আজ সোমবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২০০৭ থেকে ২০২১ সালের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত গুমের শিকার হয়েছেন ৬১৪ জন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন ফেরত এসেছেন। বাকিদের সম্পর্কে সুর্নিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব দিয়েছে আসক।
গুমের অনেক খবরই গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, লোকচক্ষুর আড়ালেও রয়ে গেছে অনেক ঘটনা। প্রশ্ন হচ্ছে গুম হচ্ছেন কারা আর এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, সরকারের সমালোচনাকারীরাই বেশি গুমের শিকার হন। ভুক্তভোগী ব্যক্তির স্বজনরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ভিকটিমকে তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ অভিযোগ কখনই স্বীকার করেনি। তবে গুম হওয়া অনেক ব্যক্তিকে একসময় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কারও কারও হ্যান্ডকাফ পরা গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে।
গুম হওয়া যেসব ব্যক্তির সন্ধান এখনও মেলেনি, তাদের খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা যায় না। কেবল অভিযোগ অস্বীকার করলেই দায় ফুরিয়ে যায় না। একটি দেশের শত শত নাগরিক নিখোঁজ অথচ তাদের খোঁজা হবে না-এটা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।
গুমের শিকার ব্যক্তির পরিবারের ভোগান্তিটা বহুমাত্রিক। বছরের পর বছর খোঁজ না মেলা ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। না পাওয়া যাচ্ছে তার খোঁজ না ঘোষণা করা হচ্ছে মৃত। মৃত ঘোষণা করা না হলে আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকার প্রশ্নের সমাধান করা সম্ভব হয় না।
আমরা চাই না, দেশের একজন নাগরিকও গুমের শিকার হোক, নিখোঁজ থাকুক। গুম হওয়া সব নাগরিকেরই হদিস খুঁজে বের করতে হবে। এর পেছনের কারণ জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। গুমের শিকার ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগকে আমলে নিতে হবে।
সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২০০৭ থেকে ২০২১ সালের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত গুমের শিকার হয়েছেন ৬১৪ জন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন ফেরত এসেছেন। বাকিদের সম্পর্কে সুর্নিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব দিয়েছে আসক।
গুমের অনেক খবরই গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, লোকচক্ষুর আড়ালেও রয়ে গেছে অনেক ঘটনা। প্রশ্ন হচ্ছে গুম হচ্ছেন কারা আর এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, সরকারের সমালোচনাকারীরাই বেশি গুমের শিকার হন। ভুক্তভোগী ব্যক্তির স্বজনরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ভিকটিমকে তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ অভিযোগ কখনই স্বীকার করেনি। তবে গুম হওয়া অনেক ব্যক্তিকে একসময় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কারও কারও হ্যান্ডকাফ পরা গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে।
গুম হওয়া যেসব ব্যক্তির সন্ধান এখনও মেলেনি, তাদের খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা যায় না। কেবল অভিযোগ অস্বীকার করলেই দায় ফুরিয়ে যায় না। একটি দেশের শত শত নাগরিক নিখোঁজ অথচ তাদের খোঁজা হবে না-এটা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।
গুমের শিকার ব্যক্তির পরিবারের ভোগান্তিটা বহুমাত্রিক। বছরের পর বছর খোঁজ না মেলা ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। না পাওয়া যাচ্ছে তার খোঁজ না ঘোষণা করা হচ্ছে মৃত। মৃত ঘোষণা করা না হলে আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকার প্রশ্নের সমাধান করা সম্ভব হয় না।
আমরা চাই না, দেশের একজন নাগরিকও গুমের শিকার হোক, নিখোঁজ থাকুক। গুম হওয়া সব নাগরিকেরই হদিস খুঁজে বের করতে হবে। এর পেছনের কারণ জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। গুমের শিকার ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগকে আমলে নিতে হবে।