রাজধানীর সূত্রাপুরে গত ১৯ আগস্ট হেলে পড়া ছয়তলা ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙা হবে রাজধানীর সাড়ে ৩ হাজার ঝুঁঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব ভবনের সেটব্যাক অবৈধ সেগুলো ভাঙার জন্য সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেছেন, ভবন মালিকদের অবৈধ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা নিজেরা না ভাঙলে, রাজউকের উদ্যোগে সেগুলো ভাঙা হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন ভাঙা হবে সেটা একটা ভালো খবর। তবে এ রকম ভালো খবর অতীতেও অনেকবার শোনা গেছে। অবৈধ ভবন ভাঙার জন্য সময় বেঁধে দেয়ার ঘটনাও নতুন নয়। বাস্তবে বেঁধে দেয়া সময়ের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। আবার কোন ভবন হেলে পড়লে বা দুর্ঘটনার শিকার হলে কর্তৃপক্ষ তোড়জোড় শুরু করে। বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালায়, কিছু জরিমানা করে, কিছু ভবন ভাঙাও হয়। তথাকথিত অভিযান শুরু হতে সময় লাগে, বন্ধ হতে সময় লাগে না।
আমরা আশা করব, এবার রাজউক ঘোষণা অনুযায়ী যথাসময়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবে। এ কাজের জন্য তারা ভবন হেলে পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না।
ভাঙার পর আবারও যেন অবৈধ ভবন তৈরি না হয় সেটা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। নির্মাণের সময় মনিটর করাই বেশি জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করা হলে সেটা যেমন ভেঙে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না, তেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে না।
রোববার, ২৯ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর সূত্রাপুরে গত ১৯ আগস্ট হেলে পড়া ছয়তলা ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙা হবে রাজধানীর সাড়ে ৩ হাজার ঝুঁঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব ভবনের সেটব্যাক অবৈধ সেগুলো ভাঙার জন্য সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেছেন, ভবন মালিকদের অবৈধ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা নিজেরা না ভাঙলে, রাজউকের উদ্যোগে সেগুলো ভাঙা হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন ভাঙা হবে সেটা একটা ভালো খবর। তবে এ রকম ভালো খবর অতীতেও অনেকবার শোনা গেছে। অবৈধ ভবন ভাঙার জন্য সময় বেঁধে দেয়ার ঘটনাও নতুন নয়। বাস্তবে বেঁধে দেয়া সময়ের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। আবার কোন ভবন হেলে পড়লে বা দুর্ঘটনার শিকার হলে কর্তৃপক্ষ তোড়জোড় শুরু করে। বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালায়, কিছু জরিমানা করে, কিছু ভবন ভাঙাও হয়। তথাকথিত অভিযান শুরু হতে সময় লাগে, বন্ধ হতে সময় লাগে না।
আমরা আশা করব, এবার রাজউক ঘোষণা অনুযায়ী যথাসময়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবে। এ কাজের জন্য তারা ভবন হেলে পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না।
ভাঙার পর আবারও যেন অবৈধ ভবন তৈরি না হয় সেটা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। নির্মাণের সময় মনিটর করাই বেশি জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করা হলে সেটা যেমন ভেঙে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না, তেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে না।