সেতু নিয়ে দেশে তেলেসমাতি কারবার ঘটেই চলছে। সম্প্রতি প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মান্ডার ‘শেষ মাথা’ নামে পরিচিত এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্মিত এ সেতুটির আশপাশে মানুষের বসতিই গড়ে ওঠেনি। নেই চলাচলের কোন রাস্তাও। অভিযোগ উঠেছে, একটি বেসরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধার্থে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং স্থানের বিবেচনায় সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সিটি কর্পোরেশনেরই কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা জানান, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় কোনভাইে তিন কোটি টাকার বেশি না। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অতীতেও দেশে এরকম অসংখ্য সেতুর হদিস পাওয়া গেছে। যেখানে কোন জনবসতি বা রাস্তা নেই সেখানে সেতু তৈরি করার অনেক নজির রয়েছে। সেতুগুলো বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির ইচ্ছা এবং স্বার্থের জন্যই নির্মিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা; যা কোন কাজেই আসছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যারা এসব সেতু বানাচ্ছে তারা জনগণের কল্যাণ-অকল্যাণের কথা যেমন ভাবছে না, তেমন কোন আলোচনা-সমালোচনারও তোয়াক্কা করছে না। সেতুর নামে যেখানে খুশি সেখানে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে জনগণের করের টাকা কীভাবে নিজেদের পকেটে ঢুকানো যায়, তারা সেই চিন্তায় মগ্ন থাকে। অথচ দেশের অনেক স্থান আছে যেখানে সেতুর প্রয়োজন। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও সেসব স্থানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো, কাঠের সেতু কিংবা নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। আবার মেরামতের অভাবে অনেক সেতু জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। প্রায়ই এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দেশের যোগাযোগের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের নামে অনেক সেতুই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব সেতু আদৌ দেশের উন্নয়নে বা জনগণের কল্যাণে আসছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। নাকি সেতু নির্মাণের সাথে জড়িত স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী নিজেদের উন্নয়ন ও কল্যাণ ঘটাচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, সেতু নির্মাণের নামে জনগণের অর্থের অপচয় বন্ধ করতে হবে। সেতু তৈরি করতে হবে প্রকৃত অর্থেই জনগণের কল্যাণে। যেখানে সেতু তৈরি করলে মানুষের কল্যাণ হবে, অর্থনীতি গতি পাবে-সেখানে সেতু তৈরি করুক তাতে আপত্তি নাই। কিন্তু বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে সেতু নির্মাণ করা কাম্য নয়। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে এমন সেতু নির্মাণের পুনরাবৃত্তি আর হতো না।
সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
সেতু নিয়ে দেশে তেলেসমাতি কারবার ঘটেই চলছে। সম্প্রতি প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মান্ডার ‘শেষ মাথা’ নামে পরিচিত এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্মিত এ সেতুটির আশপাশে মানুষের বসতিই গড়ে ওঠেনি। নেই চলাচলের কোন রাস্তাও। অভিযোগ উঠেছে, একটি বেসরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধার্থে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং স্থানের বিবেচনায় সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সিটি কর্পোরেশনেরই কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা জানান, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় কোনভাইে তিন কোটি টাকার বেশি না। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অতীতেও দেশে এরকম অসংখ্য সেতুর হদিস পাওয়া গেছে। যেখানে কোন জনবসতি বা রাস্তা নেই সেখানে সেতু তৈরি করার অনেক নজির রয়েছে। সেতুগুলো বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির ইচ্ছা এবং স্বার্থের জন্যই নির্মিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা; যা কোন কাজেই আসছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যারা এসব সেতু বানাচ্ছে তারা জনগণের কল্যাণ-অকল্যাণের কথা যেমন ভাবছে না, তেমন কোন আলোচনা-সমালোচনারও তোয়াক্কা করছে না। সেতুর নামে যেখানে খুশি সেখানে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে জনগণের করের টাকা কীভাবে নিজেদের পকেটে ঢুকানো যায়, তারা সেই চিন্তায় মগ্ন থাকে। অথচ দেশের অনেক স্থান আছে যেখানে সেতুর প্রয়োজন। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও সেসব স্থানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো, কাঠের সেতু কিংবা নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। আবার মেরামতের অভাবে অনেক সেতু জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। প্রায়ই এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দেশের যোগাযোগের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের নামে অনেক সেতুই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব সেতু আদৌ দেশের উন্নয়নে বা জনগণের কল্যাণে আসছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। নাকি সেতু নির্মাণের সাথে জড়িত স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী নিজেদের উন্নয়ন ও কল্যাণ ঘটাচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, সেতু নির্মাণের নামে জনগণের অর্থের অপচয় বন্ধ করতে হবে। সেতু তৈরি করতে হবে প্রকৃত অর্থেই জনগণের কল্যাণে। যেখানে সেতু তৈরি করলে মানুষের কল্যাণ হবে, অর্থনীতি গতি পাবে-সেখানে সেতু তৈরি করুক তাতে আপত্তি নাই। কিন্তু বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে সেতু নির্মাণ করা কাম্য নয়। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে এমন সেতু নির্মাণের পুনরাবৃত্তি আর হতো না।