ঠিকাদার ও পানি উন্নন বোর্ডের (পাউবো) কর্তাব্যক্তিদের খামখেয়ালির শিকার হচ্ছে রংপুরের পীরগাছা ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ। রোববার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুড়াইল নদীর ২.৫ কিলোমিটার (কিমি) খনন না করেই কাজ সমাপ্ত করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। যেখানে নদী খনন করার কথা ছিল ১০ কিমি, সেখানে করা হয়েছে ৭.৫ কিমি। আবার যতটুক খনন করা হয়েছে তার মধ্যে কোথাও কোথাও এর প্রশস্ততা ১০ ফুট, কিন্তু সব জায়গায় হওয়ার কথা ছিল ৪০ ফুট। তাছাড়া নিয়মানুযায়ী নদীর তীর বাঁধাই না করেই সামাজিক বনায়ন করা হচ্ছে।
প্রশস্ততা কম-বেশি হওয়ায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা ও সেতু। পানির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ির উঠান, গাছপালা ও কৃষি জমির আংশিক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বুড়াইল নদীর উপর নির্মিত কালিরপাট সেতু, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং সেচ কাজের জন্য সদ্য স্থাপিত গভীর নলকূপ।
পাউবোর ঠিকাদার ও এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতীতেও নানান অভিযোগ উঠেছে। দেখা যায় এক শ্রেণীর অসাধু ঠিকাদার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকে। বুড়াইল নদী খনন করার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ২.৫ কিমি খননই করা হয়নি। খননে অনিয়মের কথা আংশিক হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারও স্বীকার করেছে। বিষয়টি পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অজানা থাকার কথা নয়। তারপরেও একটি অসম্পন্ন কাজকে সম্পন্ন দেখানো হলো কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
ঠিকাদার কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা-সেটি দেখভাল কারার দায়িত্ব পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। একটি অসম্পূর্ণ কাজ তখনই ‘সমাপ্ত’ বলে ঘোষণা করা সম্ভব, যখন সে কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। এ কারণে বুড়াইল নদী খননের কাজে দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে দুর্নীতির টাকা পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের পকেটে ঢুকেছে কিনা। নইলে একটি অসম্পন্ন কাজ ‘সমাপ্ত’ ঘোষণা করার কারণ কী।
বুড়াইল নদী খননের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কিনা- তা সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের শুধু জামানত বাজেয়াপ্ত করলে হবে না, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে পাউবোর কোন কাজ তারা না পায়। পাশাপাশি পাউবোর অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে পাউবোর অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
প্রকল্প অনুযায়ী বুড়াইল নদীর ১০ কিমি পরিপূর্ণভাবে খনন করতে হবে। যথাযথভাবে নদী খনন করা হলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে নদীর দুই পাড়ে দুইস্তরের পাড় নির্মাণ করে সামাজিক বনায়ন করতে হবে।
রোববার, ২৫ জুলাই ২০২১
ঠিকাদার ও পানি উন্নন বোর্ডের (পাউবো) কর্তাব্যক্তিদের খামখেয়ালির শিকার হচ্ছে রংপুরের পীরগাছা ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ। রোববার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুড়াইল নদীর ২.৫ কিলোমিটার (কিমি) খনন না করেই কাজ সমাপ্ত করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। যেখানে নদী খনন করার কথা ছিল ১০ কিমি, সেখানে করা হয়েছে ৭.৫ কিমি। আবার যতটুক খনন করা হয়েছে তার মধ্যে কোথাও কোথাও এর প্রশস্ততা ১০ ফুট, কিন্তু সব জায়গায় হওয়ার কথা ছিল ৪০ ফুট। তাছাড়া নিয়মানুযায়ী নদীর তীর বাঁধাই না করেই সামাজিক বনায়ন করা হচ্ছে।
প্রশস্ততা কম-বেশি হওয়ায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা ও সেতু। পানির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ির উঠান, গাছপালা ও কৃষি জমির আংশিক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বুড়াইল নদীর উপর নির্মিত কালিরপাট সেতু, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং সেচ কাজের জন্য সদ্য স্থাপিত গভীর নলকূপ।
পাউবোর ঠিকাদার ও এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতীতেও নানান অভিযোগ উঠেছে। দেখা যায় এক শ্রেণীর অসাধু ঠিকাদার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকে। বুড়াইল নদী খনন করার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ২.৫ কিমি খননই করা হয়নি। খননে অনিয়মের কথা আংশিক হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারও স্বীকার করেছে। বিষয়টি পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অজানা থাকার কথা নয়। তারপরেও একটি অসম্পন্ন কাজকে সম্পন্ন দেখানো হলো কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
ঠিকাদার কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা-সেটি দেখভাল কারার দায়িত্ব পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। একটি অসম্পূর্ণ কাজ তখনই ‘সমাপ্ত’ বলে ঘোষণা করা সম্ভব, যখন সে কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। এ কারণে বুড়াইল নদী খননের কাজে দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে দুর্নীতির টাকা পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের পকেটে ঢুকেছে কিনা। নইলে একটি অসম্পন্ন কাজ ‘সমাপ্ত’ ঘোষণা করার কারণ কী।
বুড়াইল নদী খননের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কিনা- তা সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের শুধু জামানত বাজেয়াপ্ত করলে হবে না, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে পাউবোর কোন কাজ তারা না পায়। পাশাপাশি পাউবোর অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে পাউবোর অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
প্রকল্প অনুযায়ী বুড়াইল নদীর ১০ কিমি পরিপূর্ণভাবে খনন করতে হবে। যথাযথভাবে নদী খনন করা হলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে নদীর দুই পাড়ে দুইস্তরের পাড় নির্মাণ করে সামাজিক বনায়ন করতে হবে।