alt

সম্পাদকীয়

মোটরবাইকে আগুন কিসের ক্ষোভে

: মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

কেরানীগঞ্জে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা করতেন শওকত আলম সোহেল। মহামারীকালে ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে গেলে জীবিকার প্রয়োজনে রাজধানীতে রাইড শেয়ারে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন গত কয়েকমাস ধরে। জীবিকার অবলম্বনটিকে তিনি প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। বারবার পুলিশের মামলায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাইড শেয়ার চালকরা ছয় দফা দাবিতে আজ কর্মবিরতি পালন করেছে।

একজন মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ হলে জীবিকার একটি অবলম্বন ধ্বংস করে ফেলে, সেটা একটা প্রশ্ন। শওকত আলম সোহেলের বক্তব্যে এটুকু অন্তত বোঝা যায় যে, মোটরবাইক চালিয়ে কাক্সিক্ষত জীবিকা অর্জনের সংগ্রামে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটছিল। তাকে ট্রাফিক পুলিশের মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে একাধিকবার। আবার আয়ের একটা অংশ রাইড শেয়ার পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দিতে হয়।

অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ) অভিযোগ করেছে, পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদেই উক্ত চালক মোটরবাইকে আগুন দিয়েছে। তারা পুলিশি হয়রানির অবসান চেয়েছে। পুলিশ বলছে, গুলশান লিংক রোডে অফিস চলাকালীন সময়ে যানজট হয়। রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখলে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।

ট্রাফিক আইন কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাফিক আইন কি রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য প্রয়োগ করা হয়? তাহলে রাস্তায় শৃঙ্খলা নষ্টের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী যেসব গণপরিবহন সেগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে? এক মোটরবাইক চালকের বিরুদ্ধে মাসে মাসে মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ নিয়ম না মানা আনফিট বহু গণপরিবহন বছরের পর বছর নির্বিঘ্নে সড়কে চলছে।

গণপরিবহনগুলো ফ্রিস্টাইলে চলছে বলে বাকি সবাই ফ্রিস্টাইলে চলবে- বিষয়টি এমন নয়। আমরা বলতে চাই, আইন সবার ক্ষেত্রে সমান। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব যাদের তারা বিষয়টি মানেন কি না সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ভয়ে প্রশাসনও তটস্থ থাকে। তাদের ঘাঁটাতে সাহস পান না অনেকেই। সেই তুলনায় মোটরবাইক বা অন্য যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ট্রাফিক পুলিশের জন্য সহজ। আর এ কারণেই হয়তো সোহেলের মতো চালককে মাসে মাসে বারবার মামলার মুখে পড়তে হয়।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ অবশ্যই করতে হবে। পাশাপাশি রাইড শেয়ার চালকদের সমস্যাগুলোও সমাধানের ইচ্ছে নিয়ে শুনতে হবে। রাইড শেয়ার দেশের বহু মানুষের জীবিকার নতুন পথ দেখিয়েছে, অনেক যাত্রীর যাতায়াতকে সহজ করেছে। বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাইড শেয়ার নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

মোটরবাইকে আগুন কিসের ক্ষোভে

মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

কেরানীগঞ্জে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা করতেন শওকত আলম সোহেল। মহামারীকালে ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে গেলে জীবিকার প্রয়োজনে রাজধানীতে রাইড শেয়ারে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন গত কয়েকমাস ধরে। জীবিকার অবলম্বনটিকে তিনি প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। বারবার পুলিশের মামলায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাইড শেয়ার চালকরা ছয় দফা দাবিতে আজ কর্মবিরতি পালন করেছে।

একজন মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ হলে জীবিকার একটি অবলম্বন ধ্বংস করে ফেলে, সেটা একটা প্রশ্ন। শওকত আলম সোহেলের বক্তব্যে এটুকু অন্তত বোঝা যায় যে, মোটরবাইক চালিয়ে কাক্সিক্ষত জীবিকা অর্জনের সংগ্রামে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটছিল। তাকে ট্রাফিক পুলিশের মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে একাধিকবার। আবার আয়ের একটা অংশ রাইড শেয়ার পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দিতে হয়।

অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ) অভিযোগ করেছে, পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদেই উক্ত চালক মোটরবাইকে আগুন দিয়েছে। তারা পুলিশি হয়রানির অবসান চেয়েছে। পুলিশ বলছে, গুলশান লিংক রোডে অফিস চলাকালীন সময়ে যানজট হয়। রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখলে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।

ট্রাফিক আইন কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাফিক আইন কি রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য প্রয়োগ করা হয়? তাহলে রাস্তায় শৃঙ্খলা নষ্টের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী যেসব গণপরিবহন সেগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে? এক মোটরবাইক চালকের বিরুদ্ধে মাসে মাসে মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ নিয়ম না মানা আনফিট বহু গণপরিবহন বছরের পর বছর নির্বিঘ্নে সড়কে চলছে।

গণপরিবহনগুলো ফ্রিস্টাইলে চলছে বলে বাকি সবাই ফ্রিস্টাইলে চলবে- বিষয়টি এমন নয়। আমরা বলতে চাই, আইন সবার ক্ষেত্রে সমান। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব যাদের তারা বিষয়টি মানেন কি না সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ভয়ে প্রশাসনও তটস্থ থাকে। তাদের ঘাঁটাতে সাহস পান না অনেকেই। সেই তুলনায় মোটরবাইক বা অন্য যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ট্রাফিক পুলিশের জন্য সহজ। আর এ কারণেই হয়তো সোহেলের মতো চালককে মাসে মাসে বারবার মামলার মুখে পড়তে হয়।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ অবশ্যই করতে হবে। পাশাপাশি রাইড শেয়ার চালকদের সমস্যাগুলোও সমাধানের ইচ্ছে নিয়ে শুনতে হবে। রাইড শেয়ার দেশের বহু মানুষের জীবিকার নতুন পথ দেখিয়েছে, অনেক যাত্রীর যাতায়াতকে সহজ করেছে। বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাইড শেয়ার নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে হবে।

back to top