দেশে শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, কানের রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বছর তিনেক আগে সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ঔষধ প্রশাসন, আইসিডিডিআরবি, গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ও দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ ডিনামিক্স, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির দেয়া যৌথ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছিল।
এখন জানা যাচ্ছে, দেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে রোগজীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। বিষয়টা অনেক শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আইসিডিডিআর, বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) পরিচালিত একটি নতুন গবেষণা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. হ্যারিস বলেছেন, কোভিড-১৯ যদি একটি জলোচ্ছ্বাস হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সমস্যাকে বলতে হবে বন্যা। এবং বাংলাদেশের শিশুরা ইতোমধ্যেই এই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরেক মহামারী সৃষ্টি হতে পারে বলে দীর্ঘকাল ধরেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা অবশ্য সারা বিশ্বেরই সমস্যা। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সমস্যা ইতোমধ্যে শেকড় গেড়ে বসেছে। এর বিরুদ্ধে সচেতন না হলে করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে মানবজাতিকে।
ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় একটি কারণ হচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার। অনেক রোগী বা রোগীর স্বজন, একশ্রেণীর ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই বিপজ্জনক প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক যেন বিক্রি করা না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। আবার যেসব রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জরুরি সেসব ক্ষেত্রে যেন নিয়ম ও মাত্রা মেনে ওষুধ গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নিয়ম যথার্থভাবে না মানা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর শরীরে কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।
রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১
দেশে শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, কানের রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বছর তিনেক আগে সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ঔষধ প্রশাসন, আইসিডিডিআরবি, গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ও দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ ডিনামিক্স, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির দেয়া যৌথ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছিল।
এখন জানা যাচ্ছে, দেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে রোগজীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। বিষয়টা অনেক শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আইসিডিডিআর, বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) পরিচালিত একটি নতুন গবেষণা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. হ্যারিস বলেছেন, কোভিড-১৯ যদি একটি জলোচ্ছ্বাস হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সমস্যাকে বলতে হবে বন্যা। এবং বাংলাদেশের শিশুরা ইতোমধ্যেই এই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরেক মহামারী সৃষ্টি হতে পারে বলে দীর্ঘকাল ধরেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা অবশ্য সারা বিশ্বেরই সমস্যা। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সমস্যা ইতোমধ্যে শেকড় গেড়ে বসেছে। এর বিরুদ্ধে সচেতন না হলে করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে মানবজাতিকে।
ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় একটি কারণ হচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার। অনেক রোগী বা রোগীর স্বজন, একশ্রেণীর ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই বিপজ্জনক প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক যেন বিক্রি করা না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। আবার যেসব রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জরুরি সেসব ক্ষেত্রে যেন নিয়ম ও মাত্রা মেনে ওষুধ গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নিয়ম যথার্থভাবে না মানা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর শরীরে কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।