জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে মতৈক্য হয়েছে; তবে অসন্তোষ আর শঙ্কা দূর হয়নি। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় দীর্ঘ আলোচনা শেষে প্রায় ২০০টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে এক চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে। সম্মেলনে কিছু প্রাপ্তি যেমন ঘটেছে, তেমন অপ্রাপ্তিও রয়েছে।
কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ২৬)। কয়েকটি দেশের অবস্থানের কারণে এ বিষয়ে ছাড় দিতে হয়েছে। সম্মেলনে এবারই প্রথম জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে সম্মত না হওয়া দেশগুলোর অবস্থানে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছেন, বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ার হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা না গেলে সমুদ্রসীমার উচ্চতা বাড়বে। খরা, ঝড়, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও বাড়বে।
জলবায়ু তহবিলে ২০২০ সালের মধ্যে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি পূর্বে দেয়া হয়েছিল তা রক্ষা করেনি ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো। তাদের এ ব্যর্থতা সত্ত্বেও গ্লাসগোর চূড়ান্ত চুক্তিতে ধনী দেশগুলোকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে তহবিলে বরাদ্দের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এবার তহবিলের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় বাংলাদেশসহ প্রায় দুইশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অভিযোজন প্রক্রিয়া দুরূহ হয়ে পড়বে। বনাঞ্চল রক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অন্যান্য উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে এসব দেশের বিপুল পরিমাণ সাহায্য দরকার।
সম্মেলনে দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা বলেছেন-‘আমরা কেবল তখন নিজেদের রক্ষা করতে পারব যখন প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব।’
আমরা বলতে চাই, কেবল লক্ষ্য নির্ধারণ করা, আহ্বান জানানো আর প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে থেমে থাকলে চলবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্ববাসী ও প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর কোন বিকল্প নেই। দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহায্য দিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এসব দেশ ধনী ও উন্নত দেশগুলোর অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণের দায় বহন করছে।
সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে মতৈক্য হয়েছে; তবে অসন্তোষ আর শঙ্কা দূর হয়নি। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় দীর্ঘ আলোচনা শেষে প্রায় ২০০টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে এক চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে। সম্মেলনে কিছু প্রাপ্তি যেমন ঘটেছে, তেমন অপ্রাপ্তিও রয়েছে।
কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ২৬)। কয়েকটি দেশের অবস্থানের কারণে এ বিষয়ে ছাড় দিতে হয়েছে। সম্মেলনে এবারই প্রথম জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে সম্মত না হওয়া দেশগুলোর অবস্থানে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছেন, বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ার হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা না গেলে সমুদ্রসীমার উচ্চতা বাড়বে। খরা, ঝড়, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও বাড়বে।
জলবায়ু তহবিলে ২০২০ সালের মধ্যে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি পূর্বে দেয়া হয়েছিল তা রক্ষা করেনি ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো। তাদের এ ব্যর্থতা সত্ত্বেও গ্লাসগোর চূড়ান্ত চুক্তিতে ধনী দেশগুলোকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে তহবিলে বরাদ্দের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এবার তহবিলের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় বাংলাদেশসহ প্রায় দুইশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অভিযোজন প্রক্রিয়া দুরূহ হয়ে পড়বে। বনাঞ্চল রক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অন্যান্য উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে এসব দেশের বিপুল পরিমাণ সাহায্য দরকার।
সম্মেলনে দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা বলেছেন-‘আমরা কেবল তখন নিজেদের রক্ষা করতে পারব যখন প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব।’
আমরা বলতে চাই, কেবল লক্ষ্য নির্ধারণ করা, আহ্বান জানানো আর প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে থেমে থাকলে চলবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্ববাসী ও প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর কোন বিকল্প নেই। দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহায্য দিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এসব দেশ ধনী ও উন্নত দেশগুলোর অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণের দায় বহন করছে।