সারা বিশ্বের মানুষকেই মহামারী করোনার কারণে বহুমুখী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহামারীর ফলে অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে তার খেসারত সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বে নতুন করে হতদরিদ্রের কাতারে নেমে গেছে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা অনুযায়, মহামারী কালে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন দেড় কোটির বেশি মানুষ।
আজ ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দারিদ্র্যের অবসান, আমাদের পৃথিবী এবং সবার প্রতি সম্মান : একসঙ্গে গড়ি আগামী।’
মহামারীর আগ পর্যগন্ত দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই সাফল্য স্বীকৃতি পেয়েছে। ছন্দপতন ঘটে মহামারীতে। সরকারি হিসাবই বলছে যে, মহামারীতে দেড় কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এর আগে দেশ এগিয়েছে মূলত গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভর করে। দারিদ্র্য কমাতে মূল ভূমিকা রেখেছে কৃষি খাত, রেমিট্যান্স আর তৈরি পোশাক খাত। এই তিন খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্ন হচ্ছে, উক্ত তিন খাতের ওপর নির্ভর করে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা। কৃষি আর রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে মহামারীর বিপদ মোকাবিলা করা গেলেও মানুষের দরিদ্র হওয়া বন্ধ করা যায়নি।
সরকারকে এমন নীতি ও উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে যার ফলে টেকসইভাবে দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াজাত শিল্প, রাসায়নিক শিল্প এবং সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। পরামর্শটি সংশ্লিষ্টদের ভাবনার খোরাক জোগাতে পারে।
দারিদ্র্য বিমোচনে শহর ও গ্রামের ব্যবধান লক্ষণীয়। অভিযোগ রয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে শহরাঞ্চল যথাযথ মনোযোগ পাচ্ছে না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুও গ্রাম। শহরের দরিদ্রদের উপেক্ষা করার নীতি পরিহার করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। শহুরে দরিদ্রদের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে। তাদেরকেও ব্যাপকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে হবে।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
সারা বিশ্বের মানুষকেই মহামারী করোনার কারণে বহুমুখী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহামারীর ফলে অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে তার খেসারত সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বে নতুন করে হতদরিদ্রের কাতারে নেমে গেছে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা অনুযায়, মহামারী কালে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন দেড় কোটির বেশি মানুষ।
আজ ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দারিদ্র্যের অবসান, আমাদের পৃথিবী এবং সবার প্রতি সম্মান : একসঙ্গে গড়ি আগামী।’
মহামারীর আগ পর্যগন্ত দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই সাফল্য স্বীকৃতি পেয়েছে। ছন্দপতন ঘটে মহামারীতে। সরকারি হিসাবই বলছে যে, মহামারীতে দেড় কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এর আগে দেশ এগিয়েছে মূলত গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভর করে। দারিদ্র্য কমাতে মূল ভূমিকা রেখেছে কৃষি খাত, রেমিট্যান্স আর তৈরি পোশাক খাত। এই তিন খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্ন হচ্ছে, উক্ত তিন খাতের ওপর নির্ভর করে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা। কৃষি আর রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে মহামারীর বিপদ মোকাবিলা করা গেলেও মানুষের দরিদ্র হওয়া বন্ধ করা যায়নি।
সরকারকে এমন নীতি ও উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে যার ফলে টেকসইভাবে দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াজাত শিল্প, রাসায়নিক শিল্প এবং সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। পরামর্শটি সংশ্লিষ্টদের ভাবনার খোরাক জোগাতে পারে।
দারিদ্র্য বিমোচনে শহর ও গ্রামের ব্যবধান লক্ষণীয়। অভিযোগ রয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে শহরাঞ্চল যথাযথ মনোযোগ পাচ্ছে না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুও গ্রাম। শহরের দরিদ্রদের উপেক্ষা করার নীতি পরিহার করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। শহুরে দরিদ্রদের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে। তাদেরকেও ব্যাপকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে হবে।