১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), নয়টি পৌরসভা এবং দুটি উপজেলায় গতকাল সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ২ জন। এছাড়া নির্বাচনী সংঘাত-সংঘর্ষে বিভিন্ন স্থানে অনেক আহত হয়েছেন। অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে অনিয়ম ও গোলযোগের খবর মিলেছে। অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, দুজনের প্রাণহানির ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ইসির দেয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ইউপি নির্বাচনে ইভিএমে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরসভায় ভোটের হার ৫৫ শতাংশের বেশি। ব্যালটে ভোট গ্রহণের হার ৬৫ শতাংশের বেশি।
নির্বাচন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষ অতীতেও ঘটেছে। সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও এ অপসংস্কৃতি থেকে বের হওয়া গেল না। নির্বাচনী সহিংসতাকে নিছক আবেগের বশবর্তী হয়ে ঘটানো কাজ বলা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। সংঘাত-সংঘর্ষমুক্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবার ৪৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা শুভ লক্ষণ নয়। গণতন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে নির্বাচন। প্রার্থী বা ভোটররা যদি নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। ক্ষমতাসীন দল ভিন্ন বাকি দলগুলো নির্বাচনে কেন আগ্রহী হচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অথচ এতে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া আর কারও আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর দেখাও মিলছে না। ইসিকে এর কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ উঠেছে যে, ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ-সংশয়ের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশপাশি অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ পাচ্ছেন না।
আমরা এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা দেখতে চাই, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটরার স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন এটাই কাম্য।
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), নয়টি পৌরসভা এবং দুটি উপজেলায় গতকাল সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ২ জন। এছাড়া নির্বাচনী সংঘাত-সংঘর্ষে বিভিন্ন স্থানে অনেক আহত হয়েছেন। অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে অনিয়ম ও গোলযোগের খবর মিলেছে। অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, দুজনের প্রাণহানির ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ইসির দেয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ইউপি নির্বাচনে ইভিএমে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরসভায় ভোটের হার ৫৫ শতাংশের বেশি। ব্যালটে ভোট গ্রহণের হার ৬৫ শতাংশের বেশি।
নির্বাচন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষ অতীতেও ঘটেছে। সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও এ অপসংস্কৃতি থেকে বের হওয়া গেল না। নির্বাচনী সহিংসতাকে নিছক আবেগের বশবর্তী হয়ে ঘটানো কাজ বলা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। সংঘাত-সংঘর্ষমুক্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবার ৪৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা শুভ লক্ষণ নয়। গণতন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে নির্বাচন। প্রার্থী বা ভোটররা যদি নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। ক্ষমতাসীন দল ভিন্ন বাকি দলগুলো নির্বাচনে কেন আগ্রহী হচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অথচ এতে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া আর কারও আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর দেখাও মিলছে না। ইসিকে এর কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ উঠেছে যে, ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ-সংশয়ের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশপাশি অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ পাচ্ছেন না।
আমরা এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা দেখতে চাই, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটরার স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন এটাই কাম্য।