এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। এতে অংশগ্রহণ করছে ২২ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। ২০২০ সালের তুলনায় এবার মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। মোট তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে দেশে এবারই প্রথম কোন বড় পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে গত বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই উত্তীর্ণ (অটোপাস) ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
এবার শুধু বিভাগভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা। তাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী। তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। মহামারীর কথা চিন্তা করে বাংলা, ইংরেজি গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী দেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষাবিদদের মতে, অটোপাস দেয়ার চেয়ে এটা ভালো উদ্যোগ। আবার সিলেবাস কমিয়ে দেয়ার বিষয়টিতে ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই আছে বলে অনেক শিক্ষাবিদ মনে করেন। তাদের মতে, সিলেবাস কম থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলও করতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হবে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে।
এবার সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তাতে অন্ততপক্ষে অটোপাসের মতো সমালোচনা হবে না বলে আশা করা যায়। আমরা আশা করি, দ্রুতই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে সবাই ফিরতে পারবে। সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। বিশেষ করে অভিভাবকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিজেদের এবং সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটা জরুরি। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে অকারণ ভিড় কাম্য নয়।
এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামানা।
শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। এতে অংশগ্রহণ করছে ২২ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। ২০২০ সালের তুলনায় এবার মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। মোট তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে দেশে এবারই প্রথম কোন বড় পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে গত বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই উত্তীর্ণ (অটোপাস) ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
এবার শুধু বিভাগভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা। তাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী। তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। মহামারীর কথা চিন্তা করে বাংলা, ইংরেজি গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী দেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষাবিদদের মতে, অটোপাস দেয়ার চেয়ে এটা ভালো উদ্যোগ। আবার সিলেবাস কমিয়ে দেয়ার বিষয়টিতে ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই আছে বলে অনেক শিক্ষাবিদ মনে করেন। তাদের মতে, সিলেবাস কম থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলও করতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হবে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে।
এবার সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তাতে অন্ততপক্ষে অটোপাসের মতো সমালোচনা হবে না বলে আশা করা যায়। আমরা আশা করি, দ্রুতই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে সবাই ফিরতে পারবে। সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। বিশেষ করে অভিভাবকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিজেদের এবং সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটা জরুরি। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে অকারণ ভিড় কাম্য নয়।
এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামানা।