প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়া প্রয়োজন। গতকাল বুধবার ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট : এন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, টিকা প্রাপ্তির সর্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে এমন সব উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেয়া উচিত।
মহামারী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দ্রুতই কার্যকর টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। টিকা উৎপাদন বা আমদানিতে সক্ষম দেশগুলো তাদের জনগণকে টিকা দিয়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হয়েছে। ধনী দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছে। কোন কোন দেশ এখন বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে।
সংকটে পড়েছে দরিদ্র দেশগুলো। টিকা আমদানির সামর্থ্য নেই অনেক দেশেরই। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশে নেই পর্যাাপ্ত টিকা। কোভ্যাক্স স্কিমের অধীনে ১৩১টি দেশে ৯ কোটি ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। তবে এটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিশ্বে করোনার টিকা উৎপাদন হয়েছে ৫৭৬ কোটি ডোজ। উৎপাদিত টিকার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ পেয়েছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো।
অপ্রতুল টিকা দিয়ে কোনভাবেই কোভিড-১৯-এর মতো অতি সংক্রামক রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকার অনেক দেশেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এর প্রভাব গোটা বিশ্বের ওপরই পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করেছেন। মহামারী নিয়ন্ত্রণে দরিদ্র দেশগুলোকে চলতি বছরের মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
কোভিডের টিকা বিশ্বে ধনী-গরিব বৈষম্যকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। টিকা উৎপাদনকারীরা মানুষের জীবনের চেয়ে মুনাফাকে বেশি প্রাধ্যান্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বলতে চাই, মানুষের জীবনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন যে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়া প্রয়োজন।
টিকাকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়াই যথেষ্ট নয়। সহজে দ্রুত সব মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা পৌঁছে দেয়াও জরুরি। আর কার্যকরভাবে বিশ্বের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে এর উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী টিকার স্বত্ব কোন দেশ বা কোম্পানির হাতে না রেখে বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার যে দাবি তুলেছেন তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। আমরা আশা করব বিশ্বনেতারা এ প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবেন। টিকার মেধাস্বত্ব নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে সেটা আমাদের আশা।
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়া প্রয়োজন। গতকাল বুধবার ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট : এন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, টিকা প্রাপ্তির সর্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে এমন সব উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেয়া উচিত।
মহামারী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দ্রুতই কার্যকর টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। টিকা উৎপাদন বা আমদানিতে সক্ষম দেশগুলো তাদের জনগণকে টিকা দিয়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হয়েছে। ধনী দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছে। কোন কোন দেশ এখন বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে।
সংকটে পড়েছে দরিদ্র দেশগুলো। টিকা আমদানির সামর্থ্য নেই অনেক দেশেরই। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশে নেই পর্যাাপ্ত টিকা। কোভ্যাক্স স্কিমের অধীনে ১৩১টি দেশে ৯ কোটি ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। তবে এটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিশ্বে করোনার টিকা উৎপাদন হয়েছে ৫৭৬ কোটি ডোজ। উৎপাদিত টিকার মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ পেয়েছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো।
অপ্রতুল টিকা দিয়ে কোনভাবেই কোভিড-১৯-এর মতো অতি সংক্রামক রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকার অনেক দেশেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এর প্রভাব গোটা বিশ্বের ওপরই পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করেছেন। মহামারী নিয়ন্ত্রণে দরিদ্র দেশগুলোকে চলতি বছরের মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
কোভিডের টিকা বিশ্বে ধনী-গরিব বৈষম্যকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। টিকা উৎপাদনকারীরা মানুষের জীবনের চেয়ে মুনাফাকে বেশি প্রাধ্যান্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বলতে চাই, মানুষের জীবনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন যে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়া প্রয়োজন।
টিকাকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়াই যথেষ্ট নয়। সহজে দ্রুত সব মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা পৌঁছে দেয়াও জরুরি। আর কার্যকরভাবে বিশ্বের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে এর উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী টিকার স্বত্ব কোন দেশ বা কোম্পানির হাতে না রেখে বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার যে দাবি তুলেছেন তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। আমরা আশা করব বিশ্বনেতারা এ প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবেন। টিকার মেধাস্বত্ব নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে সেটা আমাদের আশা।