alt

সম্পাদকীয়

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রণোদনা

অনিয়ম-দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে

: বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, নৌ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। তাদের প্রত্যেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।

শহরাঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১৫০ কোটি টাকার ১৪ দিনের বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি চালাবে। ফোনকলের ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য ডেপুটি কমিশনারদেরকে (ডিসি) বরাদ্দ দেয়া হবে ১০০ কোটি টাকা। পিকেএসএফের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ঋণ সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন করে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। পাশাপাশি হোটেল, মোটেল এবং থিম পার্কসহ পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন পরিশোধ করার লক্ষ্যে এক হাজার কোটি টাকার মূলধন সহায়তা দেয়া হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।

নিম্ন আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আরও আগেই এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া জরুরি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দফায় দফায় জারি করা বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হবে। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের সরকারি সহায়তা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

প্রশ্ন হচ্ছে, আড়াই হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার লকডাউনের ভার সামলাতে পারবে কিনা। লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে তার দুই সপ্তাহের প্রয়োজন মেটানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে প্রণোদনার টাকা দিয়েও মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। পেটে টান পড়লে তারা আবারও পথে নামবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেখা গেছে, যৎসামান্য প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা যায়নি।

মহামারীকালে নতুন করে যারা দরিদ্র হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি সেটা একটা প্রশ্ন। এমন অনেক পরিবার আছে যারা শত অভাব-অনটনেও সাহায্য-সহায়তা চাইতে পারে না। তাদের নিয়ে কখনো কোন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যায় না।

প্রণোদনার অর্থ বা খাদ্য সহায়তা যেন প্রকৃত অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেয়া ত্রাণ ও প্রণোদনার অর্থ নিয়ে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রণোদনা

অনিয়ম-দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে

বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, নৌ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। তাদের প্রত্যেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।

শহরাঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১৫০ কোটি টাকার ১৪ দিনের বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি চালাবে। ফোনকলের ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য ডেপুটি কমিশনারদেরকে (ডিসি) বরাদ্দ দেয়া হবে ১০০ কোটি টাকা। পিকেএসএফের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ঋণ সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন করে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। পাশাপাশি হোটেল, মোটেল এবং থিম পার্কসহ পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন পরিশোধ করার লক্ষ্যে এক হাজার কোটি টাকার মূলধন সহায়তা দেয়া হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।

নিম্ন আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আরও আগেই এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া জরুরি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দফায় দফায় জারি করা বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হবে। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের সরকারি সহায়তা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

প্রশ্ন হচ্ছে, আড়াই হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার লকডাউনের ভার সামলাতে পারবে কিনা। লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে তার দুই সপ্তাহের প্রয়োজন মেটানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে প্রণোদনার টাকা দিয়েও মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। পেটে টান পড়লে তারা আবারও পথে নামবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেখা গেছে, যৎসামান্য প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা যায়নি।

মহামারীকালে নতুন করে যারা দরিদ্র হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি সেটা একটা প্রশ্ন। এমন অনেক পরিবার আছে যারা শত অভাব-অনটনেও সাহায্য-সহায়তা চাইতে পারে না। তাদের নিয়ে কখনো কোন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যায় না।

প্রণোদনার অর্থ বা খাদ্য সহায়তা যেন প্রকৃত অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেয়া ত্রাণ ও প্রণোদনার অর্থ নিয়ে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

back to top