alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা কি থামবে না

: সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সড়ক দুর্ঘটনা এমন এক মহামারী যার খেসারত দিতে হচ্ছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় বিভিন্ন বাহিনীর ৬১ জন সদস্য মারা গেছেন। গত শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এমন কোন দিন নেই যেদিন গণমাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া না যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে ৫৫ জন প্রাণ হারান। সেই হিসাবে বছরে মারা যায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। গত শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ মোট সাতজন মারা গেছেন।

সাধারণত বিশ্রামহীনভাবে ড্রাইভিংয়ের কারণে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের মধ্যে ক্লান্তি ভর করে। এ কারণে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, ওভারলোডিং প্রায়ই বিপদ ডেকে আনে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, চালকদের লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দুর্ঘটনার পরোক্ষ কারণ হিসেবে কাজ করে। অপ্রশস্ত সড়ক, সড়কের বিপজ্জনক বাঁক, ডিভাইডার না থাকাও একটি সমস্যা। ট্রাফিক আইনের প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা কোন একক কারণে ঘটে না, বহুমুখী কারণে ঘটে। এ কারণে এর সমাধানও সহজ নয়। পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার বিকল্প নেই। ফিটনেস সার্টিফিকেটবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেয়া যাবে না। চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, দক্ষতা বাড়াতে হবে। লাইসেন্স প্রদানে জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়নও জরুরি। সড়কের বিপজ্জনক বাঁক সংস্কার করতে হবে। নির্ধারিত স্থানে স্পিডব্রেকার, ডিভাইডার, ট্রাফিক বাতি নির্মাণ করতে হবে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত হয়ে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করলে সড়ক নিরাপদ করার কাজ সহজ হবে। পাশাপাশি পথচারী ও যাত্রী সাধারণেরও দায়িত্ব আছে। অনেক সময় তাদের অসতর্কতার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্বশীল হলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা কি থামবে না

সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সড়ক দুর্ঘটনা এমন এক মহামারী যার খেসারত দিতে হচ্ছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় বিভিন্ন বাহিনীর ৬১ জন সদস্য মারা গেছেন। গত শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এমন কোন দিন নেই যেদিন গণমাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া না যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে ৫৫ জন প্রাণ হারান। সেই হিসাবে বছরে মারা যায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। গত শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ মোট সাতজন মারা গেছেন।

সাধারণত বিশ্রামহীনভাবে ড্রাইভিংয়ের কারণে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের মধ্যে ক্লান্তি ভর করে। এ কারণে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, ওভারলোডিং প্রায়ই বিপদ ডেকে আনে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, চালকদের লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দুর্ঘটনার পরোক্ষ কারণ হিসেবে কাজ করে। অপ্রশস্ত সড়ক, সড়কের বিপজ্জনক বাঁক, ডিভাইডার না থাকাও একটি সমস্যা। ট্রাফিক আইনের প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা কোন একক কারণে ঘটে না, বহুমুখী কারণে ঘটে। এ কারণে এর সমাধানও সহজ নয়। পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার বিকল্প নেই। ফিটনেস সার্টিফিকেটবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেয়া যাবে না। চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, দক্ষতা বাড়াতে হবে। লাইসেন্স প্রদানে জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়নও জরুরি। সড়কের বিপজ্জনক বাঁক সংস্কার করতে হবে। নির্ধারিত স্থানে স্পিডব্রেকার, ডিভাইডার, ট্রাফিক বাতি নির্মাণ করতে হবে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত হয়ে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করলে সড়ক নিরাপদ করার কাজ সহজ হবে। পাশাপাশি পথচারী ও যাত্রী সাধারণেরও দায়িত্ব আছে। অনেক সময় তাদের অসতর্কতার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্বশীল হলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top