ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে পড়তে পারে, জানমালের ক্ষতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকে গত কয়েকদিন ধরেই কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলছিল। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে করা হয়েছিল মাইকিং। বেশকিছু মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় হয়। তবে অনেক বাসিন্দাই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। ভারি বর্ষণের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে সেখানে থেকে যাওয়া বাসিন্দাদের অনেককেই পাহাড় ধসের করুন পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে, মাটির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মারা গেছে ২০ জন, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পাহাড় ধসের ঘটনায় গবাদিপশু মারা যাওয়ার খবরও মিলেছে।
প্রতি বছরই সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কমবেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে গড়ে ওঠা বসতি সেই ধসের কবলে পড়লে ঘটে হতাহতের ঘটনা। গত এক যুগে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছে হাজারখানেক মানুষ। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল। এত হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না।
পাহাড় ধসের কারণে যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পাহাড়ের বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে। তারপরও সেখান থেকে তাদের সরানো যায় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
পাহাড়ে বসবাসকারীদের বড় একটি অংশই নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষ। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর চেয়ে ভালো মাথা গোঁজার ঠাঁই তাদের পক্ষে খুঁজে বের করা কঠিন। ভারি বর্ষণের দিনগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে দু-একদিনের আশ্রয় মিললেও শেষ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেই বসতিতেই তাদের আবার ফিরতে হয়। স্থায়ী নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি এসব মানুষের নেই। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা না করে কেবল মাইকিং করলে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মাঝে মাঝে বসতি উচ্ছেদ করলে সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। সাময়িকভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হলেও তারা আবার সেখানে ফিরে যাবে।
ধস থেকে মানুষ রক্ষা করা যেমন জরুরি, পাহাড় রক্ষা করাও তেমন জরুরি। নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও গাছ কেটে বন উজাড় বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। পাহাড়ধস প্রতিরোধে অতীতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড় কেটে যারা অবৈধ বসতি গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে পড়তে পারে, জানমালের ক্ষতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকে গত কয়েকদিন ধরেই কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলছিল। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে করা হয়েছিল মাইকিং। বেশকিছু মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় হয়। তবে অনেক বাসিন্দাই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। ভারি বর্ষণের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে সেখানে থেকে যাওয়া বাসিন্দাদের অনেককেই পাহাড় ধসের করুন পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে, মাটির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মারা গেছে ২০ জন, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পাহাড় ধসের ঘটনায় গবাদিপশু মারা যাওয়ার খবরও মিলেছে।
প্রতি বছরই সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কমবেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে গড়ে ওঠা বসতি সেই ধসের কবলে পড়লে ঘটে হতাহতের ঘটনা। গত এক যুগে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছে হাজারখানেক মানুষ। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল। এত হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না।
পাহাড় ধসের কারণে যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পাহাড়ের বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে। তারপরও সেখান থেকে তাদের সরানো যায় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
পাহাড়ে বসবাসকারীদের বড় একটি অংশই নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষ। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর চেয়ে ভালো মাথা গোঁজার ঠাঁই তাদের পক্ষে খুঁজে বের করা কঠিন। ভারি বর্ষণের দিনগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে দু-একদিনের আশ্রয় মিললেও শেষ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেই বসতিতেই তাদের আবার ফিরতে হয়। স্থায়ী নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি এসব মানুষের নেই। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা না করে কেবল মাইকিং করলে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মাঝে মাঝে বসতি উচ্ছেদ করলে সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। সাময়িকভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হলেও তারা আবার সেখানে ফিরে যাবে।
ধস থেকে মানুষ রক্ষা করা যেমন জরুরি, পাহাড় রক্ষা করাও তেমন জরুরি। নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও গাছ কেটে বন উজাড় বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। পাহাড়ধস প্রতিরোধে অতীতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড় কেটে যারা অবৈধ বসতি গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।