় একসঙ্গে কাজ চলছে বলে জানা গেছে। এ কারণে যানজট এড়ানোর সব পথই বন্ধ হয়ে গেছে। সড়ক-মহাসড়কে চলমান কাজ দ্রুত শেষ করা না গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

সাময়িক সমাধান হিসেবে মহাসড়কের উপর রাখা প্রকল্পের নির্মাণ উপকরণ একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অধীনে আনতে হবে। সড়কের খানাখন্দ দ্রুত ভরাট করতে হবে। জানা গেছে, মহাসড়কের দুই পাশে গভীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলো এখনও সচল হয়নি। বৃষ্টির পানি যেন মহাসড়কে জমতে না পারে সেজন্য পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করা দরকার।

যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে সদা সজাগ থাকতে হবে। আনফিট গাড়ি যেন সড়কে চলতে না পারে সেজন্য নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।

back to top