alt

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িকতার শেকড়ে হাত দিতে হবে

: মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, পূজামন্ডপ এবং বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে অন্তত ৮৫টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯১১ জনকে, যাদের বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা।

সরকার সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার করার অঙ্গীকার করেছে। ন্যায়বিচারের জন্য হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি নেপথ্যের মানুষদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা জরুরি। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার আসামি যদি হয় হাজার হাজার যার বেশিরভাগই অজ্ঞাত, তাহলে পুলিশের কাজ করতে কি সুবিধা হবে? হাজার হাজার ব্যক্তিদের আসামি করা হলে কি নেপথ্যের ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা সহজ হবে, নাকি তারা অজ্ঞাতনামাদের ভিড়ে আড়াল হয়ে যাবে, আর হয়রানির শিকার হবে সাধারণ মানুষ- এমন প্রশ্ন উঠেছে।

কক্সবাজারের রামু-উখিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জের শাল্লা, ভোলার বোরহানউদ্দীনসহ বিভিন্ন স্থানে এর আগে হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার অনেক ঘটনায় গন্ডায় গন্ডায় মামলা দিতে আর হাজার হাজার আসামি করতে দেখা গেছে। বাস্তবে কিছু লোককে গ্রেপ্তার করা হলেও নেপথ্যের শক্তিকে চিহ্নিত করা যায়নি বা হয়নি। আবার যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তারাও এক সময় ছাড়া পেয়ে যায়। হামলার বিচার আর এগোয় না। এবারও সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার একই পরিণতি পাবে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেছেন, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ২৪ হাজার আসামি করা হয়েছে। এত আসামি করে বিচার হবে না। ৮৫টি মামলায় অন্তত ৫০০ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিচার করুন।

এই অভিযোগ উঠেছে যে, সাম্প্রদায়িক হামলার প্রেক্ষিতে করা কোন কোন মামলায় প্রতিবন্ধী, কারাগারে আটক, ভিন্ন শহরে অবস্থানরত ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক হামলার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এসব স্বীকারোক্তি শেষ পর্যন্ত বহাল না থাকলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। অতীতে দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে দেয়া অনেক স্বীকারোক্তিই পরে বদলে যায়।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কতজন উসকানি আর গুজবের ফাঁদে পা দিয়ে হামলায় অংশ নিয়েছে, কতজন নাটের গুরু- সেটা জানা জরুরি। যারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়, গুজব রটালো, তাদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার শেকড়ে হাত দিতে হবে।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িকতার শেকড়ে হাত দিতে হবে

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, পূজামন্ডপ এবং বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে অন্তত ৮৫টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯১১ জনকে, যাদের বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা।

সরকার সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার করার অঙ্গীকার করেছে। ন্যায়বিচারের জন্য হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি নেপথ্যের মানুষদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা জরুরি। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার আসামি যদি হয় হাজার হাজার যার বেশিরভাগই অজ্ঞাত, তাহলে পুলিশের কাজ করতে কি সুবিধা হবে? হাজার হাজার ব্যক্তিদের আসামি করা হলে কি নেপথ্যের ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা সহজ হবে, নাকি তারা অজ্ঞাতনামাদের ভিড়ে আড়াল হয়ে যাবে, আর হয়রানির শিকার হবে সাধারণ মানুষ- এমন প্রশ্ন উঠেছে।

কক্সবাজারের রামু-উখিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জের শাল্লা, ভোলার বোরহানউদ্দীনসহ বিভিন্ন স্থানে এর আগে হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার অনেক ঘটনায় গন্ডায় গন্ডায় মামলা দিতে আর হাজার হাজার আসামি করতে দেখা গেছে। বাস্তবে কিছু লোককে গ্রেপ্তার করা হলেও নেপথ্যের শক্তিকে চিহ্নিত করা যায়নি বা হয়নি। আবার যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তারাও এক সময় ছাড়া পেয়ে যায়। হামলার বিচার আর এগোয় না। এবারও সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার একই পরিণতি পাবে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেছেন, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ২৪ হাজার আসামি করা হয়েছে। এত আসামি করে বিচার হবে না। ৮৫টি মামলায় অন্তত ৫০০ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিচার করুন।

এই অভিযোগ উঠেছে যে, সাম্প্রদায়িক হামলার প্রেক্ষিতে করা কোন কোন মামলায় প্রতিবন্ধী, কারাগারে আটক, ভিন্ন শহরে অবস্থানরত ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক হামলার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এসব স্বীকারোক্তি শেষ পর্যন্ত বহাল না থাকলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। অতীতে দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে দেয়া অনেক স্বীকারোক্তিই পরে বদলে যায়।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কতজন উসকানি আর গুজবের ফাঁদে পা দিয়ে হামলায় অংশ নিয়েছে, কতজন নাটের গুরু- সেটা জানা জরুরি। যারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়, গুজব রটালো, তাদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার শেকড়ে হাত দিতে হবে।

back to top