ভোলার চরফ্যাশনের নজরুল নগর ইউনিয়নের আর কলমী, চর আর কলমী এবং রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচর গ্রামের একটা অংশকে উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বুড়াগৌরাঙ্গের শাখা খাল। এ খালের উপর কোন সেতু না থাকায় এলাকাটি সড়ক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন। তিন গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পরিতাপের বিষয়, মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তিনটি গ্রামে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। এসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা বুড়াগৌরাঙ্গ খালের পূর্বপাড়ের ফরাজিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রসুলপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে। সম্প্রতি সাঁকো পাড় হওয়ার সময় পানিতে পড়ে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। সেই ঘটনার পর অনেক শিক্ষার্থী সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কষ্ট তো আছেই। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনরা।
চরফ্যাশনের মতো দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার প্রয়োজন নেই এমন অনেক স্থানে তৈরি করা হয়েছে সেতু। দুর্গম পাহাড়, ধান ক্ষেত, সড়কের শেষ প্রান্তে, এমনকি বিরাণ ভূমিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এসব অবকাঠামোর কোন সুফলই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হয়েছে ঠিকই। অন্যদিকে চরফ্যাশনের মতো দেশের বহু জয়গার বাসিন্দারা যুগ যুগ ধরে কষ্ট করছে।
বুড়াগৌরাঙ্গের শাখা খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। নির্বিঘ্নে স্কুলে যেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তখন সেতু পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে কোন শিশু শিক্ষার্থীকে প্রাণ হারাতে হবে না। দেশের আর কোথায় এমন সেতুর প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
ভোলার চরফ্যাশনের নজরুল নগর ইউনিয়নের আর কলমী, চর আর কলমী এবং রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচর গ্রামের একটা অংশকে উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বুড়াগৌরাঙ্গের শাখা খাল। এ খালের উপর কোন সেতু না থাকায় এলাকাটি সড়ক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন। তিন গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পরিতাপের বিষয়, মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তিনটি গ্রামে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। এসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা বুড়াগৌরাঙ্গ খালের পূর্বপাড়ের ফরাজিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রসুলপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে। সম্প্রতি সাঁকো পাড় হওয়ার সময় পানিতে পড়ে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। সেই ঘটনার পর অনেক শিক্ষার্থী সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কষ্ট তো আছেই। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনরা।
চরফ্যাশনের মতো দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার প্রয়োজন নেই এমন অনেক স্থানে তৈরি করা হয়েছে সেতু। দুর্গম পাহাড়, ধান ক্ষেত, সড়কের শেষ প্রান্তে, এমনকি বিরাণ ভূমিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এসব অবকাঠামোর কোন সুফলই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হয়েছে ঠিকই। অন্যদিকে চরফ্যাশনের মতো দেশের বহু জয়গার বাসিন্দারা যুগ যুগ ধরে কষ্ট করছে।
বুড়াগৌরাঙ্গের শাখা খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। নির্বিঘ্নে স্কুলে যেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তখন সেতু পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে কোন শিশু শিক্ষার্থীকে প্রাণ হারাতে হবে না। দেশের আর কোথায় এমন সেতুর প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।