সরকারি ঘর তৈরিতে আরও একটি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুটি আবাসন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের সময় ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি হারিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদের পুনর্বাসনের জন্য উক্ত প্রকল্পের অধীনে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত যেসব মানুষ ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন তারা প্রকল্পের শুরু থেকেই ঘরের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু তাদের কোন ওজর-আপত্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কানে তোলেনি বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রবল বর্ষণে ঘর ভেঙে যাওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর কারও হাত নেই। দুর্যোগের কারণে এমন ক্ষতি হয়েছে।
ঝড় বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আশ্রয় পাওয়ার জন্যই মানুষ ঘরে বসবাস করে। ঝড় বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই ঘর নির্মাণ করা বাঞ্ছনীয়। মৌসুমী বৃষ্টি থেকে বাসিন্দাদের যে ঘর রক্ষা করতে পারে না, সেই ঘরের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ঘর তৈরিতে মানসম্মত নির্মাণ উপকরণ দেয়া হয়েছে কিনা, নির্মাণ উপকরণের সঠিক অনুপাত রক্ষা করা হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা অসংখ্য ঘর তৈরি হতে না হতেই ভেঙে পড়েছে। প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের একটি প্রকল্প যদি অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা না পায় তাহলে অন্য প্রকল্পগুলোর কি অবস্থা হতে পারে সেটা সহজে অনুমেয়। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। পটুয়াখালীর উক্ত প্রকল্প তার আরেকটি নিদর্শন মাত্র।
অনিয়ম-দুর্নীতিকে কঠোরভাবে দমন করা না গেলে কোন উন্নয়নই টেকসই হবে না, পটুয়াখালীর বা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মতোই তা ধসে পড়বে। উন্নয়ন টেকসই করতে, তার সুফল মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে হলে দুর্নীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
আশার কথা হচ্ছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণ নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আশা করব, পটুয়াখালীতে উক্ত প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা নিবে। ঘর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা ঠিকাদারের কোন গাফিলতি থাকলে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
সরকারি ঘর তৈরিতে আরও একটি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুটি আবাসন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের সময় ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি হারিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদের পুনর্বাসনের জন্য উক্ত প্রকল্পের অধীনে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত যেসব মানুষ ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন তারা প্রকল্পের শুরু থেকেই ঘরের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু তাদের কোন ওজর-আপত্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কানে তোলেনি বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রবল বর্ষণে ঘর ভেঙে যাওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর কারও হাত নেই। দুর্যোগের কারণে এমন ক্ষতি হয়েছে।
ঝড় বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আশ্রয় পাওয়ার জন্যই মানুষ ঘরে বসবাস করে। ঝড় বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই ঘর নির্মাণ করা বাঞ্ছনীয়। মৌসুমী বৃষ্টি থেকে বাসিন্দাদের যে ঘর রক্ষা করতে পারে না, সেই ঘরের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ঘর তৈরিতে মানসম্মত নির্মাণ উপকরণ দেয়া হয়েছে কিনা, নির্মাণ উপকরণের সঠিক অনুপাত রক্ষা করা হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা অসংখ্য ঘর তৈরি হতে না হতেই ভেঙে পড়েছে। প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের একটি প্রকল্প যদি অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা না পায় তাহলে অন্য প্রকল্পগুলোর কি অবস্থা হতে পারে সেটা সহজে অনুমেয়। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। পটুয়াখালীর উক্ত প্রকল্প তার আরেকটি নিদর্শন মাত্র।
অনিয়ম-দুর্নীতিকে কঠোরভাবে দমন করা না গেলে কোন উন্নয়নই টেকসই হবে না, পটুয়াখালীর বা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মতোই তা ধসে পড়বে। উন্নয়ন টেকসই করতে, তার সুফল মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে হলে দুর্নীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
আশার কথা হচ্ছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণ নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আশা করব, পটুয়াখালীতে উক্ত প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা নিবে। ঘর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা ঠিকাদারের কোন গাফিলতি থাকলে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।