নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রকাশ্যেই নানা অভিযোগ করে আসছেন। তাকে প্রায়ই গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে ‘আমার বক্তব্য’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে দেখা যায়। তার বক্তব্য আর অবস্থান নিয়ে সিইসি বা ইসির বাকি কমিশনারদের বিরোধের কথা জানা গেছে বিভিন্ন সময়।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গত রোববার বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন এখন আইসিইউতে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে। দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্বশীল পদে থেকে কেউ প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত মত জাহির করতে পারেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে সিইসি নূরুল হুদা বলেছেন, ‘তিনি যে কথাগুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলো শালীনতাবহির্ভূত। আইসিইউ, লাইফ সাপোর্ট- এ কথাগুলো শালীন মনে করি না।’
‘আমার বক্তব্য’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করা ছাড়া একজন নির্বাচন কমিশনার আর কীভাবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। একজন নির্বাচন কমিশনারের নিজস্ব মত থাকতে পারে। তবে সেটা ইসির বৈঠকে উপস্থাপন করাই যুক্তিযুক্ত। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিলে নাটকীয়তা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু তাতে কোন সমাধান কি মেলে- এটা একটা প্রশ্ন।
আমরা মনে করি না যে, একেকটি ইস্যুতে গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য নিয়ে হাজির হলেই একজন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনে থেকে নানা সুবিধাদি নিয়ে শুধু হতাশা ব্যক্ত করে দায় সারলে চলে না। দেশে নির্বাচন নিয়ে কী হচ্ছে সেটা মানুষ জানে। এ নিয়ে কথা বলার মতো অনেক স্টেকহোল্ডার দেশে রয়েছে। ইসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য রাজনৈতিক বক্তব্যের মতো শোনাবে সেটা কাম্য নয়। অতীতেও ইসিতে মত-দ্বিমত দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কাউকে তখন প্রকাশ্যে বক্তৃতাবাজি করতে দেখা যায়নি।
নাটকীয়তা বা চমক সৃষ্টি করা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। নির্বাচনকেন্দ্রিক কোন সমস্যা থাকলে সেটা সমাধানের চেষ্টা চালাতে হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলদের তার আইনি ক্ষমতার মধ্যে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কেউ যদি অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে কোন কারণে ব্যর্থ হন তাহলে তার পদত্যাগ করতে বাধা কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থেকে বক্তৃতাবাজি করার চেয়ে সেটা বরং বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারত বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ করার স্বাধীনতা রয়েছে এবং এই স্বাধীনতা কেউ তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে বলে জানা যায় না।
মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রকাশ্যেই নানা অভিযোগ করে আসছেন। তাকে প্রায়ই গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে ‘আমার বক্তব্য’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে দেখা যায়। তার বক্তব্য আর অবস্থান নিয়ে সিইসি বা ইসির বাকি কমিশনারদের বিরোধের কথা জানা গেছে বিভিন্ন সময়।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গত রোববার বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন এখন আইসিইউতে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে। দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্বশীল পদে থেকে কেউ প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত মত জাহির করতে পারেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে সিইসি নূরুল হুদা বলেছেন, ‘তিনি যে কথাগুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলো শালীনতাবহির্ভূত। আইসিইউ, লাইফ সাপোর্ট- এ কথাগুলো শালীন মনে করি না।’
‘আমার বক্তব্য’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করা ছাড়া একজন নির্বাচন কমিশনার আর কীভাবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। একজন নির্বাচন কমিশনারের নিজস্ব মত থাকতে পারে। তবে সেটা ইসির বৈঠকে উপস্থাপন করাই যুক্তিযুক্ত। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিলে নাটকীয়তা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু তাতে কোন সমাধান কি মেলে- এটা একটা প্রশ্ন।
আমরা মনে করি না যে, একেকটি ইস্যুতে গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য নিয়ে হাজির হলেই একজন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনে থেকে নানা সুবিধাদি নিয়ে শুধু হতাশা ব্যক্ত করে দায় সারলে চলে না। দেশে নির্বাচন নিয়ে কী হচ্ছে সেটা মানুষ জানে। এ নিয়ে কথা বলার মতো অনেক স্টেকহোল্ডার দেশে রয়েছে। ইসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য রাজনৈতিক বক্তব্যের মতো শোনাবে সেটা কাম্য নয়। অতীতেও ইসিতে মত-দ্বিমত দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কাউকে তখন প্রকাশ্যে বক্তৃতাবাজি করতে দেখা যায়নি।
নাটকীয়তা বা চমক সৃষ্টি করা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। নির্বাচনকেন্দ্রিক কোন সমস্যা থাকলে সেটা সমাধানের চেষ্টা চালাতে হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলদের তার আইনি ক্ষমতার মধ্যে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কেউ যদি অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে কোন কারণে ব্যর্থ হন তাহলে তার পদত্যাগ করতে বাধা কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থেকে বক্তৃতাবাজি করার চেয়ে সেটা বরং বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারত বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ করার স্বাধীনতা রয়েছে এবং এই স্বাধীনতা কেউ তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে বলে জানা যায় না।