alt

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রক্ষায় সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার জরুরি

: বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছরেও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এর করুণ শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সাম্প্রদায়িক হামলা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রশ্ন হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বলে পরিচিত রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় তখন কেন প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ বলেছে, ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে গত ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০টি পূজামন্ডপে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯টি। অর্থাৎ গত আট বছর নয় মাসে গড়ে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও অন্তত একটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

আমাদের আশঙ্কা, সাম্প্রদায়িক হামলার প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ। কারণ অনেক হামলার খবরই সংবাদকর্মীদের জানার বাইরে থেকে যায়। হামলার শিকার হন যেসব ব্যক্তিবর্গ তাদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হন না। তাদের ধারণা, থানা-পুলিশ করে কোন লাভ হয় না। বরং অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ে।

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার বড় কোন ঘটনায় যেসব মামলা হয় তার একটি প্রবণতা হচ্ছে শত শত মানুষকে আসামি করা। যার বড় একটি অংশই হচ্ছে অজ্ঞাতনামা। আসামিদের কাউকে কাউকে ধরা হলেও তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা আসামির নামে প্রায়ই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো হয়। প্রকৃত অপরাধীরা রয়ে যায় পর্দার আড়ালে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাটেরগুরুদের খুঁজে বের করার প্রয়োজন বোধ করে না। ফলে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আর এগোয় না। দেশে দীর্ঘকাল ধরেই এমনটা ঘটে আসছে।

সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে চলে রাজনৈতিক দোষারোপের খেলা। এক দল আরেক দলের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় সারে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দোষারোপের এই খেলায় লাভবান হচ্ছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। আর ক্ষতিটা হচ্ছে দেশের, জাতির। দোষারোপের খেলা চললে প্রশাসনের পক্ষে সাম্প্রদায়িক হামলার সুষ্ঠু বিহিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে দেশে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে তার বিচার করতে হবে। রামু-উখিয়া, নাসিরনগর, শাল্লা, বোরহানউদ্দীনের মতো এরও যদি বিচার না হয় তাহলে এখনও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেটুকুও আর একসময় থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রক্ষায় সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার জরুরি

বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছরেও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এর করুণ শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সাম্প্রদায়িক হামলা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রশ্ন হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বলে পরিচিত রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় তখন কেন প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ বলেছে, ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে গত ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০টি পূজামন্ডপে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯টি। অর্থাৎ গত আট বছর নয় মাসে গড়ে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও অন্তত একটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

আমাদের আশঙ্কা, সাম্প্রদায়িক হামলার প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ। কারণ অনেক হামলার খবরই সংবাদকর্মীদের জানার বাইরে থেকে যায়। হামলার শিকার হন যেসব ব্যক্তিবর্গ তাদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হন না। তাদের ধারণা, থানা-পুলিশ করে কোন লাভ হয় না। বরং অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ে।

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার বড় কোন ঘটনায় যেসব মামলা হয় তার একটি প্রবণতা হচ্ছে শত শত মানুষকে আসামি করা। যার বড় একটি অংশই হচ্ছে অজ্ঞাতনামা। আসামিদের কাউকে কাউকে ধরা হলেও তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা আসামির নামে প্রায়ই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো হয়। প্রকৃত অপরাধীরা রয়ে যায় পর্দার আড়ালে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাটেরগুরুদের খুঁজে বের করার প্রয়োজন বোধ করে না। ফলে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আর এগোয় না। দেশে দীর্ঘকাল ধরেই এমনটা ঘটে আসছে।

সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে চলে রাজনৈতিক দোষারোপের খেলা। এক দল আরেক দলের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় সারে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দোষারোপের এই খেলায় লাভবান হচ্ছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। আর ক্ষতিটা হচ্ছে দেশের, জাতির। দোষারোপের খেলা চললে প্রশাসনের পক্ষে সাম্প্রদায়িক হামলার সুষ্ঠু বিহিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে দেশে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে তার বিচার করতে হবে। রামু-উখিয়া, নাসিরনগর, শাল্লা, বোরহানউদ্দীনের মতো এরও যদি বিচার না হয় তাহলে এখনও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেটুকুও আর একসময় থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।

back to top