alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় ধসে মৃত্যু প্রতিরোধে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন

: বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে পড়তে পারে, জানমালের ক্ষতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকে গত কয়েকদিন ধরেই কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলছিল। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে করা হয়েছিল মাইকিং। বেশকিছু মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় হয়। তবে অনেক বাসিন্দাই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। ভারি বর্ষণের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে সেখানে থেকে যাওয়া বাসিন্দাদের অনেককেই পাহাড় ধসের করুন পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে, মাটির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মারা গেছে ২০ জন, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পাহাড় ধসের ঘটনায় গবাদিপশু মারা যাওয়ার খবরও মিলেছে।

প্রতি বছরই সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কমবেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে গড়ে ওঠা বসতি সেই ধসের কবলে পড়লে ঘটে হতাহতের ঘটনা। গত এক যুগে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছে হাজারখানেক মানুষ। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল। এত হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না।

পাহাড় ধসের কারণে যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পাহাড়ের বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে। তারপরও সেখান থেকে তাদের সরানো যায় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

পাহাড়ে বসবাসকারীদের বড় একটি অংশই নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষ। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর চেয়ে ভালো মাথা গোঁজার ঠাঁই তাদের পক্ষে খুঁজে বের করা কঠিন। ভারি বর্ষণের দিনগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে দু-একদিনের আশ্রয় মিললেও শেষ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেই বসতিতেই তাদের আবার ফিরতে হয়। স্থায়ী নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি এসব মানুষের নেই। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা না করে কেবল মাইকিং করলে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মাঝে মাঝে বসতি উচ্ছেদ করলে সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। সাময়িকভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হলেও তারা আবার সেখানে ফিরে যাবে।

ধস থেকে মানুষ রক্ষা করা যেমন জরুরি, পাহাড় রক্ষা করাও তেমন জরুরি। নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও গাছ কেটে বন উজাড় বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। পাহাড়ধস প্রতিরোধে অতীতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড় কেটে যারা অবৈধ বসতি গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় ধসে মৃত্যু প্রতিরোধে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে পড়তে পারে, জানমালের ক্ষতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকে গত কয়েকদিন ধরেই কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলছিল। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে করা হয়েছিল মাইকিং। বেশকিছু মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় হয়। তবে অনেক বাসিন্দাই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। ভারি বর্ষণের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে সেখানে থেকে যাওয়া বাসিন্দাদের অনেককেই পাহাড় ধসের করুন পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে, মাটির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মারা গেছে ২০ জন, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পাহাড় ধসের ঘটনায় গবাদিপশু মারা যাওয়ার খবরও মিলেছে।

প্রতি বছরই সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কমবেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে গড়ে ওঠা বসতি সেই ধসের কবলে পড়লে ঘটে হতাহতের ঘটনা। গত এক যুগে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছে হাজারখানেক মানুষ। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল। এত হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না।

পাহাড় ধসের কারণে যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পাহাড়ের বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে। তারপরও সেখান থেকে তাদের সরানো যায় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

পাহাড়ে বসবাসকারীদের বড় একটি অংশই নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষ। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর চেয়ে ভালো মাথা গোঁজার ঠাঁই তাদের পক্ষে খুঁজে বের করা কঠিন। ভারি বর্ষণের দিনগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে দু-একদিনের আশ্রয় মিললেও শেষ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেই বসতিতেই তাদের আবার ফিরতে হয়। স্থায়ী নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি এসব মানুষের নেই। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা না করে কেবল মাইকিং করলে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মাঝে মাঝে বসতি উচ্ছেদ করলে সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। সাময়িকভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হলেও তারা আবার সেখানে ফিরে যাবে।

ধস থেকে মানুষ রক্ষা করা যেমন জরুরি, পাহাড় রক্ষা করাও তেমন জরুরি। নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও গাছ কেটে বন উজাড় বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। পাহাড়ধস প্রতিরোধে অতীতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড় কেটে যারা অবৈধ বসতি গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top