alt

সম্পাদকীয়

কিশোর অপরাধ রুখতে চাই সম্মিলিত চেষ্টা

: রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর লালবাগে হত্যার শিকার হয়েছে হাফিজ (১১) নামের এক শিশু। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শনিবার চার শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা ও দুর্ব্যবহারের কারণে হাফিজকে গলা কেটে হত্যা করেছে গ্রেপ্তারকৃত চার শিশু। ছেলেকে হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা বাদী হয়ে চার শিশুকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

শিশু-কিশোর অপরাধের শিকার হলো আরেকটি শিশু। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, লালবাগে চার শিশু সংঘবদ্ধভাবে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে। শিশু-কিশোররা দলবদ্ধ হয়ে চলবে তাতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। তবে তারা যখন সংঘবদ্ধভাবে কোন অপরাধ করে তখন উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। দেশে কবে থেকে কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে উঠেছে সেটা নির্দিষ্ট করে জানার উপায় নেই। রাজধানী ও এর বাইরে অনেক স্থানেই কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। ডিএমপির এক হিসাব অনুযায়ী, শুধু রাজধানীতেই ৪০টির মতো কিশোর গ্যাং রয়েছে।

অতীতে দলবদ্ধ হয়ে কিশোরদের সংঘাত-সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অপরাধের ধরন বদলেছে। এক গ্যাংয়ের সঙ্গে আরেক গ্যাংয়ের বিবাদ হয় প্রায়ই। তারা হত্যা, ধর্ষণ, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। পাড়া-মহল্লার মানুষ তাদের ভয়ে তটস্থ থাকে।

যেসব কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাদের প্রায় সবাই কোন না কোনভাবে মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। তাদের অনেকের কাছে অস্ত্রও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা মাদক বা অস্ত্র পায় কোথায়। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা যায়, এক শ্রেণীর স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী হীন স্বার্থে কিশোর গ্যাংকে ব্যবহার করে। এই অভিযোগে পুলিশ কাউকে কাউকে গ্রেপ্তারও করেছে। প্রভাবশালী এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ নিশ্চিত করা জরুরি।

পরিবারে বা সমাজে অবহেলিত শিশু-কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। তাদের বিপথগামিতা প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে। বিশেষকরে প্রতিটি পরিবারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের সন্তান যেন একাকীত্ব বা বিচ্ছিন্নতাবোধে না ভোগে। সন্তান কাদের সঙ্গে মিশছে, কী করছে সেটা দেখভাল করার দায়িত্ব অভিভাবককে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কিশোর অপরাধ রুখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালাতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

কিশোর অপরাধ রুখতে চাই সম্মিলিত চেষ্টা

রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর লালবাগে হত্যার শিকার হয়েছে হাফিজ (১১) নামের এক শিশু। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শনিবার চার শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা ও দুর্ব্যবহারের কারণে হাফিজকে গলা কেটে হত্যা করেছে গ্রেপ্তারকৃত চার শিশু। ছেলেকে হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা বাদী হয়ে চার শিশুকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

শিশু-কিশোর অপরাধের শিকার হলো আরেকটি শিশু। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, লালবাগে চার শিশু সংঘবদ্ধভাবে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে। শিশু-কিশোররা দলবদ্ধ হয়ে চলবে তাতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। তবে তারা যখন সংঘবদ্ধভাবে কোন অপরাধ করে তখন উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। দেশে কবে থেকে কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে উঠেছে সেটা নির্দিষ্ট করে জানার উপায় নেই। রাজধানী ও এর বাইরে অনেক স্থানেই কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। ডিএমপির এক হিসাব অনুযায়ী, শুধু রাজধানীতেই ৪০টির মতো কিশোর গ্যাং রয়েছে।

অতীতে দলবদ্ধ হয়ে কিশোরদের সংঘাত-সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অপরাধের ধরন বদলেছে। এক গ্যাংয়ের সঙ্গে আরেক গ্যাংয়ের বিবাদ হয় প্রায়ই। তারা হত্যা, ধর্ষণ, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। পাড়া-মহল্লার মানুষ তাদের ভয়ে তটস্থ থাকে।

যেসব কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাদের প্রায় সবাই কোন না কোনভাবে মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। তাদের অনেকের কাছে অস্ত্রও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা মাদক বা অস্ত্র পায় কোথায়। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা যায়, এক শ্রেণীর স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী হীন স্বার্থে কিশোর গ্যাংকে ব্যবহার করে। এই অভিযোগে পুলিশ কাউকে কাউকে গ্রেপ্তারও করেছে। প্রভাবশালী এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ নিশ্চিত করা জরুরি।

পরিবারে বা সমাজে অবহেলিত শিশু-কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। তাদের বিপথগামিতা প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে। বিশেষকরে প্রতিটি পরিবারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের সন্তান যেন একাকীত্ব বা বিচ্ছিন্নতাবোধে না ভোগে। সন্তান কাদের সঙ্গে মিশছে, কী করছে সেটা দেখভাল করার দায়িত্ব অভিভাবককে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কিশোর অপরাধ রুখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালাতে হবে।

back to top