গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৃতীয় পর্যায়ে ‘সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি’ নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন চারটি সংস্থা। গ্রামভিত্তিক একক সমবায় সংগঠনের আওতায় সব শ্রেণী ও জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
২০১৮ সালে হাতে নেয়া প্রকল্পটি দেশের সব জেলার ১৬২টি উপজেলায় ১০ হাজার ৩৫টি গ্রামে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল মেয়াদ। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ২৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প পরিচালনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরবর্তী ছয় মাসে প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়া চিরচেনা একটি রোগ। এই রোগে বাস্তবায়ন হয়নি সরকারের তৃতীয় পর্যায়ে ‘সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি’ নামক প্রকল্পটিও। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ হিসেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব জানিয়েছেন, প্রকল্প চলাকালীন অধিকাংশ সময়ই করোনার বিস্তৃতি থাকায় প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্প পরিচালকসহ উপপ্রকল্প পরিচালক, সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। তাই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব যথাসময়ে পালন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মাঠপর্যায়ে ৪৩৮ জন জনবল নিয়োগের সংস্থান থাকলেও হাইকোর্টে রিট করায় তা সম্ভব হয়নি।
কোন প্রকল্প হাতে নিলে সেখানে নানা জটিলতা দেখা দেয়। সেগুলো মোকাবিলা করেই সেটি বাস্তবায়ন করতে হয়। সেজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রকল্প শুরু হয়ে মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে এখন বলা হচ্ছে প্রকল্পে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। লোকবল নিয়োগসহ যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে মেয়াদ বাড়ালে যে সেগুলোর সমাধান হবে এমন কী নিশ্চয়তা আছে। বলা হয়েছে করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কতটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে যে প্রকল্পের ছয় মাস মেয়াদ থাকতে মাত্র ২৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কারণ প্রকল্প শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর দেশে করোনা শনাক্ত হয়।
এমন অবস্থায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পরিকল্পনা কমিশনের কথায়ও সেটি ফুটে উঠেছে। কোন প্রকল্পের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর। তাই প্রকল্প হাতে নিলে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। প্রকল্প অবশ্যই নির্ধারিত ব্যয়ে ও যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। কথায় কথায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয়বৃদ্ধির অপসংস্কৃতি পরিহার করতে হবে।
রোববার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৃতীয় পর্যায়ে ‘সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি’ নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন চারটি সংস্থা। গ্রামভিত্তিক একক সমবায় সংগঠনের আওতায় সব শ্রেণী ও জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
২০১৮ সালে হাতে নেয়া প্রকল্পটি দেশের সব জেলার ১৬২টি উপজেলায় ১০ হাজার ৩৫টি গ্রামে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল মেয়াদ। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ২৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প পরিচালনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরবর্তী ছয় মাসে প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়া চিরচেনা একটি রোগ। এই রোগে বাস্তবায়ন হয়নি সরকারের তৃতীয় পর্যায়ে ‘সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি’ নামক প্রকল্পটিও। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ হিসেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব জানিয়েছেন, প্রকল্প চলাকালীন অধিকাংশ সময়ই করোনার বিস্তৃতি থাকায় প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্প পরিচালকসহ উপপ্রকল্প পরিচালক, সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। তাই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব যথাসময়ে পালন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মাঠপর্যায়ে ৪৩৮ জন জনবল নিয়োগের সংস্থান থাকলেও হাইকোর্টে রিট করায় তা সম্ভব হয়নি।
কোন প্রকল্প হাতে নিলে সেখানে নানা জটিলতা দেখা দেয়। সেগুলো মোকাবিলা করেই সেটি বাস্তবায়ন করতে হয়। সেজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রকল্প শুরু হয়ে মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে এখন বলা হচ্ছে প্রকল্পে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। লোকবল নিয়োগসহ যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে মেয়াদ বাড়ালে যে সেগুলোর সমাধান হবে এমন কী নিশ্চয়তা আছে। বলা হয়েছে করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কতটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে যে প্রকল্পের ছয় মাস মেয়াদ থাকতে মাত্র ২৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কারণ প্রকল্প শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর দেশে করোনা শনাক্ত হয়।
এমন অবস্থায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পরিকল্পনা কমিশনের কথায়ও সেটি ফুটে উঠেছে। কোন প্রকল্পের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর। তাই প্রকল্প হাতে নিলে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। প্রকল্প অবশ্যই নির্ধারিত ব্যয়ে ও যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। কথায় কথায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয়বৃদ্ধির অপসংস্কৃতি পরিহার করতে হবে।