নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রণোদনা
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, নৌ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। তাদের প্রত্যেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।
শহরাঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১৫০ কোটি টাকার ১৪ দিনের বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি চালাবে। ফোনকলের ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য ডেপুটি কমিশনারদেরকে (ডিসি) বরাদ্দ দেয়া হবে ১০০ কোটি টাকা। পিকেএসএফের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ঋণ সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন করে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। পাশাপাশি হোটেল, মোটেল এবং থিম পার্কসহ পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন পরিশোধ করার লক্ষ্যে এক হাজার কোটি টাকার মূলধন সহায়তা দেয়া হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।
নিম্ন আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আরও আগেই এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া জরুরি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দফায় দফায় জারি করা বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হবে। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের সরকারি সহায়তা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রশ্ন হচ্ছে, আড়াই হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার লকডাউনের ভার সামলাতে পারবে কিনা। লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে তার দুই সপ্তাহের প্রয়োজন মেটানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে প্রণোদনার টাকা দিয়েও মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। পেটে টান পড়লে তারা আবারও পথে নামবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেখা গেছে, যৎসামান্য প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা যায়নি।
মহামারীকালে নতুন করে যারা দরিদ্র হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি সেটা একটা প্রশ্ন। এমন অনেক পরিবার আছে যারা শত অভাব-অনটনেও সাহায্য-সহায়তা চাইতে পারে না। তাদের নিয়ে কখনো কোন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যায় না।
প্রণোদনার অর্থ বা খাদ্য সহায়তা যেন প্রকৃত অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেয়া ত্রাণ ও প্রণোদনার অর্থ নিয়ে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রণোদনা
বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, নৌ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। তাদের প্রত্যেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।
শহরাঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১৫০ কোটি টাকার ১৪ দিনের বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি চালাবে। ফোনকলের ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য ডেপুটি কমিশনারদেরকে (ডিসি) বরাদ্দ দেয়া হবে ১০০ কোটি টাকা। পিকেএসএফের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ঋণ সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন করে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। পাশাপাশি হোটেল, মোটেল এবং থিম পার্কসহ পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন পরিশোধ করার লক্ষ্যে এক হাজার কোটি টাকার মূলধন সহায়তা দেয়া হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।
নিম্ন আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আরও আগেই এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া জরুরি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দফায় দফায় জারি করা বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হবে। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের সরকারি সহায়তা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রশ্ন হচ্ছে, আড়াই হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার লকডাউনের ভার সামলাতে পারবে কিনা। লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে তার দুই সপ্তাহের প্রয়োজন মেটানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে প্রণোদনার টাকা দিয়েও মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। পেটে টান পড়লে তারা আবারও পথে নামবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেখা গেছে, যৎসামান্য প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা যায়নি।
মহামারীকালে নতুন করে যারা দরিদ্র হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি সেটা একটা প্রশ্ন। এমন অনেক পরিবার আছে যারা শত অভাব-অনটনেও সাহায্য-সহায়তা চাইতে পারে না। তাদের নিয়ে কখনো কোন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যায় না।
প্রণোদনার অর্থ বা খাদ্য সহায়তা যেন প্রকৃত অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেয়া ত্রাণ ও প্রণোদনার অর্থ নিয়ে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।