alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজার : মানুষ নিঃস্ব করার কল

: বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

মানুষকে নিঃস্ব করার কলে পরিণত হয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। শ্রমে-ঘামে পাওয়া টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে যা মিলছে তা দিয়ে সাধারণ মানুষের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। চাল-তেল, মাছ-মাংস, সবজির দাম বেড়েই চলেছে নিত্য।

নিত্যপণ্যের দাম কমার আশা মানুষ এখন আর করে না। কোন কিছুর দাম একবার বাড়লে সেটা যে সাধারণত কমে না সেটা তারা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে জেনেছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি কবে থামবে, আর কীভাবে তার নাগাল পাওয়া যাবে-এ দুশ্চিন্তা নিয়ে দিনযাপন করছে সাধারণ মানুষ।

খেটে খাওয়া মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার নতুন ভাঁজ ফেলেছে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহণ ভাড়া। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মহামারীতে কাজ হারিয়ে অনেকের আজ বেঁচে থাকাই দায়। কাজ যাদের টিকে আছে তাদের অনেকেরই বেতন হয় কমেছে নয়তো অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। জমানো টাকা ফুরিয়েছে অনেক আগেই। ধার-কর্জ করে কোনমতে টিকে থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল অনেকে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন ভাড়া বাড়ায় টিকে থাকাই দায়। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদনে নিত্যপণ্যের ভারে জর্জরিত মানুষের হাহাকার ফুটে উঠেছে।

মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা কেউ কি ভাবে-এমন প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। মানুষ এখন আর উদরপূর্তি করার কথা ভাবে না। তারপরও ভাত বেশি খাওয়ার অপবাদ জুটেছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারলেই খেটে খাওয়া মানুষ বেঁচে যায়। সরকার খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাববে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে সেটা আমাদের আশা। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে দেশে সেগুলোর দাম বাড়ানোর পেছনে অনেকেই যুক্তি খুঁজে পান। আবার অনেকে মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারত।

দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামের লাগাম ছুটল কেন সেটার উত্তর জানা জরুরি। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আর মজুতদারি বন্ধে সরকার কি কঠোর ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? টিসিবি কি সব শ্রেণীর ভোক্তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম? পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ কি সরকার নিতে পেরেছে?

বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে যথেষ্ট ঘাটতি ও দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা দূর করে শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য দক্ষ, যোগ্য, সৎ এবং দায়িত্বশীল লোকের দরকার।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজার : মানুষ নিঃস্ব করার কল

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

মানুষকে নিঃস্ব করার কলে পরিণত হয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। শ্রমে-ঘামে পাওয়া টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে যা মিলছে তা দিয়ে সাধারণ মানুষের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। চাল-তেল, মাছ-মাংস, সবজির দাম বেড়েই চলেছে নিত্য।

নিত্যপণ্যের দাম কমার আশা মানুষ এখন আর করে না। কোন কিছুর দাম একবার বাড়লে সেটা যে সাধারণত কমে না সেটা তারা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে জেনেছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি কবে থামবে, আর কীভাবে তার নাগাল পাওয়া যাবে-এ দুশ্চিন্তা নিয়ে দিনযাপন করছে সাধারণ মানুষ।

খেটে খাওয়া মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার নতুন ভাঁজ ফেলেছে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহণ ভাড়া। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মহামারীতে কাজ হারিয়ে অনেকের আজ বেঁচে থাকাই দায়। কাজ যাদের টিকে আছে তাদের অনেকেরই বেতন হয় কমেছে নয়তো অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। জমানো টাকা ফুরিয়েছে অনেক আগেই। ধার-কর্জ করে কোনমতে টিকে থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল অনেকে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন ভাড়া বাড়ায় টিকে থাকাই দায়। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদনে নিত্যপণ্যের ভারে জর্জরিত মানুষের হাহাকার ফুটে উঠেছে।

মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা কেউ কি ভাবে-এমন প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। মানুষ এখন আর উদরপূর্তি করার কথা ভাবে না। তারপরও ভাত বেশি খাওয়ার অপবাদ জুটেছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারলেই খেটে খাওয়া মানুষ বেঁচে যায়। সরকার খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাববে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে সেটা আমাদের আশা। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে দেশে সেগুলোর দাম বাড়ানোর পেছনে অনেকেই যুক্তি খুঁজে পান। আবার অনেকে মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারত।

দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামের লাগাম ছুটল কেন সেটার উত্তর জানা জরুরি। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আর মজুতদারি বন্ধে সরকার কি কঠোর ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? টিসিবি কি সব শ্রেণীর ভোক্তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম? পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ কি সরকার নিতে পেরেছে?

বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে যথেষ্ট ঘাটতি ও দুর্বলতা আছে। দুর্বলতা দূর করে শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য দক্ষ, যোগ্য, সৎ এবং দায়িত্বশীল লোকের দরকার।

back to top