২০২০ সালে দেশের ৫ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৯ শতাংশেরই ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা প্রাথমিক এক জরিপ থেকে জানা গেছে এই তথ্য। ২০১৯ সালে উক্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে ২২ দশমিক ৬ শতাংশের ওজন কম ছিল। অর্থাৎ বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে গত বছর স্বল্প ওজনের শিশুর সংখ্যা ৬ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
দেশে পুষ্টির ঘাটতি আগেও ছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ১৩ শতাংশ পরিবারের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে অনুমান করা যায়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বহু মানুষ। কাজ হারানো বা আয় কমার কারণে অনেক পরিবারের পক্ষেই পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এটা স্বল্প ওজনের শিশুর সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।
মহামারীর ফলে দেশে বাল্যবিয়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ফলে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিশোরী মায়ের সন্তানের ওজন কম হতে পারে।
পুষ্টির অভাবে ভোগা স্বল্প ওজনের শিশুকে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। এসব শিশুকে যার জের টানতে হতে পারে সারা জীবন। তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। দৈহিক উচ্চতা বয়স অনুপাতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে।
শিশুর পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চালাতে হবে। যেসব অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি বেশি সেসব অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নজর দিতে হবে মায়ের স্বাস্থ্যের দিকেও। সুস্থ-সবল মা মানে সুস্থ-সবল শিশু। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। বাল্যবিয়ে বন্ধ করা গেলে সমস্যাটি আপনাতেই সমাধান হয়ে যেত।
দেশে খাদ্যাভাব নেই। তবে অনেক পরিবারের মধ্যেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠেনি। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অনেক পরিবারের শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। খাবার সুষম না হলে হৃষ্টপুষ্ট শিশুও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে। মানুষকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস সমন্ধে সচেতন করতে হবে।
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
২০২০ সালে দেশের ৫ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৯ শতাংশেরই ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা প্রাথমিক এক জরিপ থেকে জানা গেছে এই তথ্য। ২০১৯ সালে উক্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে ২২ দশমিক ৬ শতাংশের ওজন কম ছিল। অর্থাৎ বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে গত বছর স্বল্প ওজনের শিশুর সংখ্যা ৬ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
দেশে পুষ্টির ঘাটতি আগেও ছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ১৩ শতাংশ পরিবারের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে অনুমান করা যায়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বহু মানুষ। কাজ হারানো বা আয় কমার কারণে অনেক পরিবারের পক্ষেই পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এটা স্বল্প ওজনের শিশুর সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।
মহামারীর ফলে দেশে বাল্যবিয়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ফলে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিশোরী মায়ের সন্তানের ওজন কম হতে পারে।
পুষ্টির অভাবে ভোগা স্বল্প ওজনের শিশুকে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। এসব শিশুকে যার জের টানতে হতে পারে সারা জীবন। তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। দৈহিক উচ্চতা বয়স অনুপাতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে।
শিশুর পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চালাতে হবে। যেসব অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি বেশি সেসব অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নজর দিতে হবে মায়ের স্বাস্থ্যের দিকেও। সুস্থ-সবল মা মানে সুস্থ-সবল শিশু। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। বাল্যবিয়ে বন্ধ করা গেলে সমস্যাটি আপনাতেই সমাধান হয়ে যেত।
দেশে খাদ্যাভাব নেই। তবে অনেক পরিবারের মধ্যেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠেনি। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অনেক পরিবারের শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। খাবার সুষম না হলে হৃষ্টপুষ্ট শিশুও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে। মানুষকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস সমন্ধে সচেতন করতে হবে।