বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে। শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রেখে সবচেয়ে কঠোর লকডাউন দেয়ার কথা আগেই বলেছিল সরকার। পোশাক কারখানা মালিকরা কঠোর লকডাউনেও কারখানা খোলার দাবি জানিয়েছিলেন। অনেকে লকডাউন পিছিয়ে দেয়ার দাবি তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ হয়নি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই বিধিনিষেধ পালন করা হবে।
গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। সরকার বলেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে শ্রমজীবী মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবিকার দিক বিবেচনা করে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। এর আগে ঈদুল ফিতরের সময় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গণপরিবহন বন্ধ রেখেও মানুষের ঘরমুখীযাত্রা বন্ধ করা যায়নি। ঈদুল আজহায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও পশুর হাট, বিপণিবিতান, গণপরিবহন প্রভৃতি চালানোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছিল। বাস্তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বললেই চলে।
ঈদের আগে কয়েক দফায় কখনো কঠোর আবার কখনো সীমিত আকারের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। বাস্তবে কঠোর বা সীমিত কোন বিধিনিষেধই মানুষকে মানতে দেখা যায়নি। জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হয়েছে। আবার লকডাউনের কথা শুনে বহু মানুষ দলে দলে ঢাকা ছেড়েছে। ঘরমুখো যাত্রায় সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার চড়া মাসুল গুনতে হতে পারে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণে করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে পারে।
কঠোর বিধিনিষেধ যেন কাগজে-কলমে আবদ্ধ না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের মুখে মাস্ক আছে কিনা, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা- সেসব মনিটর করা জরুরি। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অর্থ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। তবে এ সহায়তা দিয়ে তারা ঘরে থেকে দুই সপ্তাহ দুইবেলা দু’মুঠো খেতে পারবে কিনাÑ সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সরকারকে এমনভাবে সহায়তা দিতে হবে যাতে মানুষের প্রাণের পাশাপাশি পেটও রক্ষা পায়।
শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে। শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রেখে সবচেয়ে কঠোর লকডাউন দেয়ার কথা আগেই বলেছিল সরকার। পোশাক কারখানা মালিকরা কঠোর লকডাউনেও কারখানা খোলার দাবি জানিয়েছিলেন। অনেকে লকডাউন পিছিয়ে দেয়ার দাবি তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ হয়নি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই বিধিনিষেধ পালন করা হবে।
গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। সরকার বলেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে শ্রমজীবী মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবিকার দিক বিবেচনা করে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। এর আগে ঈদুল ফিতরের সময় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গণপরিবহন বন্ধ রেখেও মানুষের ঘরমুখীযাত্রা বন্ধ করা যায়নি। ঈদুল আজহায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও পশুর হাট, বিপণিবিতান, গণপরিবহন প্রভৃতি চালানোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছিল। বাস্তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বললেই চলে।
ঈদের আগে কয়েক দফায় কখনো কঠোর আবার কখনো সীমিত আকারের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। বাস্তবে কঠোর বা সীমিত কোন বিধিনিষেধই মানুষকে মানতে দেখা যায়নি। জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হয়েছে। আবার লকডাউনের কথা শুনে বহু মানুষ দলে দলে ঢাকা ছেড়েছে। ঘরমুখো যাত্রায় সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার চড়া মাসুল গুনতে হতে পারে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণে করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে পারে।
কঠোর বিধিনিষেধ যেন কাগজে-কলমে আবদ্ধ না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের মুখে মাস্ক আছে কিনা, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা- সেসব মনিটর করা জরুরি। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অর্থ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। তবে এ সহায়তা দিয়ে তারা ঘরে থেকে দুই সপ্তাহ দুইবেলা দু’মুঠো খেতে পারবে কিনাÑ সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সরকারকে এমনভাবে সহায়তা দিতে হবে যাতে মানুষের প্রাণের পাশাপাশি পেটও রক্ষা পায়।