হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন, সমস্যাটা কোথায়? সরকার বলেছে, সাম্প্রদায়িক হামলা যারা চালিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে। হামলাকারীরা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
সরকারের হুঁশিয়ারির পরোয়া করেনি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। কঠোর ঘোষণা দিয়েও তাদের থামানো যাচ্ছে না। দুর্বৃত্তরা গতকাল রোববার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে দেয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হয়।
সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সরকারের কঠোর বার্তায় কান দিচ্ছে না। তারা অব্যাহতভাবে আস্ফালন করছে, হামলা চালাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উসকানি বা হামলা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী করছে? হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, অনেক স্থানে হামলার আশঙ্কার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য নোয়াখালীর ডিসি, এসপির প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।
হামলা হতে পারে- এমনটা জেনেও প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়নি সেটা জানা জরুরি। বলা হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদেরকেও এই অভিযোগ করতে দেখা গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা যায়, দেশে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর ‘পূর্বপরিকল্পনা’ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কি জানতে পারছে? জানলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি এতগুলো হামলার ঘটনার কোনটিই আঁচ করতে না পারে, তাহলে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। হামলার আশঙ্কার কথা পুলিশকে আগাম জানিয়েই-বা লাভ কী, সেই প্রশ্নও তোলা যায়।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে সাম্প্রদায়িক হামলার অনেক ‘পূর্বপরিকল্পনাই’ নস্যাৎ করা সম্ভব হতো বলে মনে করার কারণ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের গদাইলস্করি চালের কারণে কারা লাভবান হয়েছে, আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই হিসাব করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার পরও যদি সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বলতে হবে শর্সের মধ্যে ভূত আছে। শর্সের মধ্যে ভূত থাকলে দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা যাবে না।
সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন, সমস্যাটা কোথায়? সরকার বলেছে, সাম্প্রদায়িক হামলা যারা চালিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে। হামলাকারীরা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
সরকারের হুঁশিয়ারির পরোয়া করেনি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। কঠোর ঘোষণা দিয়েও তাদের থামানো যাচ্ছে না। দুর্বৃত্তরা গতকাল রোববার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে দেয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হয়।
সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সরকারের কঠোর বার্তায় কান দিচ্ছে না। তারা অব্যাহতভাবে আস্ফালন করছে, হামলা চালাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উসকানি বা হামলা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী করছে? হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, অনেক স্থানে হামলার আশঙ্কার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য নোয়াখালীর ডিসি, এসপির প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।
হামলা হতে পারে- এমনটা জেনেও প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়নি সেটা জানা জরুরি। বলা হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদেরকেও এই অভিযোগ করতে দেখা গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা যায়, দেশে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর ‘পূর্বপরিকল্পনা’ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কি জানতে পারছে? জানলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি এতগুলো হামলার ঘটনার কোনটিই আঁচ করতে না পারে, তাহলে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। হামলার আশঙ্কার কথা পুলিশকে আগাম জানিয়েই-বা লাভ কী, সেই প্রশ্নও তোলা যায়।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে সাম্প্রদায়িক হামলার অনেক ‘পূর্বপরিকল্পনাই’ নস্যাৎ করা সম্ভব হতো বলে মনে করার কারণ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের গদাইলস্করি চালের কারণে কারা লাভবান হয়েছে, আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই হিসাব করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার পরও যদি সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বলতে হবে শর্সের মধ্যে ভূত আছে। শর্সের মধ্যে ভূত থাকলে দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা যাবে না।