alt

সম্পাদকীয়

ভোলায় সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার : সতর্ক থাকতে হবে

: শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভোলার হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতার নামে খোলা ফেক আইডি ব্যবহার করে মেসেঞ্জার ও ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। জেলার পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র নামে খোলা উক্ত আইডি থেকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। ফেক আইডির বিষয়টি গৌরাঙ্গ চন্দ্র সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, ফেক আইডি ব্যবহার করে কেউ সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। প্রকৃত উসকানিদাতা কে সেটা জানার আগেই ইসলামী আন্দোলন ব্যাংলাদেশ বিক্ষোভ করেছে। তাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে পুলিশ গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’কে আটক করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নামে ভুয়া আইডি খুলে অতীতেও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। এর জের ধরে হামলা, হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভোলাতেই ফেক আইডি ব্যবহার করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলে। একসময় সংঘর্ষ তৈরি হলে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন মারাও যান।

ফেসবুক বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননার কোন ঘটনা ঘটলে তার সত্যতা যাচাই করার আগেই একটি গোষ্ঠী যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে। সুকৌশলে তারা সাধারণ মানুষকেও দলে ভেড়ায়। তারপর একটা পর্যায়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের ঘরবাড়ি লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। ভোলায় যেন এবার কোন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন শৈথিল্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

দেশে বেশিরভাগ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচার হয় না। যাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মেলে তাদের প্রায়ই গ্রেপ্তার করা হয় না। গ্রেপ্তার করা হলেও এক সময় জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। অন্যদিকে যারা হামলা বা অপপ্রচারের শিকার হয় তাদেরকেই গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা যায় না বলেই সাম্প্রদায়িক চক্রের অপতৎপরতা থামানো যাচ্ছে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইডি খোলা হয় সেই ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। সুনামগঞ্জের ঝুমন দাসকে গ্রেপ্তার করার কথা প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে। ভোলাতে গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’কে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রকৃত অপরাধীকে ধরা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা আশা করব, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর মূল হোতাদের পুলিশ দ্রুত চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করবে। গৌরাঙ্গ চন্দ্রকে যেন ঝুমন দাসের পরিণতি বহন করতে না হয়।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

ভোলায় সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার : সতর্ক থাকতে হবে

শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভোলার হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতার নামে খোলা ফেক আইডি ব্যবহার করে মেসেঞ্জার ও ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। জেলার পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র নামে খোলা উক্ত আইডি থেকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। ফেক আইডির বিষয়টি গৌরাঙ্গ চন্দ্র সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, ফেক আইডি ব্যবহার করে কেউ সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। প্রকৃত উসকানিদাতা কে সেটা জানার আগেই ইসলামী আন্দোলন ব্যাংলাদেশ বিক্ষোভ করেছে। তাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে পুলিশ গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’কে আটক করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নামে ভুয়া আইডি খুলে অতীতেও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। এর জের ধরে হামলা, হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভোলাতেই ফেক আইডি ব্যবহার করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলে। একসময় সংঘর্ষ তৈরি হলে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন মারাও যান।

ফেসবুক বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননার কোন ঘটনা ঘটলে তার সত্যতা যাচাই করার আগেই একটি গোষ্ঠী যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে। সুকৌশলে তারা সাধারণ মানুষকেও দলে ভেড়ায়। তারপর একটা পর্যায়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের ঘরবাড়ি লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। ভোলায় যেন এবার কোন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন শৈথিল্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

দেশে বেশিরভাগ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচার হয় না। যাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মেলে তাদের প্রায়ই গ্রেপ্তার করা হয় না। গ্রেপ্তার করা হলেও এক সময় জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। অন্যদিকে যারা হামলা বা অপপ্রচারের শিকার হয় তাদেরকেই গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা যায় না বলেই সাম্প্রদায়িক চক্রের অপতৎপরতা থামানো যাচ্ছে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইডি খোলা হয় সেই ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। সুনামগঞ্জের ঝুমন দাসকে গ্রেপ্তার করার কথা প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে। ভোলাতে গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’কে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রকৃত অপরাধীকে ধরা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা আশা করব, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর মূল হোতাদের পুলিশ দ্রুত চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করবে। গৌরাঙ্গ চন্দ্রকে যেন ঝুমন দাসের পরিণতি বহন করতে না হয়।

back to top