ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ৯৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। জুলাই মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮৯১ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এর দাম এক লাফে বেড়েছে ১০২ টাকা। দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু বেসরকারি খাতে। উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৪৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে দেশেও এলপিজির দর বাড়বে বা কমবে সেটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। বরাবরই তাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগের শেষ নেই।
দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে বহুকাল ধরেই নৈরাজ্য চলছে। দেশের একেক জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের আদেশে বিইআরসি বিশ্ববাজারে দাম বাড়া-কমার সঙ্গে সমন্বয় করে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সারা দেশের জন্য এলপিজির একই দাম নির্ধারণ করে দেয়।
নির্ধারিত দরে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিইআরসির বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন। এ দুটোই আমদানি করতে হয়। বিইআরসি বলেছে, সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেন উভয়েরই ঘোষিত দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন এ দর নিয়ে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না সেটা একটা প্রশ্ন।
বেঁধে দেয়া দরে যদি এলপিজি সিলিন্ডার না মেলে তবে মাসে মাসে দাম নির্ধারণের কোন অর্থ থাকে না। এলপিজির দামের প্রশ্নে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেছিলেন, কেউ নির্ধারিত দামের কমে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। বাস্তবে ঘটছে এর উল্টো। আমরা বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার পর সেটা কার্যকর করতে হবে। কমিশন ঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
রোববার, ০১ আগস্ট ২০২১
ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ৯৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। জুলাই মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮৯১ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এর দাম এক লাফে বেড়েছে ১০২ টাকা। দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু বেসরকারি খাতে। উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৪৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে দেশেও এলপিজির দর বাড়বে বা কমবে সেটা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। বরাবরই তাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগের শেষ নেই।
দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে বহুকাল ধরেই নৈরাজ্য চলছে। দেশের একেক জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের আদেশে বিইআরসি বিশ্ববাজারে দাম বাড়া-কমার সঙ্গে সমন্বয় করে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সারা দেশের জন্য এলপিজির একই দাম নির্ধারণ করে দেয়।
নির্ধারিত দরে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিইআরসির বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন। এ দুটোই আমদানি করতে হয়। বিইআরসি বলেছে, সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেন উভয়েরই ঘোষিত দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন এ দর নিয়ে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না সেটা একটা প্রশ্ন।
বেঁধে দেয়া দরে যদি এলপিজি সিলিন্ডার না মেলে তবে মাসে মাসে দাম নির্ধারণের কোন অর্থ থাকে না। এলপিজির দামের প্রশ্নে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেছিলেন, কেউ নির্ধারিত দামের কমে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। বাস্তবে ঘটছে এর উল্টো। আমরা বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার পর সেটা কার্যকর করতে হবে। কমিশন ঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।