alt

সম্পাদকীয়

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১

দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় নিত্যই যোগ হচ্ছে নানা মাত্রা ও ধরন। মোটরসাইকেল সড়ক দুর্ঘটনা তারই একটি অংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ১ হাজার ৭৫৮ জনের। গত বছর একই সময়ে ১ হাজার ১১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয় ১ হাজার ২৬ জনের। এ হিসাবে গত ১০ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখের বেশি, যা মোট যানবাহনের ৬৮ শতাংশ। এর বাইরে একটি বড় অংশের মোটরসাইকেল অনিবন্ধিত রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর হিসাব মতে, দেশে বছরে প্রায় ৫ লাখ নতুন মোটরসাইকেল বিক্রি হয়।

মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ২৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৩৩৬ জনের। মাত্র চার বছরের মাথায় ২০২০ সালে মোটরসাইকল দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ১ হাজার ৮টি। আর এতে প্রাণহানি ঘটে ১ হাজার ৯৭ জনের।

সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৩৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা একাধিক গবেষকের মতে, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে মূলত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। তাছাড়া হেলমেট ব্যবহার না করা ও নিম্নমানের হেলমেটের কারণে হতাহাতের সংখ্যা বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গবেষণা বলছে, ভালো মানের একটি হেলমেট পরলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে যায়। আর মৃত্যুঝুঁকি কমে ৪০ শতাংশ। নানা সামাজিক উৎসবের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের হৈ-হুল্লোড় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সঙ্গে একটি সম্পর্ক রয়েছে। সংশ্লিট পরিবারগুলোকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ভয়াবহতা রোধে এখনই মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসম্মত গণপরিবহনের অভাব ও যানজটের কারণে মোটরসাইকেলের ব্যবহার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এ জন্য গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত ও সহজলভ্য করতে হবে। সরকারের উচিত, দ্রুত একটি টেকসই গণপরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ যদি আন্তরিকভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালায় তাহলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বহুলাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করি।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১

দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় নিত্যই যোগ হচ্ছে নানা মাত্রা ও ধরন। মোটরসাইকেল সড়ক দুর্ঘটনা তারই একটি অংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ১ হাজার ৭৫৮ জনের। গত বছর একই সময়ে ১ হাজার ১১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয় ১ হাজার ২৬ জনের। এ হিসাবে গত ১০ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখের বেশি, যা মোট যানবাহনের ৬৮ শতাংশ। এর বাইরে একটি বড় অংশের মোটরসাইকেল অনিবন্ধিত রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর হিসাব মতে, দেশে বছরে প্রায় ৫ লাখ নতুন মোটরসাইকেল বিক্রি হয়।

মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ২৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৩৩৬ জনের। মাত্র চার বছরের মাথায় ২০২০ সালে মোটরসাইকল দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ১ হাজার ৮টি। আর এতে প্রাণহানি ঘটে ১ হাজার ৯৭ জনের।

সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৩৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা একাধিক গবেষকের মতে, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে মূলত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। তাছাড়া হেলমেট ব্যবহার না করা ও নিম্নমানের হেলমেটের কারণে হতাহাতের সংখ্যা বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গবেষণা বলছে, ভালো মানের একটি হেলমেট পরলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে যায়। আর মৃত্যুঝুঁকি কমে ৪০ শতাংশ। নানা সামাজিক উৎসবের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের হৈ-হুল্লোড় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সঙ্গে একটি সম্পর্ক রয়েছে। সংশ্লিট পরিবারগুলোকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ভয়াবহতা রোধে এখনই মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসম্মত গণপরিবহনের অভাব ও যানজটের কারণে মোটরসাইকেলের ব্যবহার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এ জন্য গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত ও সহজলভ্য করতে হবে। সরকারের উচিত, দ্রুত একটি টেকসই গণপরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ যদি আন্তরিকভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালায় তাহলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বহুলাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করি।

back to top