alt

সম্পাদকীয়

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি থাকতে হবে

: মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

সরকারি তথ্যানুসারে ১৯৬০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৩৫টি বড় ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন হয়েছিল বলে জানা যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অন্যতম সিডর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’।

আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের মতে সেই সময় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে সরকারিভাবে বলা হয়েছিল, প্রাণহানি হয়েছে ছয় হাজারের মতো। সিডরের আঘাতে দেশের প্রায় ৩১টি জেলা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বনভূমি আর গবাদিপশুর। অসংখ্য মানুষ পরিবার-পরিজন, ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। জলোচ্ছ্বাসে গবাদিপশু ভেসে যায়, ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। নেমে আসে এক চরম মানবিক বিপর্যয়।

সিডরের সময় শুধু প্রাণহানিই নয়, নিখোঁজও হয়েছিলেন অনেকে। সরকারি হিসাবে সিডরে ১ হাজার ১ জনের নিখোঁজের কথা জানানো হয়েছিল। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা তখন থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজের পর লাশ পাওয়া না গেলে সেই ব্যক্তি আইনের চোখে মৃত হিসেবে গণ্য হয় না। তাই সরকারি কোন সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ পায় না তার পরিবার। আমরা চাই, নিখোঁজদের প্রকৃত তালিকা করে তা প্রকাশ করা হোক। নিখোঁজদের স্বজনদের সাহায্য-সহযোগিতার আওতায় আনা হোক।

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৪ বছর পার হলেও উপকূলীয় জনপদ আজও অরক্ষিত। এত বছর পরেও অনেক জেলার বহু বেড়িবাঁধ এখনও সংস্কার বা টেকসইভাবে পুনর্নিমাণ করা হয়নি। উপকূলীয় জেলাগুলোর জনসংখ্যা অনুপাতে এখনও নির্মাণ করা হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়ই ঘটে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগামীতে আরও বাড়বে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। এজন্য প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকলে চলবে না। যত দ্রুত সম্ভব বাঁধ সংস্কার বা পুনর্নিমাণ করতে হবে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে জনসংখ্যা অনুপাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি থাকতে হবে

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

সরকারি তথ্যানুসারে ১৯৬০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৩৫টি বড় ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন হয়েছিল বলে জানা যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অন্যতম সিডর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’।

আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের মতে সেই সময় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে সরকারিভাবে বলা হয়েছিল, প্রাণহানি হয়েছে ছয় হাজারের মতো। সিডরের আঘাতে দেশের প্রায় ৩১টি জেলা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বনভূমি আর গবাদিপশুর। অসংখ্য মানুষ পরিবার-পরিজন, ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। জলোচ্ছ্বাসে গবাদিপশু ভেসে যায়, ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। নেমে আসে এক চরম মানবিক বিপর্যয়।

সিডরের সময় শুধু প্রাণহানিই নয়, নিখোঁজও হয়েছিলেন অনেকে। সরকারি হিসাবে সিডরে ১ হাজার ১ জনের নিখোঁজের কথা জানানো হয়েছিল। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা তখন থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজের পর লাশ পাওয়া না গেলে সেই ব্যক্তি আইনের চোখে মৃত হিসেবে গণ্য হয় না। তাই সরকারি কোন সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ পায় না তার পরিবার। আমরা চাই, নিখোঁজদের প্রকৃত তালিকা করে তা প্রকাশ করা হোক। নিখোঁজদের স্বজনদের সাহায্য-সহযোগিতার আওতায় আনা হোক।

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৪ বছর পার হলেও উপকূলীয় জনপদ আজও অরক্ষিত। এত বছর পরেও অনেক জেলার বহু বেড়িবাঁধ এখনও সংস্কার বা টেকসইভাবে পুনর্নিমাণ করা হয়নি। উপকূলীয় জেলাগুলোর জনসংখ্যা অনুপাতে এখনও নির্মাণ করা হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়ই ঘটে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগামীতে আরও বাড়বে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। এজন্য প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকলে চলবে না। যত দ্রুত সম্ভব বাঁধ সংস্কার বা পুনর্নিমাণ করতে হবে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে জনসংখ্যা অনুপাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করতে হবে।

back to top