বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের একটি পিলারে ফাটল ধরেছে-এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত সোমবার ফ্লাইওভারে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
তবে র্যাম্পটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এমএ সোবহান দাবি করেছেন, পিলারে কোন ফাটল ধরেনি। যেটাকে ফাটল মনে করা হচ্ছে তা মূলত কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট। সেখান থেকে সাটারিংয়ের জন্য দেয়া ফোম বের হয়ে গেছে।
এর আগে ফাটল কেন দেখা দিয়েছে সেটা নিয়ে এক কর্তৃপক্ষকে আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপাতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেছেন, নকশাগত ত্রুট বা নির্মাণত্রুটি-এ দুটো কারণের যে কোন একটি কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। সিডিএর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে ফ্লাইওভারের র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছিল। এর উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফ্লাইওভারের ফাটলের খবরে মানুষের উদ্বেগ-আতঙ্কের কারণ রয়েছে। বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময় ২০১২ সালের ২৯ জুন এর গার্ডার ভেঙে পড়লে একজন আহত হন। একই বছর ২৪ নভেম্বর আবার এর গার্ডার ধসে পড়লে মারা গিয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন। সমীক্ষা ও সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া উক্ত ফ্লাইওভারের র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চট্টগ্রাম নয়, অতীতে রাজধানীতেও ফ্লাইওভার নির্মাণে বিভিন্ন সময় ত্রুটির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের একাধিক ফ্ল্যাপ দেবে গিয়েছিল। রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে নকশাগত ত্রুটির খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।
চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারের ফাটল আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আমরা আশা করব, দ্রুত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। নাগরিকদের উদ্বেগ-আতঙ্ক দূর করার জন্য এটা করা জরুরি। পাশাপাশি ফ্লাইওভারে ভারি যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করাতে হবে। র্যাম্প কী পরিমাণ লোড নিতে পারবে সেটার নিশ্চয় একটা হিসাব আছে। সেই হিসাব অনুযায়ী যান চলাচল করতে হবে। কারও অবহেলা বা গাফিলতিতে কোন দুর্ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না।
ভবিষ্যতে ফ্লাইওভারসহ যে কোন সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে সমীক্ষা ও সঠিক পরিকল্পনা যেন করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের একটি পিলারে ফাটল ধরেছে-এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত সোমবার ফ্লাইওভারে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
তবে র্যাম্পটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এমএ সোবহান দাবি করেছেন, পিলারে কোন ফাটল ধরেনি। যেটাকে ফাটল মনে করা হচ্ছে তা মূলত কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট। সেখান থেকে সাটারিংয়ের জন্য দেয়া ফোম বের হয়ে গেছে।
এর আগে ফাটল কেন দেখা দিয়েছে সেটা নিয়ে এক কর্তৃপক্ষকে আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপাতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেছেন, নকশাগত ত্রুট বা নির্মাণত্রুটি-এ দুটো কারণের যে কোন একটি কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। সিডিএর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে ফ্লাইওভারের র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছিল। এর উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফ্লাইওভারের ফাটলের খবরে মানুষের উদ্বেগ-আতঙ্কের কারণ রয়েছে। বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময় ২০১২ সালের ২৯ জুন এর গার্ডার ভেঙে পড়লে একজন আহত হন। একই বছর ২৪ নভেম্বর আবার এর গার্ডার ধসে পড়লে মারা গিয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন। সমীক্ষা ও সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া উক্ত ফ্লাইওভারের র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চট্টগ্রাম নয়, অতীতে রাজধানীতেও ফ্লাইওভার নির্মাণে বিভিন্ন সময় ত্রুটির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের একাধিক ফ্ল্যাপ দেবে গিয়েছিল। রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে নকশাগত ত্রুটির খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।
চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারের ফাটল আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আমরা আশা করব, দ্রুত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। নাগরিকদের উদ্বেগ-আতঙ্ক দূর করার জন্য এটা করা জরুরি। পাশাপাশি ফ্লাইওভারে ভারি যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করাতে হবে। র্যাম্প কী পরিমাণ লোড নিতে পারবে সেটার নিশ্চয় একটা হিসাব আছে। সেই হিসাব অনুযায়ী যান চলাচল করতে হবে। কারও অবহেলা বা গাফিলতিতে কোন দুর্ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না।
ভবিষ্যতে ফ্লাইওভারসহ যে কোন সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে সমীক্ষা ও সঠিক পরিকল্পনা যেন করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।